ঢাকা (রাত ১:৩৮) রবিবার, ৩রা নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

তাহিরপুরে ত্রাণের ১৫বস্তা চাল চুরি নিয়ে লংকাকান্ড

মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া,সুনামগঞ্জ মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া,সুনামগঞ্জ Clock রবিবার বিকেল ০৪:১৯, ৮ নভেম্বর, ২০২০

সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে ত্রাণের ১৫বস্তা চাল চুরির ঘটনাকে কেন্দ্রে করে চলছে লংকাকান্ড। গত ৩দিন আগে ৫০কেজি ওজনের ১৫বস্তা ত্রাণের চাল ডিলারের গোদাম ঘরের তালা ভেংগে চুরি হয় বলে অভিযোগ উঠে। আর এই চুরির ঘটনার জন্য দায়ী করা হয় ডিলারের ব্যবসায়িক পার্টনারকে। চালের ডিলারের নাম হারুন মিয়া। তার ব্যবসায়িক পার্টনারের নাম কুদ্দুস মিয়া।

তারা দুজন জেলার তাহিরপুর উপজেলার দক্ষিণ বড়দল ইউনিয়নের বাসিন্দা। তবে ত্রাণের এই চাল চুরির ঘটনার পর থেকে শুরু হয় নানান নাটকীয় ঘটনা।

এলাকাবাসী জানায়- জেলার তাহিরপুর উপজেলার দক্ষিণ বড়দল ইউনিয়নের ডিলার হারুন মিয়া ও তার ব্যবসায়িক পার্টনার কুদ্দুস মিয়া মিলে জামতলা বাজারে একটি গোদামঘরে সরকারি ত্রাণের চাল মজুত রাখে। গত ০৫.১১.২০ইং বৃহস্পতিবার সকালে তাদের গোদাম ঘরের তালা ভেঙ্গে ১৫বস্তা ত্রাণের চাল চুরি হয় বলে এলাকাবাসীকে জানায় ডিলার হারুন মিয়া। আর এই চুরির ঘটনার জন্য ডিলার হারুন মিয়া তার ব্যবসায়িক পার্টনার কুদ্দুস মিয়াকে দায়ী করে।

পরে ডিলার হারুনের পার্টনার কুদ্দুস মিয়ার আত্মীয় পাশর্^বর্তী আমবাড়ি গ্রামের আবু তাহের ও লাল মিয়ার বাড়িতে বাদাঘাট ফাঁড়ি ক্যাম্পের পুলিশ সদস্যরা অভিযান চালিয়ে ত্রাণের ১৫বস্তা চাল উদ্ধার করে। এবং জামতলা বাজার কমিটির সভাপতি মুছা মিয়ার নিকট জমা রাখে। এঘটনার পরে খোঁজ নিয়ে জানাগেছে ডিলার হারুন মিয়া ও কুদ্দুস মিয়া মিলে ত্রাণের প্রতি বস্তা চাল ১হাজার টাকা করে বিক্রি করেছে। কিন্তু এলাকাবাসীর মাঝে ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার কারণে মহাবিপদের পড়ে যায় দুজন।

পরে ত্রাণের চাল চুরি হওয়ার নাটক সাজায়। এঘটনাটি প্রকাশ হওয়ার পর থেকে পুরো উপজেলা জুড়ে ব্যাপাক আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় উঠে। পরে ডিলার হারুন মিয়া তার ব্যবসায়িক পার্টনার কুদ্দুস মিয়াকে ত্রাণের ১৫ বস্তা চাল চুরির ঘটনার জন্য দায়ী করে থানায় মামলা করবে বলে এলাকাবাসীকে জানায়। কিন্ত ৩দিন পেরিয়ে যাওয়ার পর আইনগত কোন পদক্ষেপ নেয়নি। বরং নগদ ৪০ হাজার টাকা ও ২২ বস্তা চালের বিনিময়ে গোপনে এই ঘটনাটি সমাধান করার নামে ধামাপাচা দেওয়া হয়েছে বলে এলাকাবাসী জানায়।

এব্যাপারে ত্রাণের চাল চুরির ঘটনার সাথে জড়িত বলে অভিযুক্ত কুদ্দুস মিয়া বলেন- ডিলার হারুন আমার ব্যবসায়িক পার্টনার,আমার কাছ থেকে সে টাকা নিয়ে ব্যবসা করে। আমার বোন ২বস্তা চাল না বলে নিয়েছিল। টাকা-পয়সার লেনদেন নিয়ে তার সাথে আমার দ্বন্দ চলছিল। তারই জের ধরে সে আমার নামে চুরির অপবাদ দিয়েছে। ডিলার হারুন মিয়া বলেন- কুদ্দুস মিয়া আমার ব্যবসায়িক পার্টনার না,ত্রাণের যে চাল চুরির হয়েছিল তা ফেরত পেয়েছি এবং আমরা সবাই মিলে থানায় বসে চাল চুরির ঘটনাটি সমাধান করে ফেলেছি।

তাহিরপুর থানার ওসি আব্দুল লতিফ বলেন- থানায় এব্যাপারে লিখিত কোন অভিযোগ হয়নি এবং কোন সালিশ ও হয়নি। তবে খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা আমাকে জানিয়েছেন ত্রাণের চাল আটকের বিষয় নিয়ে যে ঘটনাটি হয়েছিল তা সমাধান করে দিয়েছেন তিনি। এব্যাপারে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা মুশফিকুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করে পাওয়া যায়নি বলে তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।




শেয়ার করুন

GloboTroop Icon
পাঠকের মতামত

মেঘনা নিউজ-এ যোগ দিন

Meghna Roktoseba




এক ক্লিকে জেনে নিন বিভাগীয় খবর



© মেঘনা নিউজ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by ShafTech-IT