ঢাকা (রাত ১১:৩৪) বৃহস্পতিবার, ২৮শে মার্চ, ২০২৪ ইং

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমি দখল করে রাস্তা বন্ধের অভিযোগ

নাটির খমার বালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
নাটির খমার বালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়

<script>” title=”<script>


<script>

কুড়িগ্রামের উলিপুরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমি দখল করে যাতায়াতের রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার ধরনীবাড়ী ইউনিয়নের নাটির খমার বালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমি দখল করেছেন এলাকার প্রভাবশালীরা।

এতে বিদ্যালয়টির উন্নয়ন কাজ বন্ধের উপক্রম হয়েছে। পাশাপাশি কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পাঠদান ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বিদ্যালয়ের নামে দলিলকৃত জমি উদ্ধার করে রাস্তা নির্মাণের দাবিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দফতরে লিখিত আবেদন করেছেন অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।

অভিযোগ ও ভূক্তভোগী সূত্রে জানা গেছে, বিদ্যালয়টি ১৯৯০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। বিদ্যালয়টিতে যাতায়াতের জন্য নিজস্ব জমি না থাকায় কোমলমতি শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের চলাচলের দুর্ভোগ দেখে ২০১৭ সালে নুরুল আমিন নামে একজন দাতা অর্ধ শতাংশ জমি বিদ্যালয়ের নামে দান করেন। পরে সেই জমিতে রাস্তা নির্মাণ করে শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসী যাতায়াত করেন।

দাতা নুরুল আমিন মারা যাওয়ার পর তাঁর অন্যান্য শরীকগণ এখন জায়গাটি দখল দিচ্ছেন না। ফলে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অন্যের বসত বাড়ীর আঙ্গিনা দিয়ে অতি কষ্টে যাতায়াত করছেন।

তিনি অভিযোগে আরও উল্লেখ, ফিফা কাতার বিশ্বকাপ ফুটবল খেলা আরাম্ভ হওয়ার আগে গত ১৫ নভেম্বর স্থানীয় কতিপয় যুবক প্রধান শিক্ষকের নিকট বিদ্যালয়ের ব্যবহৃত প্রজেক্টরটি বিশ্বকাপ ফুটবল খেলা দেখার জন্য দাবি করেন। সরকারি সম্পদ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি না থাকায় প্রধান শিক্ষক তাদের দাবিকৃত প্রজেক্টরটি দিতে অপারগতা জানালে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে বিদ্যালয়টিতে চলাচলের সকল রাস্তা বন্ধ করে দেয়। এ যেন “মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা।

ক‌য়েকজন শিক্ষার্থীরা জানায়, আমাদের বিদ্যালয়ে আসার কোন রাস্তা নেই। এখন শুকনো মৌসুম দেখে আমরা জমি দিয়ে আসতেছি। বৃষ্টির সময় বিদ্যালয়ে আসতে আমাদের অনেক কষ্ট হয়।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. গোলাম রব্বানী বলেন, বিদ্যালয়ের নামে দলিলকৃত অর্ধ শতাংশ জমি উদ্ধারের জন্য  প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের সুব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট দাবী জানান।

উপজেলা শিক্ষা অফিসার নাদিরউজ্জামান বলেন, প্রধান শিক্ষকের আবেদনটি পেয়ে বিষয়টি ইউএনও স্যারকে অবগত করেছি।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শোভন রাংসা অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

শেয়ার করুন

GloboTroop Icon
পাঠকের মতামত

Meghna Roktoseba




এক ক্লিকে জেনে নিন বিভাগীয় খবর




© মেঘনা নিউজ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by ShafTech-IT