ধর্মপাশায় এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে আর্থিক সুবিধা গ্রহণের অভিযোগ
মোবারক হোসাইন,ধর্মপাশা(সুনামগঞ্জ) রবিবার বিকেল ০৫:১৬, ২৩ মে, ২০২১
সুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশা উপজেলার সুখাইড় রাজাপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের দয়ালপুর দক্ষিণপাড়া জামে মসজিদে মাটি ভরাট কাজের জন্য অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচির একটি প্রকল্পের কাজ পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে ১৭হাজার টাকা উৎকোচ নেওয়া হয়েছে।ওই ইউনিয়নের ৮নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সাদেকুর রহমান এই টাকা নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় সুবিচার পেতে উপজেলার দয়ালপুর দক্ষিণ পাড়া জামে মসজিদ কমিটি সভাপতি মোঃ রাশিদ মিয়া ২৩শে মে রোববার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মর্কর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
ইউএনওর কাছে দেওয়া লিখিত অভিযোগ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে,উপজেলার সুখাইড় রাজাপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের দয়ালপুর দক্ষিণপাড়া মসজিদের ঘরটি টিনের তৈরি।গত বর্ষা মৌসুমে বেশ কয়েকবার বন্যা হওয়ায় মসজিদঘরের ভিটের চারপাশে থাকা মাটি সরে গেছে।এই মসজিদটির চারদিকে মাটির কাজ করার জন্য মসজিদ কমিটির পক্ষ থেকে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আমানুর রাজা চৌধুরীর কাছে গত ৭/৮মাস আগে দাবি জানানো হয়। দাবি জানানোর কিছুদিনের মধ্যে ইউপি চেয়ারম্যান ও স্থানীয় ইউপি সদস্য সাদেকুর রহমান এই মসজিদটির সার্বিক অবস্থা নিজেদের চোখে দেখে আসেন এবং এই মসজিদটিতে অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংয়স্থান কর্মসূচির একটি প্রকল্পের মাধ্যমে এটিতে মাটির কাজ করাবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু এখনো সেখানে সরকারি কোনো প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন হয়নি।
দয়ালপুর দক্ষিণপাড়া জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো.রাশিদ মিয়া বলেন,ইউপি সদস্য সাদেকুর রহমান আমাকে জানিয়েছিলেন,অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচি (৪০দিনের) প্রকল্প কাজ পেতে হলে ইউএনও এবং ইউপি চেয়ারম্যান এই দুজন মিলিয়ে ২৫হাজার টাকা দিতে হবে।কমিটির সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করে কাজটি পাওয়ার সুবিধার্থে আমাদের কমিটির কয়েকজন সদস্যদের উপস্থিতিতে ওই ইউপি সদস্যদের কাছে কাজ পাইয়ে দেওয়া বাবদ ১৭হাজার টাকা দিয়েছি। কিন্তু টাকা দেওয়ার সাত থেকে আট মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো কাজের কোনো খবর নেই। তাই সুবিচার চেয়ে ইউএনও স্যারের কাছে আবেদন করেছি।
ইউপি সদস্য সাদেকুর রহমান বলেন, আমি রাজাপুর গ্রামের হারুণ মিয়া নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে বেশ কয়েকমাস আগে ১৭হাজার টাকা ধার নিয়েছি। মসজিদের কাজের জন্য কারও কাছ থেকে কোনো টাকা নিইনি। দ্রুততম সময়ের মধ্যে এই ধারের টাকা পরিশোধ করা হবে।
হারুণ মিয়া বলেন,মসজিদে মাটি ভরাট কাজ করার কাজ পাইয়ে দেওয়ার কথা বলেই ওই ইউপি সদস্য আমার সামনেই মসজিদ কমিটির সভাপতি রাশিদ মিয়ার কাছ থেকে ১৭হাজার টাকা নিয়েছেন, আমার কাছ থেকে কোন ধার নেয়নি।
সুখাইড় রাজাপুর দক্ষিণ ইউপি চেয়ারম্যান আমানুর রাজা চৌধুরী বলেন, সরকারি প্রকল্প কাজের জন্য কাউকে কোনোরকম টাকা দিতে হয় না। এমনটি করে থাকলে ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা( ইউএনও) মো.মুনতাসির হাসান বলেন,এ সংক্রান্ত একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।