আদমদীঘিতে হত্যা চেষ্টা মামলার আসামীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
মোঃ কামরুজ্জামান শুক্রবার রাত ১১:৫৪, ২১ আগস্ট, ২০২০
মিরু হাসান বাপ্পী, আদমদীঘি(বগুড়া) প্রতিনিধি: বগুড়ার আদমদীঘিতে নয় মাসের অন্তসত্ত্বা পুত্রবধূকে হাত পা ও মুখ বেঁধে নির্যাতন করে ঘরের বারান্দায় কবর খুড়ে পুঁতে হত্যা চেষ্টা মামলার আসামী শশুর সিরাজুল ইসলামের (৫০) ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২১আগস্ট) দুপুরে উপজেলার পাইকপাড়া গ্রামের খাড়িরপাড় থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।এদিকে ওই মামলায় সিরাজুলের স্ত্রী রেহানা বেগম ও ছেলে নাঈম হোসেন কারাগারে রয়েছে। পুলিশ ও স্থানিয়রা জানান, উপজেলার পাইকপাড়া গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে নাঈম নওগাঁর এনায়েতপুরের শহিদুল ইসলামের মেয়ে ফাল্গুনিকে বিয়ের পর থেকে কারণে অকারণে শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন করতো। গত ১২ আগস্ট বিকেলে ফাল্গুনি প্রতিবেশি চাচী স্বাশুড়ির বাড়িতে যাওয়া নিয়ে স্বামী স্বাশুড়ি ও তার মধ্যে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে স্বামী নাঈম ফাল্গুনিকে ঘরে আটক করে হাত পা ও মুখ বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় মারপিট করে। এরপর হত্যা করে লাশ গুমের উদ্দেশ্যে ঘরের বারান্দায় মাটি কেটে কবর তৈরী করে। ঘটনা জানতে পেয়ে প্রতিবেশিরা এগিয়ে এসে ঘরের জানালা ভেঙ্গে ফাল্গুনিকে উদ্ধার ও নাঈকে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করেন। এ মামলায় ফাল্গুনির শশুর সিরাজুলকে ৩নম্বর আসামী করা হয়। ঘটনার ১০দিন পালাতক থাকার পর ওই গ্রামের খাড়িরপাড়ে জঙ্গলের মধ্যে একটি কদম গাছের সাথে রশি দিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় সিরাজুল লাশ দেখতে পায় গ্রামবাসী। পুলিশ খবর পেয়ে তার লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। আদমদীঘি থানার ওসি জালাল উদ্দীন জানান, পুত্রবধূকে হত্যা চেষ্টা মামলার তিন নম্বর আসামী ছিলেন সিরাজুল। খবর পেয়ে তার লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।