ধর্মপাশায় ফসল রক্ষা বাধের কাজে পিআইসি কমিটি গঠনে অনিয়মের অভিযােগ
মোবারক হোসাইন,ধর্মপাশা(সুনামগঞ্জ) শুক্রবার রাত ০৩:০৬, ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২১
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার শালদিখা হাওরের ফসল রক্ষা বাধের সংস্কারকাজের দুটি প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি (পিআইসি) গঠনে অনিয়মের অভিযােগ উঠেছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় বেশ কয়েকজন কৃষক গত(৩ফেব্রুয়ারি) বুধবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) এর কাছে লিখিত অভিযােগ দিয়েছেন।লিখিত ওই অভিযােগে উল্লেখ করা হয়েছে, ওই দুই পিআইসির সভাপতি ও সদস্যসচিব করা হয়েছে, তাঁদের শালদিঘা হাওরে কোনাে জমি নেই। তাই স্থানীয় কৃষকেরা ওই কমিটি বাতিল করার দাবি জানিয়েছেন।
উপজেলা প্রশাসন ও এলাকার কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার গুরমার বর্ধিতংশ হাওরাটি সুনামগঞ্জ পানি উন্নায়ন বাের্ডের অধীন রয়েছে। এই হাওরের আওতায় শালদিা হাওরের একটি ফসল রক্ষা বাঁধ রয়েছে। শালদিমা হাওরে দুটি পিআইসি রয়েছে। উপজেলার নিশ্চিন্তপুর গ্রামের সামনে শালদিঘা হাওরের ১৪৭ নম্বর পিআইসির সভাপতি আব্দুল আজিজ ও সদস্যসচিব আব্দুর রশিদ এবং ১৪৮ নম্বর পিআইসির সভাপতি মােঃ রিপন মিয়া ও সদস্যসচিব আবু সাঈদ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বংশীকুণ্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নের মীর্জাপুর গ্রামের আবদুল আজিজ, আবদুর রশিদ এবং চাপাইতি গ্রামের রিপন মিয়া ও আবু সাঈদের শালদিঘা হাওরে কোনাে জমি নেই।বংশীকু্া দক্ষিণ ইউনিয়নের হাতপাটন গ্রামের বাসিন্দা কৃষক সুকেশ সরকার বলেন, শালদিঘা হাওরে যাদের জমি নেই, তাদের পিআইসির সভাপতি ও সদস্যসচিব করা হয়েছে। বেআইনিভাবে তারা কমিটিতে স্থান পেয়েছেন। যাদের ওই হাওরে জমি আছে, তাঁদের কমিটিতে সভাপতি ও সদস্যসচিব পদে রাখার জন্য দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে ১৪৮ নম্বর পিআইসির সভাপতি রিপন মিয়া বলেন, “শালদিঘা হাওরে আমার কোনাে জমি নেই। তবে পাশেই জমি আছে। এ বিষয়ে কথা বলার জন্য একই কমিটির সদস্যসচিব আনু সাঈদের মুঠোফোনে কল করা হলে, তা বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে ১৪৭ নম্বর পিআইসির সভাপতি আবদুল আজিজ ও সদস্যসচিব আবদুর রশিদ বলেন, “শালদিঘা হাওরের প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ নিয়ে কেউ কমিটি জমা দেয়নি। এই হাওরের পাশেই আমার জমি। কাজটি না করলে ফসলডুবির আশঙ্কা থেকে আমাদের কাজটি দেওয়া হয়েছে।
ইউএনও মাে, মুনতাসির হাসান বলেন,দুটি প্রকল্পের পিআইসি গঠনে অনিয়মের বিষয়ে একটি লিখিত অভিযােগ আমি পেয়েছি। তদন্ত করে এ ব্যাপারে প্রয়ােজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।