তাহিরপুর সীমান্তে নৌকাসহ ৪টন কয়লা আটক,সোর্সদের দাপট
মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া,সুনামগঞ্জ সোমবার দুপুর ০২:২৭, ১৬ নভেম্বর, ২০২০
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর সীমান্তে অভিযান চালিয়ে ১টি বারকি নৌকাসহ ৪ মে.টন চোরাই কয়লা আটক করেছে বিজিবি। কিন্তু সোর্স পরিচয়ধারী ও চিহ্নিত চোরাই কয়লা ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার না করার কারণে তাদের দাপট দিনদিন বেড়েই চলেছে বলে জানাগেছে।
এলাকাবাসী জানায়- গতকাল ১৫.১১.২০ইং রবিবার রাত ৮টায় জেলার তাহিরপুর উপজেলার চারাগাঁও সীমান্তের বাঁশতলা এলাকা দিয়ে বিজিবি অধিনায়কের সোর্স পরিচয়ধারী রমজান মিয়া,বাবুল মিয়া ও শফিকুল ইসলাম ভৈরব চোরাই কয়লার শ্রমিক সর্দার কুদ্দুস মিয়াকে নিয়ে ভারত থেকে বিপুল পরিমান কয়লা ও মাদক পাচাঁর করে। পরে বাঁশতলা গ্রামের জলিল মিয়ার বাড়ির দক্ষিণ দিকে সমসার হাওর পাড়ে চোরাই কয়লা ব্যবসায়ী খোকন মিয়ার নৌকায় বোঝাই করে। খবর পেয়ে চারাগাঁও ক্যাম্পের বিজিবি সদস্যরা হাওরে অভিযান চালিয়ে ১টি কাঠের বারকি নৌকাসহ ২ মে.টন অবৈধ চোরাই কয়লা আটক করে। কিন্তু নৌকায় থাকা কয়লার মালিক বাবুল মিয়া ও কুদ্দুস মিয়াসহ তাদের সহযোগীদের গ্রেফতার করতে পারেনি। এরআগে বিকাল ৪টায় একই সীমান্ত দিয়ে উপরের উল্লেখিত সোর্সরা কয়লা পাচাঁর করে বাঁশতলা গ্রামের বিভিন্ন বাড়িঘর,পুকুর ও হাওরের পানিতে লুকিয়ে রাখে। এখবর পেয়ে বিজিবি অভিযান চালিয়ে বাঁশতলা গ্রামের ইসব আলীর বাড়ির দক্ষিণ দিকের পুকুরের তীর থেকে আরো ২ মে.টন চোরাই কয়লা জব্দ করে। কিন্তু কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। অন্যদিকে বালিয়াঘাট সীমান্তের লালঘাট,লাকমা ও টেকেরঘাট এলাকা দিয়ে বিজিবি অধিনায়কের সোর্স পরিচয়ধারী ইয়াবা কালাম,জিয়াউর রহমান জিয়া ও লেংড়া জামালের নেতৃত্বে প্রতিদিন ভারত থেকে কাঠ,লাকড়ি,বাঁশ,মদ,গাঁজা,কয়লা ও ইয়াবা পাচাঁর করা হলেও তাদের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না বলে বড়ছড়া শুল্ক স্টেশনের ব্যবসায়ীরা জানান। তবে গত ৪ মাসে সীমান্তের লামাকাটা,জংগলবাড়ি,বাঁশতলা,লালঘাট,লাকমা ও টেকেরঘাট এলাকা দিয়ে প্রায় কোটি টাকার কয়লা ও মাদক পাঁচার করে নেত্রকোনা জেলার কমলাকান্দা উপজেলা সদরের মনতলা নিয়ে বিক্রি করেছে সোর্স পরিচয়ধারী ও চিহ্নিত চোরাই কয়লা ব্যবসায়ীরা। এছাড়া টেকেরঘাট,চাঁনপুর ও লাউড়গড় সীমান্তের রজনীলাইন, রাজাই,বারেকটিলা,যাদুকাটা নদী,পুরান লাউড়,সাহিদাবাদ ও মনাইপাড় এলাকা দিয়ে সোর্স পরিচয়ধারীরা সিন্ডিকেড তৈরি করে প্রতিদিন কয়লা,মদ,বিড়ি,ইয়াবা,অস্ত্র ও গরু পাচাঁর করছে। তবে চোরাই কয়লা নিয়ে ইতিমধ্যে সীমান্তের লাউড়গড়, জংগলবাড়ি ও লালঘাটে বিজিবি ও চোরাচালানীদের সাথে ঘটেছে সংঘর্ষের ঘটনা।
এব্যাপারে বীরেন্দ্রনগর বিজিবি ক্যাম্পের ল্যান্স নায়েক আক্তার হোসেন বলেন- সীমান্ত চোরাচালান প্রতিরোধ করার জন্য প্রতিদিনই আমাদের অভিযান চলছে। কিন্তু সুনামগঞ্জ ২৮ ব্যাটালিয়নের বিজিবি অধিনায়ক মাকসুদুল আলমের সরকারি মোবাইল নাম্বারে কল করলে রহস্য জনক কারণে তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।