ঢাকা (রাত ১১:৪৪) বৃহস্পতিবার, ১৪ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
শিরোনাম
Meghna News বিআরডিবি’র নির্বাচনে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলেন মহিউদ্দিন তালুকদার Meghna News চাঁপাইনবাবগঞ্জে শাশুড়ী হত্যায় অভিযুক্ত টুটুল পলাতক Meghna News গৌরীপুরে কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের ৭৬তম জন্মোৎসব পালিত Meghna News সিলেট টিটিসি থেকে ২২ বছর পর বদলী : মালিক হলেন লাল লাখ টাকার! Meghna News গৌরীপুরে হুমায়ূন আহমেদের নামে ক্যান্সার হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার দাবী ভক্তদের Meghna News সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের সম্পদের অনুসন্ধানে নেমেছে দুদক Meghna News চাঁপাইনবাবগঞ্জে বালু বোঝাই ট্রাক্টরের ধাক্কায় শিশু নিহত, চালক আটক Meghna News ভোলার চরফ্যাশনে মোটরসাইকেল-নসিমন সংঘর্ষে দুই বন্ধু নিহত Meghna News যুবলীগ নেতার নেতৃত্বে ভাই-ভাতিজাকে কুপিয়ে যখম Meghna News চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে ৮ কোটি টাকার ভারতীয় অলংকারসহ আটক-১

নড়াইলের বাবা-মায়ের স্নেহ বঞ্চিত শিশু দুটি আশ্রয় পেল পুলিশের কাছে

নিজস্ব প্রতিনিধি নিজস্ব প্রতিনিধি Clock বুধবার রাত ১১:৫৭, ১৩ নভেম্বর, ২০১৯

ইকবাল হাসান, নড়াইল প্রতিনিধিঃ জন্মের পর থেকেই অবহেলায় বেড়ে ওঠা শিশু নাইম হোসেন(১১) ও নাহিদ হোসেন(৬) এর ধার ধারেন না আপন
বাবা মা। তাই আশ্রয় চাইলো পুলিশের কাছে। ঠাঁই পেলো পুলিশ কর্তার কাছে। সকালে কপালে দুমুঠো
ভাত জোটেনি দু ভাইয়ের। দুপুরে পুলিশ কর্তার আদর স্নেহে দুই ভাইয়ের পেটে জুটলো ভাত। নাইম পঞ্চম
শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করার পরে বেকারীতে কাজ করে। নাহিদ দ্বিতীয় শ্রেণিতে উঠেছে মাত্র। নড়াইলের
লোহাগড়া উপজেলার আমাদা গ্রামের ইলিয়াস হোসেনের ছেলে ওই দুটি শিশু। ইলিয়াস হোসেন মিলি
নামে একজনকে বিয়ে করে এখন ঢাকায় থাকেন। আর শিশুদের আপন মা মিনা বেগম ঢাকায় গার্মেন্সে
চাকরি করেন।

দাদী ফুলজান বেগমের কাছে বেড়ে ওঠে শিশু নাইম জানায়, আমার বয়স যখন ৬ বছর তখন আমার মা
ঢাকায় চলে যায় এবং দুবছর পরে আবার ফিরে আসে। তখন নাহিদের জন্ম হয়। দুভাইকে রেখে বাবা-মা
দুজনেই আবার চলে যায় ঢাকায়। এক বছর আগে মারা যায় দাদী। তাই ভাগ্য বিড়ম্বিত নাইম বেকারীতে
পেটের দায়ে কাজ নেয়। এক মাস আগে সেখানে দুর্ঘটনায় আহত হয় নাইম। এখনো অসুস্থ। বুধবার(১১
নভেম্বর)সামান্য ভুলে ছোট ভাই নাহিদকে হাতা(চামচ) দিয়ে আঘাত করে ফুপু রমেছা। ভয়ে নাহিদ পালিয়ে
চলে আসে তার একমাত্র আশ্রয় বড় ভাই নাইমের কাছে। গত রাতে চাচা রবিউলের বাড়িতে বড় ভাইয়ের
কাছেই ছিল নাইম।

উপায়ন্তর না পেয়ে বুধবার(১৩ নভেম্বর) সকালে দু’ভাই এসেছিল থানায় আশ্রয় নিতে। থানায়
পুলিশকে কিছু একটা বলবার জন্যে গেটের সামনে দিয়ে কেঁদে কেঁদে ঘুরে বেড়াচ্ছিল। কিন্তু থানায়
ঢোকার সাহস হয়নি। হঠাৎই শিশুর দুটি নজরে পড়ে লোহাগড়া থানার এসআই মিল্টন কুমার দেবদাস এর।
পুলিশ কর্তা শিশুদের থানার ভেতরে নিয়ে ঘটনা শুনে ব্যাথিত হলেন। ওদের খাবার ব্যবস্থা করলেন। পুলিশ কর্তা
চৌকিদারের মাধ্যমে শিশুর চাচা রফিকুল ও রবিউল কে ডেকে আনলেন। সবার সামনে পুলিশ কর্তা শিশুর
মাকে ফোনে বিষয়টি জানালে শিশুদের মা জানালেন ”ওদের ধার ধারি না”। আর বাবা জানালেন বিষয়টি
দেখার জন্য শিশুর চাচাদের। পরে পুলিশ কর্তা শিশুদের তাদের চাচাদের জিম্মায় দিয়ে দিলেন। চাচা রফিকুল ও
রবিউল বললেন,আমরা দেখে রাখবো। শিশু নাইম পুলিশ কর্তাকে বলছিলেন, স্যার আমার একটাই চাওয়া ”
আমার বাবা-মাকে এক করে দেন”। আমরা বাবা-মায়ের সাথে থাকবো।
এসআই মিল্টন কুমার দেবদাস বলেন, লেখাপড়া ও ভরণপোষনের দায়িত্ব নেবার শর্তে চাচাদের জিম্মায়
শিশু দুটিকে দিয়েছি। কোন সমস্যা হলে ওই শিশুদের আমার কাছে আসতে বলেছি।




শেয়ার করুন

GloboTroop Icon
পাঠকের মতামত

মেঘনা নিউজ-এ যোগ দিন

Meghna Roktoseba




এক ক্লিকে জেনে নিন বিভাগীয় খবর



© মেঘনা নিউজ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by ShafTech-IT