এস এম সাখাওয়াত রবিবার রাত ০৯:১৬, ৩০ জুন, ২০২৪
একটি গ্রাম্য সালিশের মধ্যেই প্রকাশ্যে এক প্রবাসীকে কুপিয়ে হত্যার প্রতিবাদে এবং হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জে। রবিবার (৩০ জুন) সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে ঘন্টাব্যাপী এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। সদর উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের বারোরশিয়া জয়নাল হাজীর টোলা গ্রামবাসীর আয়োজনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, চলতি মাসের ২০ জুন বৃহস্পতিবার জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে একটি গ্রাম্য সালিশের মধ্যেই প্রবাসী আব্দুল খালেক টিংকুকে কুপিয়ে হত্যা করে প্রতিপক্ষরা। আর ঘটনার ১০ দিন পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত পুলিশ কাউকে আটক করছে না। এমনকি হত্যাকারীরা এখনও নিহতের পরিবারকে বিভিন্ন হুমকি দেয়াসহ ভয়ভীতি দেখাচ্ছে।
মানববন্ধনে নিহতের স্বজনরা অভিযোগ করে বলেন, হত্যাকান্ডের দিন থেকেই পুলিশ পক্ষপাতমূলক আচরণ করছে। এমনকি হত্যার পর হাসপাতালে নিয়ে গেলেও সেখানে নিহতের ছবি তুলতে দেয়নি পুলিশ। কয়েকজন আত্বীয় স্বজনের ফোন কেড়ে নেয়া হয়েছিল। ঘটনার পর থেকেই পুলিশের সাথে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ করা হলেও তারা কোন আসামী আটক করছে না।
এ বিষয়ে মানববন্ধনে নিহত প্রবাসী আব্দুল খালেক টিংকুর স্ত্রী রাহাতুল জান্নাত রিয়া বিচার চেয়ে বলেন, আমি ৭ মাসের অন্ত:স্বত্ত¡া। এছাড়া এক ছেলে আছে আমার। দুই সন্তান এতিম হয়েছে হত্যাকারীদের নির্মম হত্যাকান্ডে। আমি এর বিচার চাই। মাত্র ৭ মাস হয়েছিল দেশে আসা। আবারও প্রবাসে যাবার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু হত্যাকারীদের কারণে সব শেষ হয়ে গেল।
নিহত খালেকের বাবা তোফাজ্জুল হক বলেন, ঘটনার দিন আমরা যেই দুইজন হত্যাকারীকে আটক করে পুলিশকে দিয়েছিলাম তারা ছাড়া আর কাউকেই আটক দেখায়নি পুলিশ। আসামীদের সাথে আঁতাত করে উল্টো আমাদেও কাছেই আসামীদের অবস্থান জানতে চাইছে। তাহলে তারা আসলে কি কাজ করছে ? আর তাই প্রকাশ্য দিবালোকে এমন হত্যাকান্ডের সুষ্ঠ তদন্ত করে দোষীদের বিচারের আওতায় আনার সরকারের নিকট জোড় দাবী জানান।
এ সময় আসামীদের দ্রুত গ্রেফতার করে হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবি জানায় গ্রামবাসী। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, নিহত প্রবাসী আব্দুল খালেক টিংকুর বাবা তোফাজ্জুল হক, মা দুলালী বেগম, স্ত্রী রাহাতুল জান্নাত রিয়া, বোন লিমা খাতুনসহ অন্যান্যরা।
তবে এ সকল বিষয়ে অভিযোগ অস্বীকার করে ইসলামপুর তদন্ত ফাঁড়ির ইনচার্জ ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রাজিবুল ইসলাম জানান, আসামীদের আটক করতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে পুলিশ। আশা করি, খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদেরকে আটক করে আইনের আওতায় আনা হবে।