দাউদকান্দি-মেঘনাতে ভূঁইয়া পরিবার অভাবনীয় উন্নয়নে বদলে দিয়েছেন দৃশ্যপট
এইচএম দিদার,দাউদকান্দি,কুমিল্লা শুক্রবার বিকেল ০৫:৫৪, ২৮ মে, ২০২১
বৃষ্টির স্পর্শ আর মেঘকালো আকাশের মেঘ ডাকা গোঙানিতে শান্ত পরিবেশ। পথের মাঝে মিতালিতে মেতে ওঠছে আকাশ হতে ঝরে পরা বৃষ্টি কণা। কেউ কেউ এই সুখানুভূতিকেই অবলোকন করে হয়তো একেই বলে বৃষ্টি বিলাস।
সময়ের পরিক্রমায় কিছু কিছু মানুষ কালের তরিতে গা ভাসিয়ে জনগণের কল্যাণে কাজ করে “কাল পুরুষ” রুপে নিজেকে অধিষ্ঠিত করে। তাদের সুনিপুণ হাতের পরশে বদলে যায় সমাজ, বদলে যায় জনপথের দৃশ্যাবলী।
তাদের কিছু কাজ হয়ে ওঠে কালের স্বাক্ষী।
ঢাকা–চট্রগ্রামের মূল প্রবেশদ্বার বলা হয় দাউদকান্দিকে। ভৌলিক ও রাজনৈতিক কারণে এ এলাকার সুনাম দেশ জুড়ে। এখান থেকেই জন্ম নিয়েছেন দেশের জাঁদরেল নেতারা।
বলছি এই এলাকার শান্তি প্রিয় রাজনীতির রচয়িতা এক সময়ের প্রভাবশালী সেনাকর্মকর্তা, একাত্তরের সম্মুখপানের বীর সেনানী, বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর জেনারেল (অব.) সুবিদ আলী ভূঁইয়া এমপি ও তারই সুযোগ্য পুত্র দাউদকান্দি উপজেলা পরিষদ এর চেয়ারম্যান মেজর(অব.) মোহাম্মদ আলী‘র কথা।
জেনারেল ভূঁইয়া ২০০৮ সালে ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আ.লীগের নৌকার টিকেট পেয়ে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে নিরঙ্কুশ বিজয় লাভ করে এক ইতিহাস সৃষ্টি করেন। জনশ্রুতি আছে স্বাধীনতার ৩৫ বছর পর কুমিল্লা– ১ আসন থেকে নৌকার প্রার্থী হিসেবে বিজয় লাভ করে এক চমক সৃষ্টি করেছিলেন জেনারেল ভূ্ঁইয়া। এর পর থেকে তাকে আর পিছনে ফিরে থাকাতে হয় নি। বিজয়েরই এই স্বাদ তিনি টানা ৩ বার আস্বাদন করেছেন।
প্রথম বার নির্বাচিত হয়েই কাজ পাগল এই এমপির হাতের উন্নয়নের ছোঁয়ায় বদলে দিয়েছেন দ্বীপ খ্যাত অবেহিলত মেঘনার দৃশ্যপট। এই উন্নয়নের ধারা আ.লীগ সরকারের টানা তিন মেয়াদেই তিনি অব্যাহত রেখেছেন।
একই ধারায় অভাবনীয় উন্নয়ন করেছেন দাউদকান্দিতেও। ঠাঁই নিয়েছেন লাখো মানুষের মন–মনিকোঠায়। আজ তিনি কিংবদন্তী নেতা তুল্য।
এই দুই উপজেলার অবকাঠামোগত উন্নয়ন থেকে শুরু করে বিদ্যুৎ খাতেও উন্নয়ন দৃশ্যমান। ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়েছেন বিদ্যুতের বাতি। এতো উন্নয়ন করার পরেও তিনি আরো উন্নয়ন করতে চান এই দুই উপজেলায়।
এবার আসি তার সুযোগ্য পুত্র দাউদকান্দি উপজেলা পরিষদ এর চেয়ারম্যান মেজর(অব.) মোহাম্মদ আলী‘র কথায়। তিনি এ উপজেলা থেকে ২০১৪ সালে প্রথম উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। নির্বাচিত হয়ে শপথ নেওয়ার পর থেকেই দাউদকান্দিতে প্রতিটি ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডে উন্নয়ন যজ্ঞ শুরু করেন। এ যাত্রায় তিনি সফলও হন। প্রথমবার অভাবনীয় উন্নয়ন আর জনকল্যাণমূলক কাজের পুরস্কারও পান তিনি।
অনুষ্ঠিত ২০২০ সালের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আ.লীগ থেকে নৌকার টিকেট পেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি‘র ধানের শীষের প্রার্থী সাইফুল আলম ভূঁইয়াকে পরাজিত করে টানা দ্বিতীয় বারের মতো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন তিনি। গত বছরের মার্চ থেকে শুরু হওয়া সৃষ্ট বৈশ্বিক মহামারি করোনাকালীন সময়ে বিপদগ্রস্ত মানুষকে তৃণমূলেও সেবা পৌঁছে দিয়েছেন তিনি। অসহায় ও কর্মহীনদের দিয়েছেন আর্থিক ও খাদ্যসামগ্রী সহায়তা। তার করোনাকালীন সময়ের সেবা পেয়ে মানুষ তাকে “মানবতার ফেরিওয়ালা” হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
