নাগরপুরে বাল্যবিবাহ বন্ধ শীর্ষক আলোচনা সভা ও বিতর্ক প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত
নিজস্ব প্রতিনিধি বৃহস্পতিবার রাত ০৯:৪৬, ৯ জানুয়ারী, ২০২০
নাগরপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধিঃ “বাল্য বিয়েকে না বলি, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ি”এই প্রতিপাদ্য সামনে নিয়ে টাঙ্গাইলের নাগরপুরে উপজেলা প্রশাসন এর আয়োজনে ও ইউনিসেফ বাংলাদেশ এর সহযোগিতায় উপজেলা চত্বরে ৯ জানুয়ারী ২০২০ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বাল্য বিবাহ বন্ধ শীর্ষক আলোচনা সভা ও বিতর্ক প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
দিবসটি উপলক্ষে উপজেলা চত্বর থেকে একটি র্যালী বের হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্র্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে উপজেলা চত্বরে এক আলোচনা সভা ও বিতর্ক প্রতিযোগীতার আয়োজন করা হয়।
‘বাল্য বিয়ে বন্ধে আমার মত এগিয়ে আসুন আপনিও’
‘বাল্য বিয়ে বন্ধে প্রয়োজন আপনাকেও। আওয়াজ তুলুন। প্রতিবাদ করুন। রুখে দাড়ান। কল করুন ১০৯ নম্বরে। অথবা খবর দিন স্থানীয় প্রশাসনকে।
এ সকল তথ্য তুলে ধরে, বাল্য বিয়ে বন্ধের প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা সভা ও বিতর্ক প্রতিযোগীতার সকলেই আলোচনা করেন। বাল্য বিয়ে নিয়ে বেশ কয়েকটি মঞ্চ নাটক পরিবেশন করা হয়। এতে দৃশ্যমান হয় কিভাবে এমন বিয়ে হয় এবং এর পরিনতি কি। পাশাপাশি বাল্য বিয়ের র্নিমূল করতে করনীয় পদক্ষেপ গ্রহনের প্রেক্ষাপট উঠে আসে এতে।
এ সময়, উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সৈয়দ ফয়েজুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. শহিদুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, টাঙ্গাইল জেলার স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক মো. শরীফ নজরুল ইসলাম, নাগরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস ছামাদ দুলাল, ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের চীফ ফিল্ড অফিসার মো. ওমর ফারুক, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. হুমায়ুন কবির, ছামিনা বেগম সিপ্রা, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সালমা বেগম।
এ অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিতর্ক প্রতিযোগীতা, বাল্য বিয়ে বিষয়ক মঞ্চ নাটক, আলোচনা সভায়, বাল্য বিয়ে বন্ধে সচেতনতা গড়তে বিভিন্ন দিক স্থান পায়।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, নাগরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি (তদন্ত) মো. গোলাম মোস্তফা মন্ডল, উপজেলার সকল ইউনিয়নের চেয়ারম্যানগণ, প্রাথমিক, মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীবৃন্দ, উপজেলার সকল দপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ সাংবাদিক সহ বিভিন্ন স্তরের গণ্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গ।
অনুষ্ঠানের শেষে বিজয়ীদেও হাতে পুরুস্কার তুলে দেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. শহিদুল ইসলাম।