প্রেমের টানে ভারতীয় শাবনূর চাঁপাইনবাবগঞ্জে
এস এম সাখাওয়াত সোমবার দুপুর ০৩:১১, ১১ নভেম্বর, ২০২৪
কথায় আছে “পিরিতে মজিলে মন, কিবা হাঁড়ি কিবা ডোম”। এমনই এক ঘটনার বাস্তব প্রমাণ মিলেছে উত্তরের জেলা আমের রাজধানী চাঁপাইনবাবগঞ্জে। ভারতীয় বংশদ্ভূত শাবনুর খাতুন (১৭) নামে এক গৃহবধু বাংলাদেশী তরুন মাসুদ রানার প্রেমের টানে বন্ধু দেশ ভারত থেকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছেন। দিনাজপুরের সীমান্ত পেরিয়ে এসেছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জে। প্রায় ৪০ দিন পূর্বে এখানে এসে ওই যুবকের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে সংসার করছেন তিনি। তবে শাবনূর ভারতের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তপন থানার মান্দাপাড়া এলাাকার ইসমাইল হকের স্ত্রী।
স্থানীয়রা জানান, ৮ বছর আগে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের গোঠাপাড়া এলাকার আনারুল ইসলামের ছেলে মাসুদ অনুপ্রবেশ করে ভারতে যান রাজমিস্ত্রীর কাজে। সেখানে শাবনূরের শ্বশুর বাড়িতে ভাড়া থাকতেন তিনি। তাদের সহযোগীতায় ভারতে চলাফেরার জন্য বানিয়েছিলেন অবৈধ আধার কার্ড। এরই এক পর্যায়ে চলাফেরার কিছুদিনের মধ্যেই শাবনূরের সাথে অবৈধ প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে মাসুদের। বিষয়টি শাবনুরের স্বামী ইসমাইল জানতে পেয়ে ভাড়াটিয়া মাসুদকে বাড়ি থেকে বের করে দেন। এরপর বিএসএফ ও বিজিবির চোখ ফাঁকি দিয়ে দিনাজপুর সীমান্তের কাঁটাতার পার হয়ে গৃহবধু শাবনূরকে অবৈধভাবে বাংলাদেশে নিয়ে আসেন মাসুদ। বাংলাদেশে এসে নাম পরিবর্তন করে বিয়েও করেন তারা।
স্থানীয়রা আরো জানান, এদিকে চলতি বছরের ১৪ অক্টোবর সোমবার স্ত্রীকে ফিরে পেতে ভারতে জিডি করেছেন আব্দুল বারিকের ছেলে শাবনূরের ভারতীয় স্বামী ইসমাইল হক। তার দাবি, প্রলোভন দেখিয়ে ফাঁদে ফেলে তার স্ত্রীকে বাংলাদেশে এনেছেন মাসুদ। আটকে রেখে নির্যাতন করছেন তার স্ত্রীকে। এমনকি শাবনূর ভারতে ফিরে আসতে চাইলেও কারো সাথে যোগাযোগ করতে দেয়া হচ্ছে না। এমন অবস্থায় স্ত্রীকে ফিরে পেতে আকুল আবেদন ইসমাইলের।
এ বিষয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ৫৩-বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল মো. মনির-উজ-জামান বলেন, অবৈধভাবে ভারতের কোনো নাগরিকের থাকার সুযোগ নেই চাঁপাইনবাবগঞ্জে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।