ঢাকা (রাত ১০:৩৮) মঙ্গলবার, ২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

দুই প্রতিবেশীর ঝগড়ায় মহিলা ইউপি সদস্যকে জড়ানোর অপচেষ্টা

ওবায়দুর রহমান,গৌরীপুর,ময়মনসিংহ ওবায়দুর রহমান,গৌরীপুর,ময়মনসিংহ Clock বৃহস্পতিবার বিকেল ০৫:৪৫, ১৪ অক্টোবর, ২০২১

তুচ্ছ ঘটনায় দুই প্রতিবেশীর মাঝে ঝগড়া হয়। সে সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত না থাকলেও ষড়যন্ত্র মূলকভাবে সে ঘটনায় জড়ানো হয় স্থানীয় মহিলা ইউপি সদস্যকে। ‘গৌরীপুরে মহিলা ইউপি সদস্য কর্তৃক এক গৃহকর্ত্রীকে ব্যাপকভাবে নির্যাতনের অভিযোগ’ শিরোনামে নিউজও করা হয়েছে একটি অনলাইন সংবাদ মাধ্যমেও। আর সেই কথিত সাংবাদিক ঘটনার সত্য-মিথ্যা যাচাই না করেই নিউজ করেছেন বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী মহিলা ইউপি সদস্যের। এমন ঘটনার শিকার হয়েছেন ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার রামগোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৪, ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা আসনের সদস্য তাসনিম আক্তার।


সরেজমিনে এলাকাবাসী ও ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন এমন ব্যক্তিদের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত ৫ অক্টোবর সকাল সাড়ে ছয়টায় ধূরুয়া আগপাড়া গ্রামের মৃত দুলাল মিয়ার ছেলে ইয়াসিন ও মৃত আব্দুল রাজ্জাকের ছেলে বারেকের মাঝে গাছের ডাল ভাঙ্গা নিয়ে ঝগড়া হয়। এসময় উভয় পক্ষের নারী-পুরুষের মাঝে ধস্তাধস্তিতে কয়েকজন আহত হন। ইউপি সদস্য তাসনিম আক্তার তাদের প্রতিবেশী, ঘটনার সময় তিনি সেখানে উপস্থিত ছিলেন না। কিন্তু এঘটনায় তার স্বামী আপেল মিয়াসহ তাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। দেয়া হয়েছে থানায় অভিযোগ।

প্রতিবেশী (একটি পক্ষ) ইয়াসিন বলেন, জোরপূর্বক আমার ঘরের বেড়ায় দা দিয়ে কুপিয়েছে। আমি প্রতিবাদ করায় আমার মাকেও আ: বারেক মারধর করেছে। কিন্তু এ সময় তাসনিম আক্তার ছিলো না।

তাসনিম আক্তার মনে করেন সামনে ইউপি নির্বাচন, বিগত সময়ে তিনি বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়েছিলেন এবারও অংশগ্রহণ করবেন। তার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষাম্বিত হয়েই বারেক ও মোঃ আব্দুল আজিজ নামে এক সাংবাদিককে দিয়ে তার দুর্নাম করার চেষ্টা করছে প্রতিপক্ষ।

প্রতিবেশি আব্দুল হেকিম বলেন, সকালে চিৎকার চ্যাচামেচি শুনে তিনি ঘটনাস্থলে ছুটে যান তিনি, এসময় তাসনিম আক্তার ও তার স্বামী আপেলকে তিনি সেখানে দেখেননি।

রামগোপালপুর ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের সদস্য একেএম রেজাউল করিম জানান, ঝগড়ার বিষয়টি শোনার সাথে সাথে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়েছেন, সেখানে তাসনিম আক্তার ছিলেন না।

ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম মাস্টার বলেন- ঘটনাস্থলের কাছাকাছি তার বাড়ি। ঝগড়ার ঘটনাটি শোনে তিনিও ছুটে গিয়েছিলেন, ইউপি সদস্য তাসনিম আক্তার ও তার স্বামী আপেল মিয়াকে তিনি দেখতে পাননি।

অভিযোগকারী বারেক মিয়া বলেন, তাসনিম আক্তার ও তার স্বামী আপেল মিয়া হামলা করেনি। তবে তাদের নির্দেশেই প্রতিপক্ষের লোকজন হামলা করেছে। এতে তাঁর মা রাবেয়া খাতুনের হাত ভেঙে গেছে।

সংবাদ প্রকাশের ব্যাপারে মোঃ আব্দুল আজিজ বলেন, ঘটনাস্থলে তিনি যাননি। সংবাদটি এক জুনিয়র সাংবাদিক প্রকাশ করেছেন। তিনি দাবী করেন, তাসনিম আক্তারের স্বামী আপেল মিয়া সম্পর্কে তার মামা হয়।

গৌরীপুর থানার এসআই আলমগীর হোসেন জানান, এ ব্যাপারে বারেক মিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন তিনি। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে আপোষ মীমাংসার পর্যায়ে রয়েছে।




শেয়ার করুন

GloboTroop Icon
পাঠকের মতামত

মেঘনা নিউজ-এ যোগ দিন

Meghna Roktoseba




এক ক্লিকে জেনে নিন বিভাগীয় খবর



© মেঘনা নিউজ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by ShafTech-IT