পর্তুগালে আ’লীগ-বিএনপির সংঘর্ষে নিহত ১,দুই সহোদর গ্রেফতার
নিজস্ব প্রতিনিধি মঙ্গলবার রাত ১০:১২, ২১ জানুয়ারী, ২০২০
হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ পর্তুগালে রাজনৈতিক ও ব্যবসায়ী বিষয় নিয়ে প্রবাসী দুই গ্রুপের মধ্যে সংর্ঘষ হয়েছে। সিলেটের ওসমানীনগরের পশ্চিম পৈলনপুর ইউপির বাসিন্দা ও পর্তুগাল আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ফরহাদ আহমদ এবং নবীগঞ্জ উপজেলার দেবপাড়া ইউপির কালাভরপুর গ্রামের বাসিন্দা ও পর্তুগাল বিএনপির সভাপতি অলিউর রহমানের মধ্যে রাজনৈতিক ও ব্যবসায়ী বিষয় নিয়ে সংঘর্ষে ফেঞ্চুগঞ্জের একজন নিহত ও ৫ জন মারাত্মক ভাবে আহত হয়েছেন। পর্তুগালের বাংলা মার্কেট খ্যাত লিজবনের মার্টিম মনিজে স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ৯টার দিকে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে গত শনিবার উভয় পক্ষ দা-চাপাতি ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে হয়। এতে ৫ জন গুরুতর আহত হন। আহতদের পর্তুগালের লিবসনের হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন একজন মারা যান। নিহত ব্যক্তির নাম সাহেদ আহমদ (৩৮)। তিনি সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা ও পর্তুগাল আওয়ামী লীগের একজন সক্রিয় কর্মী। সংঘর্ষে ফেঞ্চুগঞ্জের আরো ৪ জন গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন আছেন। এদিকে গত রোববার রাত থেকে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের ধরতে অভিযানে নামে পর্তুগাল পুলিশ। রাতে পুলিশ অলিউর রহমান চৌধুরী আরইশস্থ বাসভবনে তল্লাশী চালায়। এ সময় তার দুই ছেলেকে গ্রেপ্তার করার খবর পাওয়া গেছে। তবে অলিউর রহমানের পরিবারের সাথে যোগযোগ করা হলে তিনি মারামারির কথা স্বীকার করেন। নিহত ও গ্রেফতারের কথা অস্বীকার করেন। তিনি বলেন রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে সংঘর্ষ নয়। একটি মসজিদ নির্মান নিয়ে সংঘর্ষ হয়েছে। কালাভর পুর গ্রামের একজন প্রবাসী নাম প্রকাশ না করে জানান, অলিউর রহমানের ৪ ছেলে পর্তুগালে থাকেন, কোন দুই জন গ্রেফতার হয়েছে তিনি নাম প্রকাশ করছেন না। তবে গ্রেফতারের বিষয়ে তিনি সত্যতা নিশ্চিত করেন। এদিকে অলিউর রহমানের ছোট ভাই আমিন চৌধুরী ও এক আত্বীয় রনি মোহাম্মদ ফেসবুক লাইভে মারামারি ঘটনাটি মসজিদ প্রচার করেছেন। ইতিমধ্যে ঘটনার সঙ্গে জড়িত উভয়পক্ষ গা ঢাকা দিয়েছে। উক্ত ঘটনায় বাঙালী পাড়ায় গোয়েন্দা নজরদারী ও পুলিশী তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন ও পর্তুগীজ অধিবাসীদের মধ্যে বাঙ্গালী কমিউনিটির এই ঘটনায় বিরূপ প্রভাব সৃষ্টি করছে। যা পরবর্তীতে প্রবাসী বান্ধব পর্তুগাল বাঙ্গালী অভিবাসী প্রত্যাশীদের জন্য মারাত্মক প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারে। এই বিষয়ে সংবাদ পর্তুগালের টেলিভিশন ও সংবাদ মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে। এহেন ঘটনায় সাধারণ বাঙ্গালী কমিউনিটিতে আতঙ্ক বিরাজ করছে।