ঢাকা (রাত ১১:৩২) রবিবার, ২২শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
শিরোনাম
Meghna News ধর্মপাশায় দুইজন দরিদ্র রোগীকে নগদ অর্থ সহায়তা প্রাদন অনুষ্ঠান Meghna News ৫০ মাসের বকেয়া বেতন প্রদাণের দাবীতে চাঁপাইনবাবগঞ্জে মানববন্ধন Meghna News আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসা দিতে ঢাকায় আসছে চীনের মেডিক্যাল টিম Meghna News ময়মনসিংহে সিপিবি’র সমাবেশ ও লাল পতাকার মিছিল Meghna News বাংলাদেশ স্কাউটসের ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিল অনুষ্ঠিত, সামাদ সভাপতি-জাহাঙ্গীর সম্পাদক Meghna News দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ২৩ হাজার ছাড়ালো Meghna News খেলাধুলাকে কেন্দ্র করে বাকবিতন্ডা, ককটেল বিষ্ফোরণে আহত ২ Meghna News চাঁপাইনবাবগঞ্জে পাঁচ দিন বন্ধের পর আবারো শুরু হয়েছে আমদানী রপ্তানী Meghna News সাঘাটায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পথ রোধ করে মারপিট Meghna News দুর্গাপূজায় ভারতে যাচ্ছে ৩ হাজার টন ইলিশ

বছর শেষে শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা

ডেক্স রিপোর্ট ডেক্স রিপোর্ট Clock বৃহস্পতিবার রাত ০২:৫২, ১৮ নভেম্বর, ২০২১

নভেম্বরের মাঝামাঝি সময় থেকে পাওয়া যাচ্ছে শীতের আগমনী বার্তা। গত কয়েকদিন ধরে দিন ও রাতের তাপমাত্রা ওঠানামা করায় প্রকৃতিই বলে দিচ্ছে শীতের আগাম বার্তার কথা। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত শৈত্যপ্রবাহ হতে পারে।

আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, দেশে সাধারণত মৃদু, মাঝারী ও তীব্র এই তিন ধরনের শৈত্যপ্রবাহের প্রবণতা রয়েছে। চলতি নভেম্বর মাসে এ ধরনের কোনো শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা নেই। তবে ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত শৈত্যপ্রবাহ হতে পারে।

আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান জানান, এ বছর অন্য বারের তুলনায় আগেভাগেই শীত আসবে। তবে অস্বাভাবিক রকম শীত আগেও পড়েনি এবারো পড়বে না। বিগত দু’বছরের তুলনায় এবারে শীত মৌসুমের মাঝামাঝি সময়ে (শীতের মৌসুম বলতে নভেম্বর, ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাস বোঝায়) আগের বছরগুলোর তুলনায় শীতের প্রভাব বেশি থাকবে।

তিনি বলেন, “প্রতি বছর দেশের হিমালয় অঞ্চলীয় উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলে শীতের প্রভাব বেশি অনুভূত হয়। এসব অঞ্চলে শীত-মৌসুমের শুরু থেকেই শীতের প্রকোপ বেশি দেখা যায়। আবার অবকাঠামোগত উন্নয়ন, জনসংখ্যার ঘনত্ব ও দালান-কোঠার জন্য দেশের শহরাঞ্চলের শীতের তীব্রতা বেশি টের পাওয়া যায় না। অপরদিকে গাছপালা বেষ্টিত বিভাগ ও জেলা শহরগুলোতেও শীতের আমেজ বেশি পাওয়া যায়।”

আজিজুর রহমান জানান, শহর বা আরবান এরিয়ায় অবকাঠামোগত ও জনসংখ্যার কারণে শীতের তাপমাত্রা কম। গ্রামাঞ্চলে সবুজ বনায়ন বেশি থাকে, সেই অঞ্চলে শীতের প্রভাবও তুলনামূলক বেশি হয়ে থাকে। এটা স্বাভাবিক অবস্থা। এসব অঞ্চলে প্রকৃতির ভারসাম্য যেমন রক্ষা পায়, তেমনি বৃষ্টিপাতের ফলে সৃষ্ট নানা দুর্যোগ থেকেও রক্ষা করে এই ভারসাম্য।

