তিনদিন বন্ধ থাকার পর শুক্রবার (২৮ মে) সকাল ১০টা থেকে বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে লঞ্চ চলাচল শুরু করেছে। এর আগে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে গত ২৫ মে বিকেল থেকে বন্ধ ছিল লঞ্চ চলাচল।
বৃহস্পতিবার (২৭ মে) ঝড়ো বাতাসে পদ্মা নদী উত্তাল থাকায় লঞ্চ চলাচল বন্ধ ছিল। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে এলে শুক্রবার সকাল থেকে লঞ্চ চলাচল শুরু করে। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) বাংলাবাজার ঘাট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এদিকে, দু’দিন বন্ধ থাকার পর ভোর থেকে ফেরি চলাচলও স্বাভাবিক হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে কেটাইপ ফেরি কুঞ্জলতা এবং দশটায় ক্যামেলিয়া বাংলাবাজার ঘাট থেকে শিমুলিয়ার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার মধ্য দিয়ে সীমিত পরিসরে ফেরি চলাচল শুরু হয়।
শুক্রবার সকাল থেকে রো রো, ডাম্প, কেটাইপ ও মিডিয়ামসহ সব ফেরি চলাচল করছে বলেও বিআইডব্লিউটিসির বাংলাবাজার ঘাট কতৃপক্ষ। শুক্রবার ভোর থেকে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হওয়ায় নৌপথ দিয়ে যানবাহন ও যাত্রী পারাপার হচ্ছে। দু’দিন বন্ধ থাকার কারণে ঘাটে যাত্রী ও যানবাহনের ভিড় রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় “ইয়াস” উপকূলে আঘাত হানার পূর্বে বুধবার (২৬ মে) ভোর ৬টা থেকে কর্তৃপক্ষের নির্দেশে বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে বন্ধ রাখা হয় ফেরি চলাচল। বুধবার বাতাস ও ঢেউয়ের ধাক্কায় শিমুলিয়ায় ফেরিঘাটগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরদিন ২৭ মে সকাল থেকে ঝড়ো বাতাস বইতে থাকলে পদ্মানদী উত্তাল হয়ে ওঠে। দুর্ঘটনা এড়াতে সারাদিন বন্ধ থাকে নৌ-যান।
বিআইডব্লিউটিসির বাংলাবাজার ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন আহমে বলেন, শুক্রবার সকাল থেকে সব ফেরি চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। ঘাটে কিছুটা চাপ রয়েছে। বিআইডব্লিউটিএর বাংলাবাজার লঞ্চঘাটের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর আক্তার হোসেন বলেন, শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে লঞ্চ চলাচল শুরু করেছে।