গোমতীর গর্ভে বিলীন হচ্ছে ফসলি জমি ও গ্রাম : দুশ্চিন্তায় ২০ গ্রামের মানুষ
এইচএম দিদার,দাউদকান্দি,কুমিল্লা রবিবার দুপুর ০৩:০৯, ২৫ এপ্রিল, ২০২১
চরা অঞ্চলের মানুষের কাছে গোমতী নদী এখন সর্বনাশা এক নাম। এই নদীর নেই প্রবল স্রোত,নেই উত্তাল ঢেউ,গভীরতাও তেমন নেই। পূর্ব দিক থেকে নেমে আসা প্রবল স্রোতের তোড়ে নিরবে ধ্বংস করে দিচ্ছে গ্রামসহ ফসলি জমি।
জেলার সর্বশেষ উপজেলার সদর উত্তর ইউনিয়নের প্রায় ১৫ টি গ্রাম ও শত শত একর ফসলি জমি গোমতী নদীর বুকে হারিয়ে যাবে অচিরেই।
এই নদীর সাথে জড়িয়ে আছে ইতিহাস ও কুমিল্লার ঐহিহ্য। ভাঙনের কবলে পরে তৈরী হচ্ছে নতুন দুখের ইতিহাস।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,” ইউনিয়নের নতুন হাসনাবাদ, হাসনাবাদ,ভিটিকান্দি, কান্দারগাঁওসহ প্রায় ১৫ টি গ্রাম ও ১ হাজার একর ফসলি জমি ভেঙে বিলীন হতে চলছে গোমতীর বুকে। এখানকার মানুষেরা ফসলি জমি চাষাবাদ করে প্রধান জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। ইতোমধ্যে অনেকেই নিজেদের জমিজমা ও ভিটেমাটি হারিয়ে নি:স্ব হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে।
নতুন হাসনাবাদসহ আশপাশের কয়েকটি গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের স্থানীয় হবি রহমান,আফজাল বেপারি, শাহজালাল ও ইলিয়াস ফরাজিসহ আরও বাসিন্দারা বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়ে বলেন,”জমিজমা যা ছিলো ফসল উৎপাদন করে ডাল–ভাত খাইতাম, এহন আমগো জমি গোমতী নদীতে ডুবে গেলো। এহন শুধু বসত ভিটামাটিই সম্বল। ঘর বাড়িও হুমকির মুখে যেকোনো সময় ভেঙে নদীগর্ভে বিলীন হতে পারে। আয়–রোজগারের পথও বন্ধ। কী খাবো? আমরা কোথায় মাথা গুছবো? এই ভাবনায় আমরা দিশেহারা। তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ভাঙনরোধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জোরালো দাবি জানাই।”
এ বিষয়ে দাউদকান্দি উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুল ইসলাম খান এর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন,”গোমতী নদী ভাঙনের বিষয়টি আমি জেনেছি সংশ্লিষ্ট বিভাগের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে গ্রামবাসির বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবিসহ ভাঙনরোধে কী করণীয় সে বিষয়ে জানানো হবে। সরকারি নির্দেশ পেলে নদী ভাঙনরোধে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।“