ছাত্র আন্দোলনে শহীদ পরিবার ও আহত ছাত্রদের দেখতে গেলেন আব্দুস সাত্তার
হোসাইন মোহাম্মদ দিদার রবিবার বেলা ১২:১৮, ১১ আগস্ট, ২০২৪
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের তোপের মুখে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শুরু থেকে সারাদেশের মত উত্তাল ছিল দাউদকান্দি উপজেলায়ও।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে এই উপজেলায়ও হতাহতের ঘটনা ঘটছে। এদের মধ্যে দুই শিক্ষার্থী ও একজন শ্রমজীবী শহীদ হয়েছেন।
দাউদকান্দি উপজেলার শহীদরা হলেন— উপজেলার বারপাড়া গ্রামের বাসিন্দা শহীদ মোহাম্মদ রিফাত, ঢাকারগাঁও গ্রামের বাসিন্দা শহীদ জিহাদ হাসান মাহিম ও পৌরসভার তুজারভাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দিা শহীদ বাবু। এছাড়া প্রায় অর্ধশতাধিক ছাত্র-জনতার আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
এসব শহীদ পরিবারের সদস্যদের শুক্রবার বিকালে সশরীরে দেখতে গিয়েছেন দাউদকান্দি পৌরসভার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মানবিক মনের মানুষ উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুস সাত্তার।
এসময় আগত ও শহীদ পরিবারের তিনি সার্বিক খোঁজখবর নেন, এছাড়াও তাদেরকে তিনি নিজস্ব তহবিল থেকে নগদ আর্থিক সহযোগিতা করেন। এসময় সঙ্গে ছিলেন— বিএনপি নেতা কামাল হোসেন, জসিমউদদীন ও সমাজকর্মী তৌফিক রুবেলসহ অনেকে।
এবিষয়ে তিনি তার নিজস্ব ফেসবুক ওয়ালে একটি পোস্ট দেন তা পাঠকের উদ্দেশ্যে হুবহু তুলে ধরা হলো—
“যাদের রক্ত ও আত্বত্যাগের বিনিময়ে আমাদের প্রিয় স্বদেশ আজ মুক্ত তাদের যেন আমরা ভুলে না যাই।
দাউদকান্দিতে নিহত শহীদ বাবুর পরিবারে অসহায় স্ত্রী ও দুইটি মেয়ে শিশু রয়েছে। একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যাক্তিকে হারিয়ে পরিবারটি অসহায় ও মানবেতর জীবন যাপন করছে। আধা শতাংশ ভুমির উপর জরাজীর্ণ দোচালা ছাড়া আর কোন সহায় সম্পত্তি নেই তাদের। সবার কাছে বিনীত অনুরোধ এই চরম দরিদ্র পরিবারটির সহায়তায় এগিয়ে আসুন।
এছাড়াও কৃষ্ণপুর গ্রামের মেহেদী হাসান,পৌরসভা হাইস্কুল রোডে বসবাসকারি সবুজ মিয়া ঢাকা মেডিকেলে শিশু পারভেজ সহ আরো অনেকেই গুলিতে মারাত্মক আহত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের লেবার সর্দার ভাইয়ের কলেজ পড়ুয়া মেয়ে ইটের আঘাতে আহত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আসুন এই জানবাজি রাখা মানুষগুলোর পাশে দাড়াই।
আল্লাহ রাব্বুল আলামিন সবাইকে ভাল রাখুন।”