দাউদকান্দির তিন শহীদ পরিবারকে ৩ লাখ টাকা অনুদানের ঘোষণা প্রবাসি সাইফুলের
হোসাইন মোহাম্মদ দিদার শনিবার রাত ১০:০৩, ১০ আগস্ট, ২০২৪
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে প্রবাসীদের অংশগ্রহণ অনস্বীকার্য। সারা বিশ্বে বসবাসরত প্রবাসিরাও সদ্য ক্ষমতাচ্যুত সরকারের বিরুদ্ধে রেমিট্যান্স পাঠানো বন্ধ ঘোষণা করেন।
দেশের অর্থনৈতিক শক্তিকে সচল রাখতে বিশেষ যোগানদাতা প্রবাসিদের বলা হয় রেমিট্যান্সযোদ্ধা। এই ঘোষণার পরপর
সরকারের দুর্বল রিজার্ভ ফান্ডে কঠিন আঘাত করে মসনদ কাঁপিয়ে তুলেছিল।
এছাড়াও প্রবাসিরা স্বৈরশাসক তকমা পাওয়া শেখ হাসিনার পদত্যাগ চেয়ে সারাবিশ্বে উত্তাল ঢেউ জাগিয়েছিল। সেই ঢেউ শেখ হাসিনার মসনদ আরও দুর্বল হতে থাকে। অবশেষে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের তোপের মুখে পড়ে গত ৫ আগষ্ট দেশ থেকে পলায়ন করে শেখ হাসিনা।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন সারা দেশের জেলা উপজেলায় অসংখ্য শিক্ষার্থী আহত হয়, শহীদ হয়েছেন অনেকেই।
ব্যতিক্রম নেই দাউদকান্দি উপজেলায়ও। এই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে দাউদকান্দি উপজেলায় ৩ জন শহীদের খোঁজ পাওয়া গেছে।
এদের মধ্যে একজন দুইজন শিক্ষার্থী ও একজন জনতা। এদের দুজন শহীদ রিফতা ও শহীদ বাবু প্রাণ হারিয়েছেন দাউদকান্দি আর শহীদ জিহাদ নামের শিক্ষার্থী ঢাকার যাত্রাবাড়িতে প্রাণ হারান।
এসব শহীদদের পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন সৌদি আরবে বসবাসরত বাংলাদেশি প্রবাসি দাউদকান্দি সুন্দলপুর ইউনিয়নের ঢাকারগাঁও গ্রামের বাসিন্দা বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এসআইপি গ্লোবাল সার্ভিসের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম প্রধান। তিনি আজ শনিবার রাতে তিন শহীদ পরিবারকে নিজস্ব তহবিল থেকে ১ লক্ষ টাকা করে মোট ৩ লাখ টাকা অনুদান দেওয়ার কথা জানান এই প্রতিবেদককে।
দাউদকান্দি উপজেলার শহীদরা হলেন— উপজেলার বারপাড়া গ্রামের বাসিন্দা শহীদ মোহাম্মদ রিফাত, ঢাকারগাঁও গ্রামের বাসিন্দা শহীদ জিহাদ হাসান মাহিম ও পৌরসভার তুজারভাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দিা শহীদ বাবু।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আরাফাতুল আলম বলেন, “প্রবাসী সাইফুল প্রধানের এই মানবিক উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। শহীদ পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে প্রমাণ করেছেন তিনি মানবিক এবং সহৃদয়বান একজন ব্যক্তি। তার এই উদ্যোগকে আমি সাধুবাদ জানাই।
আমিও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শহীদ পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করবো। আমরা সকলে ভেদাভেদ ভুলে একটি সুন্দর, শান্ত ও নিরাপদ বাংলাদেশ গড়তে চাই।