ঢাকা (দুপুর ২:০০) বৃহস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ ইং

চাঁপাইনবাবগঞ্জের খামারে ডাকাতির ঘটনায় গ্রেফতার ৬ ডাকাত,উদ্ধার৫ গরু



চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলায় পুলিশ পরিচয়ে স্বামী-স্ত্রীকে বেঁধে রেখে গরুর খামার থেকে ৭টি গরু ডাকাতির ঘটনায় ৬ ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ-ডিবি। অভিযানে চুরি যাওয়া ৭টি গরুর মধ্যে ৫টি গরু উদ্ধার করা হয়। সোমবার দিবাগত রাতে জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে ডাকাতদের গ্রেফতার করা হয়। মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এই সকল তথ্য জানান পুলিশ সুপার এ.এইচ.এম আবদুর রকিব।

গ্রেফতারকৃত ডাকাতরা হচ্ছে- জেলার গোমস্তাপুর উপজেলার নজরপুর এলাকার রাইহো গ্রামের মাইনুল ইসলামের ছেলে মিলন হোসেন (৩২), বংপুর এলাকার আব্দুল খালেকের ছেলে রহমত আলী (৩২), বাঙ্গাবাড়ি এলাকার শ্যামপুর গ্রামের গোলাম কাদিরের ছেলে মুনসুর আলী (৪৫), মিরাপুর পাথরপুজা এলাকার আব্দুর রহমানের ছেলে নূরুজ্জামান (৩৮), শিবগঞ্জ উপজেলার চককির্ত্তি ডুগলীভান্ডার গ্রামের ইশারুদ্দীনের ছেলে কুরবান আলী (২৮) এবং জয়পুরহাট জেলার রাঘবপুর মুন্নাপুকুরপাড় গ্রামের মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে মানিক (৩০)।

প্রেস বিফিংয়ে পুলিশ সুপার জানান, ৩ ডিসেম্বর শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে গোমস্তাপুর উপজেলার ৪ নং পার্বতীপুর ইউনিয়নের জিনারপুর গড়বাড়ি এলাকার মৃত ডা. মো. আনিসুর রহমানের ছেলে মো. আশরাফুল ইসলামের (৫২) বাড়ি সংলগ্ন গরুর খামারে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ডাকাতিতে অংশ নিয়েছিলো ৭ জন ডাকাত। কিন্তু এই ডাকাতি ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলো ৩ জন। এর মধ্যে দুই ডাকাত চাঁপাইনবাবগঞ্জ কোর্টে পূর্বের মামলায় হাজিরা দিতে এসে ডাকাতির পরিকল্পনা করে। এমন চিন্তা ভাবনার পরই তারা অন্য সহযোগীদের সাথে নিয়ে মিথ্যা পুলিশ পরিচয়ে খামারে ঢুকে স্বামী-স্ত্রীকে বেঁধে গরু ডাকাতি করে। এ ঘটনার পর থেকেই পুলিশ ডাকাতদের ধরতে তৎপরতা শুরু করলে পুলিশের অভিযানে ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত যানবাহনসহ ৭ জন ডাকাতের মধ্যে ৬ জন ডাকাতকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে আরো একজন ডাকাত পলাতক রয়েছে। আর ৭টি গরুর মধ্যে ৫টি গরু উদ্ধার করা হয়েছে।

এদিকে খামার মালিকের তিনটি ব্যাংক সহ বেশ কিছু ঋণ রয়েছে বিষয়টিও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তবে গরু ডাকাতি হয়েছে এটা সঠিক। আর গ্রেফতার ও পলাতক ডাকাতদের বিরুদ্ধে এর আগেও ডাকাতিসহ বেশ কিছু মামলা রয়েছে এবং বাকি ২টি গরু উদ্ধারসহ পলাতক একজন ডাকাতকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান পুলিশ সুপার।

এদিকে ডাকাতির ঘটনায় পুলিশের ৬ সদস্যকে প্রত্যাহার করা প্রসঙ্গে পুলিশ সুপার বলেন, ১২ মিনিটের মধ্যেই পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। পুলিশের কালক্ষেপণের বিষয়টি সঠিক নয়। তারপরও বিষয়টি অধিক তদন্তের জন্য ৬ পুলিশ সদস্যকে পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়েছে।

প্রেস ব্রিফিংয়ে এ সময় অন্যান্যের মধ্যে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মাহবুব আলম খাঁন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফজল-ই-খুদা, নবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোজাফফর হোসেন, গোমস্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিলীপ কুমার দাস উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন

GloboTroop Icon
পাঠকের মতামত

Meghna Roktoseba




এক ক্লিকে জেনে নিন বিভাগীয় খবর




© মেঘনা নিউজ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by ShafTech-IT