চালের দানার মতো রাডার বানালেন ভারতীয় যুবক
সেলিম খান সোমবার দুপুর ০১:৫৬, ২৩ মার্চ, ২০২০
চালের দানার থেকেও ছোট্ট একটা মাইক্রোচিপের উপর রাডার বানিয়েছেন ভারতীয় এক যুবক। প্রতিভাবান এ যুবকের আবিস্কারের পর বিমানবন্দরে তল্লাশিতে গতি আসবে বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের।নতুন এ আবিস্কারের ফলে বিমানবন্দরে পার হতে হবে না মেটাল করিডর। ফলে, এড়ানো সম্ভব হবে এক্স-রে শরীরে ঢোকার বিপদআপদও। এই প্রযুক্তি আরো উন্নত হলে বহু দূর থেকে হৃদস্পন্দন আর শ্বাস-প্রশ্বাসের হার মেপে বলে দেয়া যাবে কোনো ব্যক্তি অসুস্থ কি না। সেটা হবে বিমানবন্দরের বিভিন্ন জায়গায় রাখা এই রাডার সিস্টেমের মাধ্যমে। চেহারাটা হবে একটা সেলফোনের মতো। যার মধ্যে চালের দানার চেয়েও ছোট মাইক্রোচিপে থাকবে গৌরবের উদ্ভাবিত রাডার।
এই গবেষণায় অর্থসাহায্য করেছে কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক, প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা (ডিআরডিও) এবং ‘ভারত ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড (বেল)’। কেন্দ্রীয় সরকারের ‘ইমপ্রিন্ট’ কর্মসূচিতে।বিমানবন্দরে এই ধরনের রাডার ব্যবস্থা যদি এখনই চালু থাকত, তা হলে চীনের উহান থেকে আটক ভারতীয়দের দিল্লিতে ফিরিয়ে এনে রক্ত ও নানা ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য সপ্তাহভর আলাদাভাবে রাখতে হতো না। বিমানবন্দরে নামার পরেই যাত্রীদের দেখে সেই রাডার বুঝে ফেলতে পারত, করোনাভাইরাসের প্রাথমিক লক্ষণগুলি রয়েছে দেশে ফিরিয়ে আনা ভারতীয়দের কার কার মধ্যে।
তার জন্য খুব বেশি কিছু করতেও হবে না। বিমানবন্দরের কয়েকটি জায়গায় মোবাইল ফোনের চেহারায় এমন কয়েকটি রাডার ব্যবস্থা থাকলেই চলবে। যে ফোনগুলির মধ্যে চালের দানার চেয়েও ছোট্ট মাইক্রোচিপে
থাকবে সেই দেয়াল-ফোঁড়া চোখের রাডার। এমনকি, বিভিন্ন বাসস্টপেজ বা গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় আমরা ব্যাগে কী নিয়ে যাচ্ছি, বহু দূর থেকে তা দেখেও বুঝে ফেলতে পারবে গৌরবের বানানো এই রাডার।
গবেষকদলে গৌরব ছাড়াও রয়েছেন তার ৬ জন ছাত্র সাই জগন, কে ব্যাশক, সুমিত কুমার, পুস্তিবর্ধন সোনি, অনশাজ শ্রীবাস্তব ও ঋতুরাজ কর।