টানা বৃষ্টিতে বাড়ছে ব্রক্ষ্মপুত্র ও যমুনা নদীর পানি : বন্যার আশংকা
আসাদ খন্দকার, সাঘাটা(গাইবান্ধা) শনিবার রাত ০৯:১৫, ১১ জুলাই, ২০২০
টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে গাইবান্ধার ব্রক্ষ্মপুত্র ও যমুনা নদীর পানি হু হু করে বাড়ছে। ব্রক্ষ্মপুত্র নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
গত শনিবার গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কন্ট্রোল রুম সুত্রে জানা যায়, ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ফুলছড়ি পয়েন্টে গত ২৪ ঘন্টায় ১৭ সেন্টিমিটার বেড়ে
বিপদসীমার ১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধির ফলে উপজেলায় নতুন করে বন্যা দেখা দিয়েছে। এছাড়াও বাঙ্গালী, আলাই, কাটাখালী ও যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।
জানা গেছে, গত সপ্তাহের বন্যার ধবল কাটিয়ে উঠার আগে আবার সাঘাটা উপজেলায় বন্যা দেখা দিয়েছে। বন্যা অতঙ্ক দেখা দিয়েছে ব্রহ্মপুত্র নদীবেষ্টিত নিম্নাঞ্চল ফুলছড়ি উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে। যমুনা নদীবেষ্টিত সাঘাটা উপজেলার হলদিয়া, পালপাড়া, চিনিরপটল, চকপাড়া, পবনতাইড়, থৈকরপাড়া, বাশহাটা, মুন্সিরহাট, গোবিন্দি, নলছিয়াসহ বিভিন্ন গ্রানে বন্যার পানি ঢুকতে শুরু করেছে। উপজেলার বেশ কয়েকটি পয়েন্টে নদী ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। নদ-নদীর পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে স্রোতের তীব্রতাও। এতে ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে নদী ভাঙন। জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা একেএম ইদ্রিস আলী জানান, পর্যাপ্ত পরিমাণ ত্রাণসামগ্রী মজুদ আছে এবং বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় আমাদের যথেষ্ট প্রস্তুতি রয়েছে।
উলেখ্য, গত সপ্তাহে ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপদসীমার ৮২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। ফলে সাঘাটা উপজেলার ৫টি ও ফুলছড়ি উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের প্রায় ৩৫টি গ্রামের হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েন। গত ৬ জুলাই বন্যার পানি বিপদসীমার নিচে নামার ৩ দিনের মাথায় আবার বন্যা দেখা দেয়।