দাউদকান্দিতে মেছো বিড়াল শাবক অবমুক্ত
হোসাইন মোহাম্মদ দিদার বৃহস্পতিবার বিকেল ০৪:৫২, ৩১ আগস্ট, ২০২৩
কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের মহিষমারী গ্রামটি প্রাকৃতিক অভয়ারণ্যের মত আচ্ছাদিত। ঘন ঝোপঝাড় জঙ্গলে সাপ,শিয়াল, বেঁজি, গুইসাপ, বনবিড়াল, মেছো বিড়ালের অস্ত্বিত্বের সন্ধান পাওয়া যায় মাঝেমধ্যে। গতকাল সকালে মোস্তাক ওয়াজির বাড়ির গরুর ঘরে দুইটি শাবকসহ মা মেছো বিড়ালটি দেখতে পায় শিশু কিশোররা। দুরন্ত কিশোর তরুণরা চিতা বাঘ মনে করে ধাওয়া করে। এতে গরু ঘরে বেড়া দেয়া জালে একটি শাবক আটকে যায়। নাদুসনুদুস চমৎকার সুন্দর শাবকটি ধরে তারা খাঁচায় আটকে রাখে। মহিষমারী গ্রামের হেলাল মাস্টার পাখি প্রকৃতি বন্যপ্রাণী নিয়ে কাজ করা পরিবেশবিদ মতিন সৈকতের সাথে যোগাযোগ করেন এবং ছবি পাঠিয়ে নিশ্চিত হন এটি মেছো বিড়াল শাবক। জাতীয় পরিবেশ পদক এবং দুইবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পদক প্রাপ্ত মতিন সৈকত দ্রুত মেছো বিড়াল শাবকটি অবমুক্ত করার জন্য মহিষমারীতে ছুটে আসেন। তিনি বলেন ‘পাখি, বন্যপ্রাণী, প্রকৃতি, পরিবেশের কোন ক্ষতি করা যাবেনা। পরিবেশ বাচঁলে আমরা বাঁচব। কিশোর তরুণ যুবকদের পরিবেশ সংরক্ষণে দায়িত্ব নিতে হবে।’
দাউদকান্দি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মহিনুল হাসান-কে অবহিত করা হলে তিনি বন বিভাগের কর্মকর্তাদের ঘটনাস্থলে পাঠান। উপজেলা বন কর্মকর্তা হোমনা ( অতিরিক্ত দায়িত্ব দাউদকান্দি) মোঃ মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী তার টিম নিয়ে উপস্থিত হন। তিনি গ্রামবাসীকে বলেন ‘বন্যপ্রাণী আটক করা দণ্ডনীয় অপরাধ। সরল বিশ্বাসে না বুঝে প্রাণীটিকে আটক এবং অক্ষত থাকায়, অবমুক্ত করতে পারায় মামলা থেকে রেহাই দেয়া হলো। না হলে আইনের আওতায় এনে জেলে পাঠানো হত।’ হেলাল মাস্টার বাড়ি সংলগ্ন ঝোপঝাড়ে মেছো শাবকটি অবমুক্ত করেন পরিবেশবিদ মতিন সৈকত এবং বনবিভাগের কর্মকর্তা মোঃ মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী।
কয়েক বছর আগে এ গ্রাম থেকে ধরা তিনটি শিয়াল শাবক একটি গুইসাপ উদ্ধার এবং অবমুক্ত করেন দাউদকান্দি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ কামরুল ইসলাম, পাখি ও বন্যপ্রাণী নিয়ে কাজ করা মতিন সৈকত এবং বন বিভাগের কর্মকর্তা’রা।