গত দুই মাস আগে তাঁকে চ্যানেল আই টেলিভিশন থেকে সমাজ সেবায় অসামান্য অবদানের জন্য দেওয়া হয় “শ্রেষ্ঠ সমাজ সেবক” সম্মাননা। সারা দেশের রাজনীতি যখন উত্তপ্ত ও উত্তাল তখন তাদের পিতা–পু্ত্রের সৌহার্দ্য ও মানবিক হৃদয়ের কারণে এই এলাকার রাজনীতিতে রচিত হয়েছে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ।
দাউদকান্দি –মেঘনা হয়ে ওঠে শান্তির জনপথ। বিরোধী মতের রাজনীতিবিদ বা নেতা–কর্মীদের প্রতি নেই কোনো দমন–পীড়ন,নেই কোনো মামলা বা হামলার আশংকা। এখানে একপ্রকার শান্তিপূর্ণ পরিবেশে রয়েছে সহাবস্থানে রাজনীতি চর্চা করার সুযোগ।
এতো উন্নয়ন আর সমৃদ্ধকরণের পরেও তবে এই শান্তির জনপথকে কারা যেনো অশান্তিময় করে তুলার পায়তার করছে সে কথাই তুলে ধরবো ভূঁইয়া পরিবার সমর্থক গোষ্ঠীদের মুখ থেকে।
উপজেলা মৎসজীবী লীগ এর সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ইলিয়টগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. লোকমান হোসেন বলেন,”জেনারেল ভূ্ঁইয়া এমপি মহোদয় ও মেজর (অব.) মোহাম্মদ আলীর দক্ষ নেতৃত্বগুণে ঈর্ষাণ্বিত হয়ে একটি বিশেষ মহল অপশক্তির ফণা তুলে বিষ ছড়াতে চাচ্ছে তাই আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সেসব অপশক্তি মাথাচাড়া দেওয়ার আগেই তাঁদের পরিকল্পনা নসাৎ করে দিতে হবে।”
একই কথা জানালেন উপজেলা আ.লীগ নেতা ও গৌরীপুর বাজার ব্যবসায়ী সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো.নোমান মিয়া সরকার, তিনি আরও বলেন,”আমরা যারা ভূইয়া পরিবারের রাজনীতি করি তাদেরকে দমানোর জন্য গুটি কয়েক কুচক্রী মহল আমাদের নেতা–কর্মীদের হুমকিধামকি দিচ্ছে। কিন্তু আমার নেতা জেনারেল ভূঁইয়া এমপি মহোদয় ও মেজর(অব.) মোহাম্মদ আলী‘র পরিস্কার কথা আমরা কোনো অহিংস রাজনীতিতে বিশ্বাসী নই তাই আমরা প্রতিপক্ষকে ছাড় দেই কিন্তু পরিতাপের বিষয় ঐসব কুচক্রী মহল মানবতাকে দুর্বলতা ভেবে আমাদের দমাতে চায়,থামাতে চায়। পরিস্কার কথা আমরা কোনো অপশক্তিকে বিন্দু মাত্র ছাড় দিতে নারাজ।”
উপজেলা পরিষদ এর ভাইস–চেয়ারম্যান ও উপজেলা ছাত্রলীগ এর সভাপতি মো.তরিকুল ইসলাম নয়ন জানান,”আকাশে মেঘ দেখে ভয়ের কিছু নেই,মেঘের আড়ালেই সূর্য হাসে। আমরা রাজনীতির জবাব মাঠে দিতে প্রস্তুত, টেবিলের জবাব টেবিলে দিতেও প্রস্তুত। বিভিন্ন ওয়ার্ডে আ.লীগসহ এর সহযোগী সংগঠনের নেতা–কর্মীদেরকে আমাদের প্রতিপক্ষের দুষ্কৃতকারী ও দলছুট নিষ্ক্রিয় জনবিচ্ছিন্নরা হুমকিধামকি দেওয়ার খবর পাই কিন্তু আমরা সাদামনের মানুষ দাউদকান্দি –মেঘনার আধুনিক উন্নয়নের রুপকার জননেতা মেজর জেনারেল (অব.) সুবিদ আলী ভূঁইয়া এমপি স্যার ও তারুণ্যের আইকন মেজর(অব.) মোহাম্মদ আলী‘ ভাইয়ের রাজনৈতিক আদর্শে বিশ্বাসী।
তারা প্রতিহিংসার রাজনীতি পছন্দ করে না। সব সময় নেতা–কর্মীদেরকে অহিংস ও জনকল্যাণমূলক রাজনীতি করার তাগিদ দেন। দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজ মুক্ত পরিবেশ চান তাঁরা। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলে আমাদের মানবিকতাকে অপশক্তির মানুষগুলো দুর্বলতা মনে করে। প্রকৃতপক্ষে বলতে চাই– আমরা দুর্বল নই,আমরা সবল ও শক্তিশালী।
আমাদের পরিস্কার হুঁশিয়ারি আমাদের কোনো রাজনৈতিক নেতা–কর্মীদেরকে যাঁরা চোখ রাঙানি দিবে তাদেরকে আমরা আর অনুকম্পা করতে চাই না। সময় মতো এসব দুষ্কৃতকারীদেরকে দাঁতভাঙা জবাব দেওয়া হবে–ইনশাল্লাহ।“