প্রচণ্ড গরমে হার্ট অ্যাটাক ঠেকাতে করণীয়
তহিদুল ইসলাম রাসেল শুক্রবার ১২:৫৭, ১৩ মে, ২০২২
কখনো বৃষ্টি আবার কখনো আবার চড়া রোদ। আর গরমে জীবন নাজেহাল। এ সময় হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে বেশি। তীব্র গরমে নিজের অজ্ঞাতেই হতে পারে হৃদরোগের ঝুঁকি। বিপদ সামনে এসে দাঁড়াতে পারে যখন-তখন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট আগাম সংকেত ছাড়াই আসে। হৃদস্পন্দন অনিয়মিত হতে শুরু করলেই কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের সম্ভাবনা কয়েক গুণ বেড়ে যায়। শীতকালে সাধারণত এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি হলেও গরমেও হানা দিতে পারে। হিট স্ট্রোকে হঠাৎ আপনার রক্তচাপ কমে যেতে পারে-আর তখনই ঘটে বিপত্তি!
কর্মব্যস্ত জীবনে বাড়তে থাকা মানসিক চাপ এবং চাপা উদ্বেগও হৃদরোগের অন্যতম কারণ হতে পারে। ধমনী ব্লক হয়ে গেলে অক্সিজেনযুক্ত পরিশুদ্ধ রক্ত হৃদযন্ত্রে পৌঁছতে পারে না, তখনই বাড়ে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি। দ্রুত চিকিৎসা শুরু না হলে হৃদযন্ত্রের সেই অংশটি অকেজো হয়ে যেতে পারে।
গরমের দিনে সামান্য কিছু খেলেই হজম করতে বেশ অসুবিধা হয়। বদহজম হলে হার্টের ওপর তার প্রভাব পড়ে। সুতরাং খাওয়ার ব্যাপারেও সাবধান হতে হবে। কয়েকটি নিয়ম মেনে চললে হৃদরোগের ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব—
খাদ্যাভাসে পরিবর্তন-
গরমে মাছ-মাংস যেমন খাচ্ছেন, তার সঙ্গে সপ্তাহে অন্তত কয়েক দিন বেশি পরিমাণে সবুজ শাকসবজি ও ফাইবারযুক্ত খাবারও খেতে হবে। শাকসবজিতে কোলেস্টেরলের পরিমাণ কম, তাই হৃদরোগের ঝুঁকিও কম। খাদ্যতালিকায় ওটস, ব্রাউন রাইস, বিনস, মুসুর ডাল, বাদাম, বীজ ও নানা ধরনের ফল রাখুন। বেশি করে পানি পান করুন। শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করুন।
মানসিক চাপ-
অফিসের কাজ চাপ, পারিবারিক সমস্যা ইত্যাদি নানা বিষয়ে অনেকেই চিন্তিত থাকে। ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি তো বাড়েই, সেই সঙ্গে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা, বেশি খাওয়া, ঘুমের সমস্যা, মানসিক ক্লান্তি দেখা দেয়। মনোসংযোগ বাড়াতে ইয়োগা করতে পারেন। বই পড়া কিংবা গান শোনার অভ্যাস থাকলে, সেগুলোও চাপমুক্ত হতে সাহায্য করে।
নিয়ম করে শরীরচর্চা-
ওজন বেড়ে যাওয়ার সমস্যা থেকেও হৃদরোগের আশঙ্কা বাড়ে। তাই গরমেও শরীরচর্চা করতে হবে। এর সঙ্গে হাঁটাহাঁটিও করা জরুরি। তবে এই সময় খুব ভারী শরীরচর্চা নয়, হালকা ব্যায়াম, যোগাসন করলেই ভালো।
আট ঘণ্টা ঘুম-
পর্যাপ্ত মাত্রায় ঘুম না হলে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে। শরীর যদি সঠিক পরিমাণে বিশ্রাম না পায়, তাহলে রক্তে অক্সিজেন সরবরাহ ভালো মতো হয় না। ফলে স্ট্রেস হরমোন নিঃসরণ বেশি মাত্রায় হয়। হৃদরোগের সম্ভাবনাও বেড়ে যায়। তাই দিনে আট ঘণ্টা করে ঘুমানো উচিত।