ফের ক্ষমতায় আসতে পারেন ইমরান, শঙ্কায় প্রতিদ্বন্দ্বীরা
নিজস্ব প্রতিনিধি শনিবার রাত ১০:২৩, ৫ নভেম্বর, ২০২২
পাকিস্তানের রাজনৈতিক বিশ্লেষক ফুয়াদ চৌধুরি বলেছেন, তেহরিক-ই ইনসাফ পার্টি আগাম নির্বাচনের দাবি তোলায় ইমরান খান আবারো ক্ষমতায় আসতে পারেন বলে কোনো কোনো রাজনৈতিক দল উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে। এ কারণে ইমরানের অগ্রযাত্রা থামিয়ে দিতে এবং তিনি যাতে আর কখনোই ক্ষমতায় আসতে না পারেন সেজন্য তাকে হত্যাচেষ্টা করা হয়েছে।
ইরানের রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক সুরুশ আমিরি এ ব্যাপারে বলেছেন, ‘পাকিস্তানের নিরাপত্তা ও সামরিক কর্মকর্তারা এজন্য চিন্তিত যে ইমরান খান কোনো আপোষ করেন না। তিনি যখন ক্ষমতায় ছিলেন তখনই এটা প্রমাণিত হয়েছে যে তিনি রাজনৈতিক ও সামরিক কর্তাব্যক্তিদের কোনো কথা না শুনে বরং সেদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে স্বাধীন নীতি গ্রহণের নীতিতে বিশ্বাসী’।
এদিকে বন্দুক হামলার জন্য তিন ব্যক্তিকে দায়ী করেছেন ইমরান খান। ওই তিন ব্যক্তি হলেন, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ এবং সেনা কর্মকর্তা মেজর জেনারেল ফয়সাল। লংমার্চে চালানো সশস্ত্র ব্যক্তির গুলিবর্ষণে ইমরান খানের একটি পা গুলিবিদ্ধ হয় এবং পায়ের হাড় ভেঙে যায়।
যদিও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পাকিস্তানে সন্ত্রাসী হামলা বেড়ে গেছে কিন্তু ২০০৮ সালে পাকিস্তান পিপলস পার্টির সাবেক প্রধান বেনজির ভুট্টো সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হওয়ার পর আর কোনো রাজনৈতিক নেতা বা কর্মকর্তার ওপর হত্যাপ্রচেষ্টা চালানো হয়নি। ইমরান খানকে এমন সময় হত্যার ব্যর্থ চেষ্টা চালানো হয় যখন তিনি প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফের সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সমাবেশ ও লংমার্চে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন। সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে হত্যা প্রচেষ্টার অভিযোগ উত্থাপন করা থেকে বোঝা যায় সেদেশের কোনো কোনো রাজনৈতিক গোষ্ঠী প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক নেতাদেরকে রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে চিরতরে সরিয়ে দিতে চায়। এ ধরণের আচরণ পাকিস্তানের রাজনীতিতে নজিরবিহীন। পার্সটুডে।