তিনি বলেন, “আমাদের দেশের জলবায়ুর ধরণ অনুযায়ী উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলে শীতের প্রভাব বেশি অনুভূত হয়। হিমালয়ের সঙ্গে সংযুক্ত অঞ্চল বলেই এটা হয়ে থাকে। বাংলাদেশের উত্তরে হলো হিমালয়। আর দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর। ঘূর্ণিঝড় আসে বঙ্গোপসাগর থেকে। আর শীতের প্রভাবটা আসে উত্তর-পূর্ব দিক থেকে।”

আজিজুর রহমান আরও বলেন, “চলতি নভেম্বরের শেষের দিকে তাপমাত্রা হ্রাস পাবার প্রবণতা রয়েছে, সে-সঙ্গে শীতের প্রবণতাও বাড়বে। অপরদিকে আগামী ডিসেম্বরের শেষের দিকে দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে ১ থেকে ২টি মৃদু (৮-১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস) এবং মাঝারী (৬-৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস) ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।”

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক বলেন, “শীতকাল মূলত নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসেই শুরু হবে। নভেম্বরের শেষে তাপমাত্রা কমার প্রবণতা হ্রাস পাবে। নভেম্বরের শুরু থেকে প্রকৃতিতে ঠাণ্ডা বাতাসের আমেজ শুরু হলেও শীত অনুভূত হয় নভেম্বরের শেষের দিকে।”

তিনি জানান, গত কয়েকদিনে সারাদেশে বৃষ্টিপাতের কারণে আবহাওয়ায় একটা হিম বাতাসের অনুভূতি পেলেও এটা শীতের পূর্বাভাস নয়। নভেম্বর মাসে দেশের উত্তরাঞ্চল ও নদী অববাহিকায় ভোররাত থেকে সকাল পর্যন্ত হালকা থেকে মাঝারী ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। দিন ও রাতের তাপমাত্রা হ্রাস পেলেও স্বাভাবিক থাকবে গড় তাপমাত্রা। এ মাসে বঙ্গোপসাগরে ১/২টি নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে পারে, যার মধ্যে ১টি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।

তিনি আরও জানান, এ মাসের শেষরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের উত্তরাঞ্চল ও নদ-নদী অববাহিকায় মাঝারী থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারী ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। দেশের প্রধান নদ ও নদীতে স্বাভাবিক প্রবাহ বজায় থাকতে পারে। দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল,উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে এবং নদ-নদী অববাহিকায় মাঝারী অথবা ঘন কুয়াশা এবং অন্যস্থানে হালকা বা মাঝারী ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।

তিনি বলেন, “আবহাওয়ার উপাত্ত, ঊর্ধ্বাকাশের আবহাওয়া বিন্যাস, বায়ুমণ্ডলের বিভিন্ন স্তরের বিশ্লেষিত আবহাওয়া মানচিত্র, জলবায়ু মডেল, ক্লাইমেট প্রেডিক্টটেবিলিটি টুল (সিপিটি), ইসিএমডব্লিউএফ, জেএমএ, এপিসিসি-কোরিয়া, আরআইএমইএস,আইআরআই, সি৩এস এবং বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা অনুমোদিত গ্লোবাল প্রডিউশিং সেন্টার (জিপিসিএস) থেকে পাওয়া এনডব্লিউ মডেলের পূর্বাভাস, এসওঅঅই (এল নিনো/ লা নিনা’র অবস্থা) ইত্যাদির যথাযথ বিশ্লেষণে এই আবহাওয়ার পরিস্থিতি জানানো হয়।”

উল্লেখ্য, রাতের তাপমাত্রা বা সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেলে তাকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ হিসেবে ধরা হয়। আর তাপমাত্রা ৬-৮ ডিগ্রির মধ্যে থাকলে মাঝারি এবং তাপমাত্রা ৮-১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলে নির্ধারণ করা হয়ে থাকে।



শেয়ার করুন

GloboTroop Icon
পাঠকের মতামত

Meghna Roktoseba




এক ক্লিকে জেনে নিন বিভাগীয় খবর




© মেঘনা নিউজ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by ShafTech-IT