করোনায় ভূরুঙ্গামারীতে বিপাকে দুগ্ধ খামারীরা
নিজস্ব প্রতিনিধি মঙ্গলবার রাত ০৯:৪৯, ৭ এপ্রিল, ২০২০
ভূরুঙ্গামারী(কুড়িগ্রাম)প্রতিনধিঃ করোনা সংক্রমন ঠেকাতে দেশব্যাপী অঘোষিত লকডাউনের অংশ হিসাবে ভূরুঙ্গামারীতে টানা ৪ সপ্তাহ ধরে অন্যান্য দোকানপাট বন্ধের পাশাপাশি বন্ধ রয়েছে সকল প্রকার মিষ্টি ও বেকারির দোকান। এতে বিপাকে পরেছে এ অঞ্চলের প্রায় দুইশো দুগ্ধ খামারি।খামারিরা জানিয়েছেন,তাদের উৎপাদিত দুধের একটা বড় অংশের গ্রাহক দুগ্ধ প্রক্রিয়াজাতকারী এসব দোকান।দীর্ঘ সময় ধরে এসব দোকানপাট বন্ধ থাকায় চরম গ্রাহক সংকটে পরেছেন তারা।
উপজেলার বাগভান্ডার মৌজার দুগ্ধ খামারি রাজিব হোসেন জানান, গ্রাহক সংকটের কারনে প্রতি লিটার দুধ মাত্র ৩০ থেকে ৩৫ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে তাকে। এতে লিটার প্রতি তার লোকসান ১৫ থেকে ২০ টাকা। অন্যদিকে, গো খাদ্যের দাম অতিরিক্ত বেড়ে যাওয়ায় বর্তমানে তাদের ব্যবসা ললাটে ওঠার জোগার। এ অবস্থা বেশি
দিন চলতে থাকলে, পুঁজি হারিয়ে না খেয়ে মরতে হবে তাদের।
সোনাতলি গ্রামের খামারি আমিনুর রহমান বলেন, তার খামারে প্রতিদিন এক থেকে দেড় মণ দুধ উৎপাদন হয়।একরকম জোর করেই তিনি বাড়ি বাড়ি কমদামে বাকিতে দুধ দিয়ে যাচ্ছেন। এক সময় তারাও যদি দুধ নেয়া বন্ধ
করে দেন তাহলে তাদের যাওয়ার আর জায়গা থাকবে না।
মানিককাজি গ্রামের জাইদুল ইসলাম বলেন,করোনা দুর্যোগে অন্যান্য ব্যবসায়ীদের হয়তো আয় কমে গেছে কিন্তু আমাদের প্রতিদিন লস হচ্ছে। দোকানগুলোতে খাদ্য সরবরাহ অনেক কমে গেছে। প্রতি বস্তা খাদ্যের দামও বেড়ে গেছে প্রায় ২০০ টাকা। পোয়ালও (খড়) ঠিকমতো পাওয়া যাচ্ছে না। এভাবে চলতে থাকলে পুঁজি হারিয়ে পথে
বসতে হবে আমাদের।উপজেলার পাটেশ্বরী, সোনাহাট, জয়মনির হাট, চর ভূরুঙ্গামারীসহ বেশ কিছু এলাকার দুগ্ধ খামারিদের সাথে কথা বললে তারা একই রকম হতাশা প্রকাশ করেন। দেশের ক্রান্তিকালে সংকটাপন্ন দুগ্ধ খামারগুলোকে টিকিয়ে
রাখতে সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলের কাছে সহায়তার দাবি জানান খামারিরা।