পীরগাছায় গ্রামাঞ্চলে দিনে দিনে বাড়ছে টং দোকান
একরামুল ইসলাম, পীরগাছা (রংপুর) শুক্রবার দুপুর ০৩:৪৫, ৩১ জুলাই, ২০২০
রংপুরের পীরগাছা উপজেলার গ্রামাঞ্চলে দিনে দিনে বাড়ছে টং দোকান। সেই সাথে বাড়ছে ভ্রাম্যমান দোকানও। গ্রামের আনাচে কানাচে, পথে প্রান্তরে অথবা বাড়ির পাশে বসেছে এসব দোকান।
জানা যায়, বিশ্ব মহামারি করোনা ভাইরাসের প্রভাবে অনেকেই অবসর যাপন করছে। অনেকেই চাকরি হারিয়ে বেকার হয়ে যাচ্ছে। আবার কেউ চাকরি হারিয়ে ঢাকা থেকে গ্রামে ছুটছেন। হঠাৎ করে কোনো কর্ম খুঁজে না পেয়ে নিজ গ্রামে বসিয়েছে টং বা ভ্রাম্যমান দোকান। এসব দোকানগুলোতে চাহিদামতো বেচাকেনা না হলেও খোঁশগল্পের কোনো জুড়ি নেই। বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ এসব দোকানে বসে চায়ের চুমুকে করছে খোঁশগল্প।
গ্রামাঞ্চলের এসব দোকানের আবির্ভাবের ফলে প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসের সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা করছে সচেতন মানুষ। কারণ এসব ভ্রাম্যমান বা টং দোকানে নেই স্বাস্থ্যবিধির ছিটেফোটা। মুখে নেই মাস্ক, নেই কোনো হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারের বালাই। এক একটি টং দোকান যেন, এক একটি মিনি পার্লামেন্ট। শুধু টং দোকানই নয়, বেকারত্ব ঘুচাতে অনেকে চায়ের দোকান, মুদি দোকান, পুরি, পরোটার দোকান, ফলের দোকান এমনকি অনেকে বিদেশ থেকে এসে জেলে পেশায় জড়িয়েছে বলে জানা যায়।
এ বিষয়ে মুন্সি এন্টারপ্রাইজের কর্ণধার ও ডিলার মো. রাজু মুন্সি বলেন, করোনাকালীন সময়ে অনেক মুদি দোকান বাড়ছে এবং সেলসও বাড়ছে। আমার ডিলারের অধীনে উপজেলায় এক হাজার ৪৩৫টি মুদি দোকান রয়েছে। করোনার আগে দোকানের পরিমাণ এতো ছিল না।
উপজেলার রেলস্টেশনের আল-ইমরান এন্টারপ্রাইজের মালিক ও ডিলার মো. ইব্রাহীম মিয়া বলেন, করোনাকালে গ্রামাঞ্চলে ভ্রাম্যমান বা টং দোকান বাড়ার কারণে আমাদের বেচাকেনাও বাড়ছে।
উপজেলার বড় পানসিয়া গ্রামের টং দোকানদার আব্দুল বারী বিটুল বলেন, আমি দোকান দেয়ার আগে, ঢাকায় ছিলাম। ঢাকা থেকে এসে কোনো উপায় না পেয়ে এই টং দোকান দিয়েছি। বেচাকেনা কেমন হয়, এ বিষয়ে বিটুল বলেন, নতুন দোকান হিসেবে মোটামুটি।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার মো. সানোয়ার হোসেন বলেন, যারা এসব টং দোকানে বসে থাকে। তাদের কোনো স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে ধারণা নেই। এতে তাদের করোনা ভাইরাস সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তবে পীরগাছায় এ পর্যন্ত কোনো বড় ধরণের ঝুঁকি নেই। কিন্তু আমরা উপজেলার তাম্বুলপুর ইউনিয়নকে ঝুঁকির মধ্যে দেখছি। ইতোমধ্যে ওই ইউনিয়নে বেশি করোনা শনাক্ত হয়েছে। আমরা তাম্বুলপুর ইউনিয়নকে লকডাউনে রাখার কথা ভাবছি।