কেশবপুরে হরিহর নদের পানি বৃদ্ধি এলাকাবাসীর জনদুর্ভোগ
মোঃ কামরুজ্জামান শুক্রবার ১২:০০, ১৯ জুন, ২০২০
মোরশেদ আলম, যশোর প্রতিনিধি: যশোরের কেশবপুরে হরিহর নদের উপছে পড়া ও বৃষ্টির পানিতে কেশবপুর পৌরসভার নিম্নাঞ্চলে পানি উঠে এসেছে। পৌরসভার ১, ৫, ৭, ৯ নং ওয়ার্ডের অনেকে রাস্তা ও বাড়ির ভেতর পানি ঢুকে পড়ায় বিপদে পড়েছে ভুক্তভোগী এলাকাবাসী। মধ্যকুল খানপাড়া ও ফিলিং স্টেশনের পাশের সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় পানির ভেতর দিয়েই যাতায়াত করতে হচ্ছে ওই এলাকায় বসবাস রত সকলকে। সরেজমিন ৭নং ওয়ার্ড মধ্যকুলের খানপাড়া এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, আব্দুল বারিকের স্ত্রী বিউটি বেগম বাড়িতে ঢুকে পড়া পানির ভেতর দিয়ে সাংসারিক কাজকর্ম করছেন। এ সময় তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, নদীর পানি বাড়িতে উঠে আসায় পরিবার পরিজন নিয়ে ঝুঁকির মধ্যে রাত কাটাতে হচ্ছে। পাশের বাড়ির এক গৃহিণী রাবেয়া খাতুন বলেন, বর্ষা মৌসুমের শুরুতেই আমাদের এ অবস্থায় পড়তে হয়েছে। পুরো বর্ষাকালে বাড়ি ছাড়ার উপক্রম হবে। মধ্যকুল নাথপাড়া এলাকার নিচু অঞ্চলে পানি ঢুকে পড়েছে। সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর আয়ূব খান বলেন, তাদের বাড়ির যাতায়াতের রাস্তাটিও পানিতে তলিয়ে গেছে। এলাকার একাধিক বাড়িতে নদের পানি উঠে এসেছে। হরিহর নদে বাঁধ দিয়ে খনন কাজ করায় পানি প্রবাহে বাধাগ্রস্থ হয়ে তীরবর্তী এলাকায় উঠে আসছে। পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের কেশবপুর সরদারপাড়া ও খানপাড়ায় পানি ঢুকে পড়েছে। খানপাড়ার বাসিন্দা আব্দুর রউফ খান বলেন, তাদের বাড়ির উঠানে পানি উঠে আসায় পড়তে হয়েছে বিপাকে। একই এলাকার বাসিন্দা আব্দুল লতিফ বলেন, সাহাপাড়া-ভবানীপুর যাতায়াতের পিচের রাস্তায় পানি উঠেছে। পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বিশ্বাস শহিদুজ্জামান বলেন, তার এলাকায় দুটি রাস্তায় পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় যাতায়াতের সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। এলাকায় জমে থাকা পানি পৌরসভার পক্ষ থেকে অপসারণের জন্য কাজ শুরু করা হয়েছে। এছাড়া পৌর নয় নম্বর ওয়ার্ড বালিয়াডাঙ্গায় ও কেশবপুর বাজার সংলগ্ন রাস্তাটি। বালিয়াডাঙ্গা সহ আশপাশের গ্রামের অতি প্রয়োজনীয় যোগাযোগ মাধ্যম, এই রাস্তাটি মাটির হাওয়াই একটু বৃষ্টি হলেই কাদামাটি মাখা মাখি হয়ে যাতায়াতের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। তার পরেও এবার অগ্রিম নদীর পানি বৃদ্ধি হওয়ার ফলে, এলাকার মানুষের জনদুর্ভোগ পৌঁছেছে চরমে। এর থেকে পরিত্রাণের জন্য কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড বালিয়াডাঙ্গা বাসী। পৌর মেয়র রফিকুল ইসলাম বলেন, তার এলাকার কয়েকটি জায়গায় পানি উঠেছে। দ্রুত পানি নিষ্কাসনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী মুন্সী আছাদুল্লাহ বলেন, হরিহর নদের বিভিন্ন স্থানে বাঁধ দিয়ে খননের কাজ চলছে। যে কারণে নদের ও বৃষ্টির পানি এক হয়ে নদ তীরবর্তী কিছু এলাকায় পানি উঠে এসেছে। আগামী ১৫ জুলাই পর্যন্ত নদ খননের কাজ চলবে। এরপর বাঁধ অপসারণ করার পর কোন সমস্যা থাকবে না।