পবিত্র ঈদ-উল আযহায় চরফ্যাশন-মনপুরাবাসীকে নাজিম উদ্দিন আলমের শুভেচ্ছা
কামরুজ্জামান শাহীন, ভোলা শুক্রবার সন্ধ্যা ০৬:০৯, ৩১ জুলাই, ২০২০
পবিত্র ঈদু-উল আযহা উপলক্ষে চরফ্যাশন-মনপুরার মুসলমানদেরকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন
জানিয়ে তাদের সুখ ও সমৃদ্ধি কামনা করেছে সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব নাজিম উদ্দিন আলম।
নাজিম উদ্দিন আলম এক ঈদ বার্তায় বলেন, ত্যাগের মহিমায় মহিমান্বিত প্রতিবছর ঈদ-উল আযহা
আমাদের মাঝে ফিরে আসে। স্বার্থপরতা পরিহার করে মানবতার কল্যাণে নিজেকে উৎসর্গ করা
কোরবানির মহান শিক্ষা। মানবিক মূল্যবোধে উদ্ভাসিত ঈদ-উল আযহা হিংসা-বিদ্বেষ, লোভ-ক্রোধকে
পরিহার করে সমাজে শান্তি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় আত্মনিবেদিত হতে আমাদের উদ্বুদ্ধ করে।
কোরবানির যে মূল শিক্ষা তা ব্যক্তি জীবনে প্রতিফলিত করে মানব কল্যাণে ব্রতী হওয়ার মাধ্যমে
মহান আল্লাহ রাব্বুল আল আমিনের সন্তুষ্টি ও নৈকট্য লাভ সম্ভব। বিশ্বাসী হিসেবে সে চেষ্টায়
নিমগ্ন থাকা প্রতিটি মুসলমানের কর্তব্য। কোরবানির ঈদ বিশ্ববাসী মুসলমানদের সবচেয়ে বড় দুটো
ধর্মীয় উৎসবের দ্বিতীয়টি। উৎসব সকল ভেদাভেদ অতিক্রম করে মানুষকে পারস্পরিক
শুভেচ্ছাবোধে উদ্বুদ্ধ করে। মানুষের মধ্যে সৃষ্টি হয় ভ্রাতৃত্বের নিবিড় বন্ধন। সকল দ্বেষ,
পরশ্রীকাতরতা, প্রতিহিংসার বিষকে দূরীভূত করে সম্প্রীতির এক স্বর্গীয় অনুভূতি মানুষের মধ্যে
জেগে ওঠে।
তিনি বলেন,বিশ্বব্যাপী ভয়ঙ্কর মহামারী করোনা(কোভিড-১৯) এর আঘাতে বাংলাদেশের মানবগোষ্ঠীর
জীবন, সমাজ, সংস্কৃতি যেন বদলে গিয়ে এক অচেনা রূপ ধারণ করছে। মানুষের দিন অতিবাহিত হচ্ছে
আতঙ্ক ও ভয়ের মধ্যে। সেই বৈশ্বিক মহামারীতে সারা বাংাদেশসহ চরফ্যাশন-মনপুরাও আক্রান্ত।
মানুষের জান, সহায়-সম্পদের কোনো নিরাপত্তা নেই। ঈদের প্রাক্কালে করোনা ভাইরাসের ছোবলে দেশে
অসংখ্য প্রাণহানিসহ হাজার হাজার মানুষের অসুস্থতার ঘটনায় গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। ভয়াল দূর্দিনে
উৎসবের আনন্দকে ম্লান করে দেয়। দেশের বর্তমান অবস্থায় সকলের পক্ষে ঈদের আনন্দ
যথাযথভাবে উপভোগ করা কঠিন হবে। একদিকে গণতন্ত্রহীনতায় এক শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থায়
দিনযাপন করছে দেশবাসীসহ চরফ্যাশন মনপুরার মানুষ, মত প্রকাশের স্বাধীনতার টুঁটি চেপে ধরে
বিরোধী শক্তির ওপর চলছে হামলা-মামলা-গুম-গ্রেফতারের মতো নির্দয় নিপীড়ণ।
এদিকে চাল, ডাল, লবণ, পিঁয়াজ, মরিচসহ সকল নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন উর্দ্ধগতি
দরিদ্র ও কম আয়ের মানুষকে চরম দূর্ভোগের মূখে ঠেলে দিয়েছে। মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তের মানুষ
আরো বিপন্ন হয়ে পড়েছে। রাস্তা-ঘাটের বেহাল অবস্থা জনজীবনে দূর্বিষহ অবস্থার সৃষ্টি করেছে।
পরিশেষে ঈদ-উল-আযহা আমাদের মধ্যে যে আনন্দের বার্তা নিয়ে এসেছে তা যেন আমরা ধনী-গরিব
নির্বিশেষে সকলের মধ্যে ভাগাভাগি করতে পারি, এমন প্রত্যাশা করে তিনি সকলের সুখ, শান্তি ও
সমৃদ্ধি কামনা করেন।