চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার সভাপতির বিরুদ্ধে সহযোগী সদস্যদের অভিযোগ
এস এম সাখাওয়াত বুধবার দুপুর ০৩:৪০, ৮ মে, ২০২৪
চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদের স্বেচ্ছাচারিতা ও গঠনতন্ত্র বহির্ভূতভাবে দীর্ঘদিনের সহযোগী সদস্যদের সদস্যপদ নবায়ন না করে তাদের সদস্যপদ বাতিলের চক্রান্তের অভিযোগ উঠেছে। এসব অভিযোগ তুলে মঙ্গলবার বিকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জেলা প্রশাসক একেএম গালিভ খাঁন বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন ভুক্তভোগী সহযোগী সদস্য, পরিচালক ও সাধারণ সদস্যগণ।
ভুক্তভোগী সহযোগী সদস্য ও পরিচালকগণ অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সহযোগী সদস্য হিসেবে নিবন্ধিত সদস্য রয়েছেন ৪৩ জন ব্যবসায়ী। বিগত সময়ে নির্বাচন, বার্ষিক সাধারণ সভাসহ সকল কার্যক্রমের বিষয়ে অবহিত করা হতো। এমনকি বার্ষিক চাঁদাও প্রদান করা হয়ে থাকে। কিন্তু আব্দুল ওয়াহেদ সভাপতি হওয়ার পর থেকে সদস্যপদ নবায়ন না করে সদস্যপদ বাতিল করার জন্য গঠনতন্ত্র পরিপন্থী কাজ করে যাচ্ছে।
তারা আরও বলেন, ২০১৮ সাল থেকে গঠনতন্ত্রের ৫ এর বি ধারা অনুযায়ী সকল প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা প্রদানপূর্বক সহযোগী সদস্যপদ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে। এছাড়া সহযোগী সদস্য হওয়ার জন্য ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, খুচরা ব্যবসায়ী ও কুটির শিল্প সংক্রান্ত ব্যবসায়ী হওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এছাড়াও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রদত্ত ট্রেড লাইসেন্সে স্পষ্টভাবে ব্যবসার ধরন উল্লেখ করা আছে। চেম্বারের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সদস্যপদ পরিবর্তনের কোন বিধান নেই। সভাপতি একক সীদ্ধান্তে গত নির্বাচনে তার পক্ষে কাজ না করায় সহযোগী সদস্যদেরকে পূর্ণ সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করছেন না।
ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন, চেম্বারের সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ একটি রাজনৈতিক দলের সমর্থিত হওয়ায় তার অনুসারীরা এ কাজটি করেছে। তার অপকর্ম ঠেকাতে সদস্যপদ নবায়ন না করার পদক্ষেপ নিয়েছে।
এ সময় স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন, মো. রায়হানুল ইসলাম লুনা, আলহাজ্ব এসতার আলী, আব্দুল মতিন সেলিম, সহযোগী ৪৩ জন সদস্য ও সাধারণ সদস্য তৌহিদুর রহমান।
এদিকে, সকল অভিযোগ অস্বীকার করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ বলেন, এ অভিযোগটি ভিত্তিহীন। পরিচালনা কমিটির সিদ্ধান্তনুযায়ী সকল কর্মকান্ড করা হয়েছে। গঠনতন্ত্রের বাইরে কোন কিছু করা হয়নি। একটি চক্র প্রতিষ্ঠানটির ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য এ ধরনের কার্যকলাপে লিপ্ত হয়েছে বলে পাল্টা অভিযোগ করেন তিনি।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক একেএম গালিভ খাঁন বলেন, ব্যবসায়ীদের অভিযোগটি গ্রহণ করা হয়েছে। অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।