ধর্মপাশায় মাদকব্যসায়ীকে পুলিশে ধরিয়ে দেওয়ার জেরে মাধররের শিকার,থানায় অভিযোগ
মোবারক হোসাইন,ধর্মপাশা(সুনামগঞ্জ) মঙ্গলবার রাত ১০:১১, ১৩ জুলাই, ২০২১
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার সেলবরষ ইউনিয়নের উত্তর বীর গ্রামের বাসিন্দা ও ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য দৌলত মিয়া (৪৫)মারধরে শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার আহম্মদপুর গ্রামের মাদকব্যবসায়ী সুয়েল মিয়া (৩৫)কে গাঁজাসহ পুলিশের ধরিয়ে দেওয়ার জেরে আজ মঙ্গলবার (১৩) জুলাই) বেলা দুইটার দিকে উপজেলার আহম্মদপুর গ্রামের সামনের সড়কে এই মাদকব্যবসায়ী তার লোকজন নিয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। আহত ওই ইউপি সদস্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সাময়িক চিকিৎসা নিয়েছেন।এ ঘটনায় আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে ওই ইউপি সদস্য বাদী হয়ে তিনজনকে আসামিকে করে ধর্মপাশায় থানর ওসির কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
ধর্মপাশা থানা পুলিশ ও স্থানীয় এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার সেলবরষ ইউনিয়নের আহম্মদপুর গ্রামের বাসিন্দা সুয়েল মিয়া (৩৫) একজন চিহ্নিত মাদকব্যবসায়ী। উপজেলার পাইকুরাটি ইউনিয়নের বাদশাগঞ্জ বাজারে প্রায় চার মাস আগে স্থানীয় লোকজন নিয়ে প্রায় ২৫০গ্রাম গাঁজাসহ হাতে নাতে ধর্মপাশা থানা পুলিশের হাতে ই মাদকব্যবসায়ীকে ধরিয়ে দেন সেলবরষ ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য দৌলত মিয়া। এ সময় মাদকব্যবসায়ী ওই ইউপি সদস্যকে ভবিষ্যতে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। পুলিশ তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে থানায় মামলা করেন। ওই মামলায় তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
সপ্তাহ খানেক জেল খেটে ওই মাদকব্যবসায়ী কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান।আজ মঙ্গলবার বেলা পৌনে দুইটার দিকে ইউপি সদস্য দৌলতমিয়া ও একই ইউনিয়নের ৫নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শওকত আলী (৫১)কে সঙ্গে নিয়ে ব্যাটারিচালিক রিক্সা দিয়ে উপজেলার বাদশাগঞ্জ বাজার থেকে রওয়ানা হন। বেলা দুইটার দিকে উপজেলার আহম্মদপুর গ্রামের সামনের সড়কে পৌঁছা মাত্রই ওই রিক্সাটিকে গতিরোধ করে। কেন তাকে ওইদিন পুলিশের হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল এ নিয়ে বাকবিতণ্ডতার এক পর্যায়ে মাদকব্যবসায়ী সুয়েল মিয়া (৩৫),তার স্ত্রী তাসলিমা (২৬) এবং ওই মাদকব্যবসায়ীর ছোট বোন নার্গিছা আক্তার (৩০) এই তিনজন মিলে ইউপি সদস্য দৌলত মিয়াকে মারধর শুরু করে। স্থানীয় লোকজন ও ইউপি সদস্য শওকত আলীর সহায়তায় তিনি প্রাণে রক্ষা পান।
উপজেলার সেলবরষ ইউনিয়নের আহম্মদপুর গ্রামের বাসিন্দা মাদকব্যবসায়ী সুয়েল মিয়া ও তার লোকজনদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
মারধরে শিকার ইউপি সদস্য দৌলত মিয়া বলেন, উপজেলার বাদশাগঞ্জ বাজারে প্রায় চার মাস আগে সাদা পলিথিনে মুড়ানো প্রায় ২৫০গ্রাম গাঁজাসহ স্থানীয় লোকজনকে নিয়ে আমি মাদকব্যবসায়ী সুয়েল মিয়াকে আটক করে থানা পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছিলাম। এরই জের ধরে আমাকে মারধর করা হয়েছে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় থানার ওসির কাছে ওই মাদকব্যবসায়ীসহ তিনজনকে আসামি করে একটি লিখিত অভিযোগ করেছি।
ধর্মপাশা থানার ওসি মো.খালেদ চৌধুরী আজ রাত আটটার দিকে মুঠোফোনে বলেন, মাদকব্যবসায়ীকে গাঁজাসহ পুলিশে সোপর্দ করায় মাদক্যবসায়ী ও তার লোকজন মিলে ইউপি সদস্য দৌলত মিয়াকে মারধর করা সংক্রান্ত একটি লিখিত অভিযোগ আমি পেয়েছি। ঘটনাটি খতিয়ে দেখে দ্রুত এ ব্যাপারে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।