তিনি আলোকিত মানুষ। আঁধারকে আলোকিত করাই তাঁর প্রধান পরিকল্পনা। যেকোনো প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পরপরই তা বাস্তবায়ন করেন তড়িৎ গতিতে।
প্রথম মেয়াদে দাউদকান্দি উপজেলা পরিষদ এর চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর টানা ৫ বছর তিনি অসামান্য উন্নয়ন করেছেন দাউদকান্দি উপজেলার সর্বত্রে। এতো উন্নয়ন আর মানবসেবা জনগণের দোড়গোড়ায় পৌঁছে দিয়ে তিনি তাক লাগিয়ে দিয়েছেন এ উপজেলাবাসিকে।
রাস্তা–ঘাট, ব্রীজ, কালভার্ট নির্মাণ করে পুরো উপজেলার প্রতিটি গ্রাম এখন সংযোগে স্বয়ংসম্পূর্ণ। বিদ্যুতের আলোয়ে আলোকিত প্রতিটি ঘর। উপজেলার কোথাও নেই বিদ্যুৎ সংযোগহীন ঘর। তিনি আপ্রাণ চেষ্টা করেন মানুষের উপকারে পাশে থাকার।
করোনাকালীন সৃষ্ট মহাসংকট তার জ্বলন্ত উদাহরণ।
বৈশ্বিক মহামারী করোনাকালীন সময়ে গোটা উপজেলাবাসিকে রাত–বিরাতে পাশে থেকে সেবা দিয়েছেন। কর্মক্ষোমদের খাদ্য সহায়তা দিয়ে সহযোগীতা করেছেন।
কেউ করোনা আক্রান্ত হলে তাঁকে নিজেই সেবা দিতে পৌঁছে গেছেন আক্রান্তকারীর দুয়ারে। লকডাউনের সময় দাউদকান্দিকে করোনা ঝুঁকিমুক্ত রাখতে রাতে নিজের কর্মীবাহিনী নিয়ে ঢাকা–চট্রগ্রামের মূখ্য প্রবেশদ্বার গোমতি ব্রীজের টোলপ্লাজা নামক স্থানে সারা রাত –দিন নির্ঘূম স্বেচ্ছাশ্রম দিয়ে অনুপ্রবেশ ঠেকিয়েছেন। করোনা আক্রান্ত রোগীর সেবা দিতে নিজ উদ্যোগে প্রতিটি ইউনিয়নে একটি করে “মিনি অক্সিজেন অ্যাম্বুলেন্স ” দিয়েছেন।
এর আগে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হিসেবে প্রথম মেয়াদে ২০১৭ সালে তিনি কুমিল্লা জেলার শ্রেষ্ঠ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম বিভাগের শ্রেষ্ট উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।অবশ্য এর অবাক করা বিস্ময়কর পুরস্কার তিনি পেয়েছেনও।
অনুষ্ঠিত ২০২০ সালের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা তাঁকে নৌকার টিকেট পুরস্কার দিয়েছেন।
নৌকা প্রতীকে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বিএনপির প্রার্থীকে হারিয়ে বিপুল ভোটের ব্যবধানে খুব সহজেই বিজয় ছিনিয়ে আনেন তিনি। হয়ে যান দ্বিতীয় মেয়াদে দাউদকান্দি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান।
দ্বিতীয় মেয়াদে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর সম্প্রতি তিনি “সমাজ সেবক ও মোটিভেশনাল পারসোনালিটি ” ক্যাটাগরিতে চ্যানেল আই মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড–২০২০ “শ্রেষ্ট সমাজ সেবক” সম্মাননায় ভূষিত হয়ে অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন।
উপজেলা আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মলীগের সভাপতি মো.সোহেল রানা বলেন,” তাঁর মতো মানবতাবাদী নেতা এ উপজেলায় হয় কি না আমার সন্দেহ। মানুষের কল্যাণ ও শান্তির কথা ভেবে তিনি নিজের পরিবার এর কথা ভুলে যান। তিনি চান দাউদকান্দিবাসি সবমসময় শান্তিতে থাকুক। এক কথায় তিনি এই জনপথের শান্তির অগ্রদূত ও মানবতার ফেরিওয়ালা। ”
কথা হয় মহান স্বাধীনতার মহা নায়ক স্বাধীনতার স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে পরিপূর্ণ বিশ্বাসী উপজেলা পরিষদ এর চেয়ারম্যান মেজর(অব.) মোহাম্মদ আলী‘র সাথে তিনি বলেন,”আমি মানুষের কল্যাণের রাজনীতি করি। আমি চাই প্রতিটি মানুষ নিরাপদ থাকুক। আমি কখনো প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাসী নই।আমি রাজনীতিতে এসে জনগণের অপরিসীম ভালোবাসায় ধন্য হয়েছি।আমি চাই জনগণের সুখ–দু:খে পাশে থাকতে। আমার উপজেলায় কেউ কোনো সমস্যা নিয়ে যেনো না ঘুমায়। আমি চাই শান্তিপূর্ণ সমাজ ও পরিবেশ”।
তিনি আরো বলেন,”এই উপজেলাকে মাদক নির্মূল,বেকারত্ব নিরসন করে মডেল উপজেলা হিসেবে বাস্তবায়ন করাই আমার স্বপ্ন।“