ঢাকা (সন্ধ্যা ৬:২৮) মঙ্গলবার, ২৩শে এপ্রিল, ২০২৪ ইং

ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১০

ছাত্রলীগ

<script>” title=”<script>


<script>

লালমনিরহাট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম ও সরকারি কলেজ শাখার বহিষ্কৃত ছাত্রলীগ নেতা হাবিবুর রহমানের পক্ষের মধ্যে দুই দফা সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আজ রোববার দুপুরে প্রথমে লালমনিরহাট সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে এবং দ্বিতীয় দফায় কলেজের অদূরে শেখ রাসেল শিশুপার্ক এলাকায় এ সংঘর্ষ হয়।

 

সংঘর্ষে আহত ব্যক্তিরা হলেন লালমনিরহাট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এস এম সাঈদ বিন শফি, সাংগঠনিক সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম, লালমনিরহাট সরকারি কলেজের ডিগ্রি তৃতীয় বর্ষের ছাত্র লাইকুজ্জামান জেমস, এই পক্ষের প্রতিপক্ষ ছাত্রলীগের লালমনিরহাট কলেজ শাখার স্থগিতাদেশ প্রাপ্ত কমিটির সহসভাপতি সালাউদ্দিন সুমন, একই কমিটির বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমানসহ ১০ জন।

 

আহত নেতা-কর্মীদের মধ্যে রাকিবুল ইসলাম রাব্বি ও লাইকুজ্জামান জেমস লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। শহিদুল ইসলাম ও এস এম সাঈদ বিন শফি স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। অন্যরা শহরের বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়েছেন।

 

লালমনিরহাট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘২০১৬ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি লালমনিরহাট কলেজ শাখার ছাত্রলীগের সব কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ জারি করা হয়। কলেজ শাখা ছাত্রলীগের নতুন কমিটি গঠনসংক্রান্ত বিষয়ে রোববার জেলা ছাত্রলীগের নেতারা লালমনিরহাট সরকারি কলেজের ছাত্রলীগ সমর্থক ও সাধারণ ছাত্রদের সঙ্গে আলোচনা করতে যাই। আমাদের কলেজ ক্যাম্পাসে দেখে বহিষ্কৃত ছাত্রলীগ নেতা হাবিবুর রহমানের সমর্থকেরা আমাদের ওপর হামলা করেন। তারপরও আমরা ধৈর্য ধরে আলোচনা সভা শেষে ফিরে আসার সময় কলেজের অদূরে শেখ রাসেল শিশুপার্ক এলাকার পেছন থেকে এসে তারা আবারও অতর্কিতভাবে আমাদের ওপর আক্রমণ করে। এতে আমাদের পক্ষের পাঁচ-ছয়জন আহত হন। এ সময় জেলা ছাত্রলীগের সদস্য স্বাধীন রহমানের মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়।’

 

শহিদুল ইসলাম আরও জানান, লালমনিরহাট ডিবি পুলিশ ২০১৬ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি মাদকবিরোধী অভিযানকালে হাঁড়িভাঙা এলাকা থেকে ৮০টি ইয়াবা বড়িসহ তিনজনকে আটক করে। এঁদের একজন লালমনিরহাট সরকারি কলেজের তৎকালীন ছাত্রলীগ কমিটির সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান। তাঁদের বিরুদ্ধে লালমনিরহাট সদর থানায় সংশ্লিষ্ট আইনে একটি মামলা হয়। এরপর ২০১৬ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি লালমনিরহাট জেলা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে সংগঠনবিরোধী কার্যকলাপ ও দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে হাবিবুর রহমানকে বহিষ্কার করা হয়।

 

অপর দিকে, ছাত্রলীগের লালমনিরহাট কলেজ শাখার স্থগিতাদেশ পাওয়া কমিটির সহসভাপতি সালাউদ্দিন সুমন দাবি করেন, ‘আমাদের না জানিয়ে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম তাঁর সমর্থকদের নিয়ে সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে নতুন কমিটি করার জন্য এলে ছাত্রলীগের সমর্থক ও সাধারণ ছাত্ররা এর প্রতিবাদ জানান। তর্ক-বিতর্কের একপর্যায়ে আমরা কলেজ থেকে বেরিয়ে শেখ রাসেল শিশুপার্কের পেছনে চায়ের দোকানে গেলে শহিদুল ইসলাম ও তাঁর লোকজন আমাদের ওপর হামলা করে। এতে আমিসহ আমাদের পক্ষের পাঁচ-ছয়জন আহত হয়েছেন।’ হাবিবুর রহমানকে না পাওয়ায় তাঁর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

 

লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, ছাত্রলীগের স্থানীয় দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ লালমনিরহাট সরকারি কলেজ ও শেখ রাসেল শিশুপার্ক এলাকা পরিদর্শন করেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। তিনি বলেন, এ ব্যাপারে কোনো পক্ষ থেকে থানায় কোনো অভিযোগ বা মামলা করা হয়নি। মামলা হলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তথ্যসূত্রঃ প্রথম আলো।

২১ মে ২০১৭, ২২:৩৮

শেয়ার করুন

GloboTroop Icon
পাঠকের মতামত

Meghna Roktoseba




এক ক্লিকে জেনে নিন বিভাগীয় খবর




© মেঘনা নিউজ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by ShafTech-IT