ধর্মপাশায় বাল্যবিবাহ থেকে রক্ষা পেল স্কুল ছাত্রী
মোবারক হোসাইন,ধর্মপাশা(সুনামগঞ্জ) বুধবার সন্ধ্যা ০৭:০২, ৯ জুন, ২০২১
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)মো.মুনতাসির হাসানের হস্তক্ষেপে উপজেলার বংশীকুণ্ডা উত্তর ইউনিয়নের একটি গ্রামে আজ বুধবার অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক স্কুল ছাত্রী (১৪) বাল্য বিয়ে থেকে রক্ষা পেয়েছে।
উপজেলা প্রশাসন ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ওই ছাত্রীটির (১৪) সঙ্গে পাশের গ্রামের এক যুবকের (২৪) আজ বুধবার বেলা দুইটার দিকে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল।গতকাল মঙ্গলবার রাতে ওই ছাত্রীটির নিজ বাড়িতে তার গায়ে হলুদ অনুষ্ঠান হয়। স্থানীয় এক যুবকের কাছ থেকে এই বাল্য বিয়ের খবরটি পান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো.মুনতাসির হাসান।তিনি তাৎক্ষণিকভাবে বংশীকুণ্ডা উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান বিল্লাল হোসাইনকে এই বিয়েটি বন্ধ করতে নির্দেশ দেন।
ইউপি চেয়ারম্যান বুধবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে এই বাল্য বিয়েটি বন্ধ করতে স্থানীয় ইউপি সদস্য আবদুস ছাত্তারকে ওই ছাত্রীটির বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। ইউপি সদস্য সেখানে গিয়ে বাল্য বিয়ের আয়োজনের সত্যতা পান।পরে মেয়েটির বাবা ও মা এবং তাদের স্বজনদেরকে বাল্য বিয়ের কুফল ও রাস্ট্রীয় আইনে এই বাল্য বিয়ে কোনো স্বীকৃতি নেই এমনটি বুঝিয়ে বলার পর মেয়েটির বাবা মা ও তাদের স্বজনেরা এই বিয়েটি বন্ধ করতে সম্মত হন। এমনকি ১৮বছরের আগে তারা ওই ছাত্রীটিকে বিয়ে দেবেন না বলে মৌখিকভাবে অঙ্গীকার করেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো.মুনতাসির হাসান বলেন, বাল্য বিয়ে একটি সামাজিক ব্যাধি। রাষ্ট্রীয় আইনে এ ধরণের বিয়ের কোনো ধরণের স্বীকৃতি নেই।থানা পুলিশ,জনপ্রতিনিধি,সাংবাদিকসহ সকলের সমন্বিত প্রচেষ্ঠায় অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া ওই ছাত্রীটির বাল্য বিয়ে বন্ধ করা সম্ভব হয়েছে। বাল্য বিয়ে বন্ধে উপজেলা প্রশাসন সর্বদা তৎপর রয়েছে।