ঢাকা (দুপুর ২:৫৩) শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ ইং

চিত্রশিল্পী এসএম সুলতানের ৯৬তম জন্মবার্ষিকী আজ : নড়াইলে নানা আয়োজন

চিত্রশিল্পী এসএম সুলতান
চিত্রশিল্পী এসএম সুলতান

<script>” title=”<script>


<script>

বিশ্ব বরেণ্য চিত্রশিল্পী এসএম সুলতানের ৯৬তম জন্মবার্ষিকী সোমবার (১০ আগস্ট) আজ। দিনটি পালন উপলক্ষে সুলতান সংগ্রহশালা চত্বরে আজ সোমবার স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকালে কোরআনখানি, দোয়া মাহফিল ও শিল্পীর কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণের আয়োজন করা হয়েছে।

সুলতান ফাউন্ডেশনের সভাপতি ও জেলা প্রশাসক আনজুমান আরা জানান স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিল্পীর ৯৬তম জন্মবার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন করা হবে। শিল্পী সুলতান ১৯২৪ সালের ১০ আগস্ট নড়াইল শহরের মাছিমদিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম মেছের আলী, মা মাজু বিবি। রাজমিস্ত্রি পিতা মেছের আলীর নান্দনিক সৃষ্টির ঘঁষামাজার মধ্য দিয়ে ছোট বেলার লাল মিঞার (সুলতান) চিত্রাংকনে সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ হয়।

রাজমিস্ত্রি বাবার সংসারে দারিদ্রতার মাঝেও ১৯২৮ সালে নড়াইল ভিক্টোরিয়া কলেজিয়েট স্কুলে লেখাপড়া শুরু করেন এসএম সুলতান। স্কুলের অবসরে বাবার রাজমিন্ত্রী কাজে সহযোগিতার করার ফাঁকে ছবি আঁকতে শুরু করেন। রাজনীতিক ও জমিদার শ্যামাপ্রাসাদ মুখোপাধ্যায় ১৯৩৩ সালে নড়াইলের জমিদার ব্যারিস্টার ধীরেন রায়ের আমন্ত্রণে ভিক্টোরিয়া কলেজিয়েট স্কুল পরিদর্শনে আসলে তার একটি পোট্রেট আঁকেন পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র এসএম সুলতান। মুগ্ধ হন শ্যামাপ্রাসাদসহ অন্যরা।

শিশু-কিশোরদের চারুকলা শিক্ষার প্রসারের লক্ষ্যে সুলতানের উদ্যোগে ১৯৬৯ সালের ১০ জুলাই নড়াইলে ‘দি ইনস্টিটিউট অব ফাইন আর্ট’ প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৮৭ সালে তিনি স্থাপন করেন ‘শিশুস্বর্গ’। এদিকে, সুলতান তার সঞ্চিত অর্থ দিয়ে ১৯৯২ সালে ৬০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ১৫ ফুট প্রস্থ বিশিষ্ট দ্বিতলা নৌকা (ভ্রাম্যমাণ শিশুস্বর্গ) নির্মাণ করেন।সুলতানের শিল্পকর্ম ছিল বাংলার কৃষক,কৃষাণী,জেলে,তাঁতি,কামার,কুমার,মাঠ,নদী,হাওড়,বাওড়,জঙ্গল,সবুজ প্রান্তর ইত্যাদি।

চিত্রাংকনের পাশাপাশি বাঁশি বাজাতে পারতেন তিনি। পুষতেন সাপ, বেজি, বানর, খরগোস, মদনটাক,ভলুক,ময়না, গিনিপিগ,মুনিয়া,ষাঁড়সহ বিভিন্ন পশু-পাখি। চিত্রাপাড়ের লালমিয়া শিল্পের মূল্যায়ন হিসেবে পেয়েছেন ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘ম্যান অব দ্য ইয়ার’ নিউইয়র্কের বায়োগ্রাফিক্যাল সেন্টার থেকে ‘ম্যান অব অ্যাচিভমেন্ট’ এবং এশিয়া উইক পত্রিকা থেকে ‘ম্যান অব এশিয়া’ পুরস্কার। এছাড়া ১৯৮২ সালে একুশে পদক এবং ১৯৯৩ সালে স্বাধীনতা পদকে ভূষিত হন।

১৯৮৪ সালে বাংলাদেশ সরকারের রেসিডেন্ট আর্টিস্ট হিসেবে স্বীকৃতি এবং ১৯৮৬ সালে বাংলাদেশ চারুশিল্পী সংসদ সম্মাননা পান। সুলতানের স্মৃতিকে ধরে রাখার জন্য শিল্পীর মৃত্যুর পর সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের উদ্যোগে শিল্পীর বাসভবন সংলগ্ন ২একর ৫৭ শতক জমির ওপর নির্মিত হয়েছে এস এম সুলতান স্মৃতি সংগ্রহশালা।

১৯৯৪ সালের ১০ অক্টোবর এই শিল্পী যশোর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। প্রিয় জন্মভূমি নড়াইলের কুড়িগ্রামের নিজ বাড়ির আঙিনায় তাকে শায়িত করা হয়।

শেয়ার করুন

GloboTroop Icon
পাঠকের মতামত

Meghna Roktoseba




এক ক্লিকে জেনে নিন বিভাগীয় খবর




© মেঘনা নিউজ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by ShafTech-IT