জনতার আদালতে বানরের মৃত্যুদন্ড কার্যকর
নিজস্ব প্রতিনিধি বৃহস্পতিবার রাত ১০:০১, ২১ নভেম্বর, ২০১৯
মোঃ ইবাদুর রহমান জাকির, বড়লেখা প্রতিনিধিঃ
মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখায় লোকালয়ে তাণ্ডব চালিয়ে এক শিশুকে হত্যা ও ৩০ জনকে আহত করে এই বন্য বানরের হামলায় বড়খলা গ্রামের এক শিশু কন্যার মৃত্যু ঘটে।আহত হয় শিশু, মহিলাসহ অন্তত ৩০ ব্যক্তি একটি বানর।পরে সেই বানর কে ও মেরে ফেলে এলাকাবাসী সরকারী সহযোগীতা ব্যতিত।
মঙ্গলবার সকালে ঘুমের ওষুধ মিশানো ভাত খাইয়ে দিনব্যাপী ধাওয়া করে বিকালে বানর টি কে ধরার পর উত্তেজিত জনতা আদালত বসিয়ে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে।
অভিযোগ উঠেছে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা এনামুল হক ইতিপূর্বে এলাকায় গিয়ে ভুক্তভোগী লোকজনকে বানর টি মেলে ফেলার নির্দেশ দেন। যদিও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী যে কোনো বন্যপ্রাণী হত্যা করা দণ্ডনীয় অপরাধ।
জানা গেছে, পাথারিয়া পাহাড়ের দলছুট একটি বানর গত ২৫ দিন পূর্বে উপজেলার কাঁঠালতলী এলাকায় পার্শবর্তী গ্রাম গুলোতে আসে। বানরটি বড়খলা,কাঁঠালতলী, রুকনপুর, দক্ষিণ মুছেগুল, উত্তরভাগসহ আশপাশের গ্রাম গুলোতে অর্তকিত হামলা চালায়।সুযোগ বুঝে সেটি নিরীহ পথচারীসহ শিশু শিক্ষার্থীদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে থাকে।
বানরের অর্তকিত হামলা উপদ্রপে অতিষ্ঠ লোকজন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানে কে অবগত করলে তিনি বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা এনামুল হককে খবর দেন।
১০ দিন পূর্বে রেঞ্জ কর্মকর্তা ঘটনা স্থলগুলো পরিদর্শন করে বনাঞ্চলে প্রত্যাবর্তনের কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে বানরটিকে মেরে ফেলার জন্য ভুক্তভোগী লোকজনকে নির্দেশ দিয়ে যান,যাহা এই সরকারী কর্মকতার খামখেয়ালী অভিযোগ বলে মনে করেন ভুক্তভোগী জনতা। আর তখন থেকেই বানরটিকে মেরে ফেলার জন্য ৬-৭ গ্রামের বাসিন্দারা ধাওয়া ও কৃতিম কৌশল শুরু করেন।
মঙ্গলবার সকালে ভাতের সঙ্গে অতিমাত্রায় ঘুমের ওষুধ খাইয়ে নেশাগ্রস্ত করে তাকে কর আয়ত্ব করেন।উত্তেজিত জনতা বিকাল ৩টার দিকে একটি ধানক্ষেত থেকে বানরটিকে আটক করে।পরে কাঁঠালতলী বাজার সংলগ্ন স্থানে শত শত জনতা আদালত বসিয়ে বানরটির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেন এলাকাবাসী ।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এনাম উদ্দিন জানান, প্রায় ২৫ দিন ধরে ৬-৭ গ্রামের লোকজন ওই বানরের আক্রমণে অর্তঙ্কিত ছিলেন।এর হামলায় এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে, আহত হয়েছে আরও ৩০ জন। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ বিভাগে খবর দিলে রেঞ্জ কর্মকর্তা এনামুল হক কয়েকদিন আগে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। কিন্তু লোকালয় থেকে তাড়ানোর ব্যবস্থা না নিয়ে তিনি লোকজনকে বানরটিকে মেরে ফেলার নির্দেশ দিয়ে যান।
বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ বিভাগের বড়লেখা রেঞ্জ কর্মকর্তা এনামুল হক বুধবার বিকালে জানান, বানরের উপদ্রপের খবর পেয়ে ইতিপূর্বে তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। বানর ধরার বা তাড়ানোর সরকারি কোনো কোন কৌশল না থাকায় তিনি বানরটিকে মেরে ফেলার জন্য লোকজনকে পরামর্শ দেন।মেরে ফেলার খবর শুনে তিনি বলেন, তাহাতে ভালোই হয়েছে।