দাউদকান্দিতে শর্ত ভঙ্গের অভিযোগে ফার্মেসি বন্ধ
এইচএম দিদার,দাউদকান্দি,কুমিল্লা রবিবার রাত ০২:০৫, ১৫ আগস্ট, ২০২১
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অভ্যন্তরে ন্যায্য মূল্যের ঔষধের দোকানটি শর্ত ভঙ্গ, চুক্তির মেয়াদ না থাকায় এবং ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগে বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ২০১০ সালের মে মাস থেকে তিন বছরের জন্য মেসার্স সরকার মেডিকেল হল-কে পরিচালনার জন্য দায়িত্ব দেয় জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়।
শর্তানুযায়ী দোকানটি সার্বক্ষনিক ২৫ ডিগ্রী সে:সি: তাপমাত্রার নিচে থাকার কথা, ১৫.৭৫ শতাংশ কমমূল্যে ঔষধ বিক্রী করা হয় এমন সাইনবোর্ড দৃশ্যমান স্থানে প্রদর্শন রাখার কথা থাকলেও মেসার্স সরকার মেডিকেল হল এর কোনটিই তোয়াক্কাই করেননি।মাত্রাতিরিক্ত ঔষধের মূল্য নিয়ে রয়েছে রোগীদের ব্যাপক অভিযোগ।
সরকারী নিয়মনীতি অমান্য করায় গত বছর ২৬ আগষ্ট তৎকালীন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.মো. শাহীনূর আলম সুমন ৫ দিনের সময় বেধে দিয়ে দোকান খালি করার লিখিত চিঠি দেন, অন্যথায় বিধিমোতাবেক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করার কথাও উল্লেখ করা হয় ওই চিঠিতে।
মেসার্স সরকার মেডিকেল হলের মালিক মো.মহিউদ্দিন বলেন,” ২০১০ সালের পর আর কোন টেন্ডার হয়নি, আগের টেন্ডারেই আমি চালাচ্ছি। নবাগত উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.মো. শহীদুল ইসলাম শোভন ফার্মেসী বন্ধ করে দিয়েছে । আমি প্রতি মাসেই দোকান ভাড়ার টাকা সরকারী কোষাগারে জমা দিচ্ছি। নিয়মনীতি ভঙ্গের বিষয়ে তিনি মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।”
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো.শহীদুল ইসলাম শোভন বলেন,”তিন মাস আগে আমি যোগদান করার পর কুমিল্লা সিভিল সার্জন মহোদয় ভিজিটে আসলে ফার্মেসিটির ব্যাপারে আমাকে খোঁজখবর নিতে বলেন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীরা যেন সহজে ঔষধ ক্রয়ের জন্য বেশ কিছু শর্তসাপেক্ষে দোকানটি ২০১০ সালে মেসার্স সরকার মেডিকেল হল-কে বরাদ্দ দেয়া হয়। পরবর্তীতে সরকার আর মেয়াদ বৃদ্ধি করেনি। আমি ফার্মেসির মালিককে ডেকে কাগজপত্র চাইলে সে দেখাতে পারেনি।”