ঢাকা (রাত ৪:০১) শনিবার, ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ ইং
শিরোনাম

আদমদীঘিতে গাছে লাগানো হচ্ছে প্রাতিষ্ঠানিক বিজ্ঞাপন  

Exif_JPEG_420



বগুড়ার আদমদীঘিতে বিভিন্ন প্রতিতষ্ঠানের প্রচারের জন্য সড়কের পাশে গাছে গাছে পেরেক ঠুকে লাগানো হচ্ছে বিজ্ঞাপন। এতে করে সড়কের গাছগুলোর জীবন রয়েছে ঝুঁকির মধ্যে। বিজ্ঞাপনের পেরেকে এরই মধ্যে মরে গেছে অনেক গাছ।ছোট গাছগুলোও রেহাই পাচ্ছে না পেরেকের নিষ্ঠুর আঘাত থেকে। এছাড়া নষ্ট হচ্ছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য।

এ সংক্রান্ত আইন থাকলেও স্থানীয় প্রশাসনের নেই কোন কার্যকর পদক্ষেপ। সশ্লিষ্ট সূত্র মতে, ২০১২ সালে দেয়াল লিখন ও পোস্টার লাগানো (নিয়ন্ত্রণ) আইনের ৪ ধারায় রয়েছে নির্ধারিত স্থান ব্যতীত অন্য কোন স্থানে দেয়াল লিখন বা পোস্টার লাগানো যাবে না। কিন্তু কার্যকারিতা না থাকায় আইনটি শুধু কাগজবন্দি হয়েই পড়ে আছে। সরেজমিন দেখা গেছে, আদমদিঘী উপজেলা ৫০ শয্যা হাসপাতালের সামনে, সান্তাহার পৌরসভা বিভিন্ন এলাকা, রেলওয়ে  স্টেশনের সামনে, সান্তাহার সরকারি কলেজ প্রাঙ্গন, উপজেলা চত্বরের সড়কসহ শহর ও গ্রামের বিভিন্ন হাটবাজারে ছোট বড় গাছে লাগিয়ে দেয়া হয়েছে বিভিন্ন বিজ্ঞাপন। বড় বড় লোহার পেরেকের সাহায্যে গাছের শরীরে এমনভাবে গেঁথে দেয়া হয়েছে যাতে সহজে কেউ খুলতেও না পারে বিজ্ঞাপন।

লাগানো প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন কোচিং সেন্টার, শিক্ষা প্রতিতষ্ঠান, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, নানান অখ্যাত অনিবন্ধিত প্রতিষ্ঠান, চিকিৎসক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গদের ফেস্টুন। কোন নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই যেখানে পারছে পেরেক বা তাঁরকাটার মাধ্যমে গাছে বিজ্ঞাপন লাগিয়ে দিচ্ছে। এ কারনে ইতোমধ্যে প্রাণ হারাতে বসেছে গাছ গুলো।

এ বিষয়ে আদমদীঘি উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক সাজেদুল ইসলাম চম্পা বলেন, আমার জানা মতে ১৯০১ সালে বাংলাদেশের প্রখ্যাত বিজ্ঞানি জগদীশ চন্দ্র বসু প্রমাণ করেন যে উদ্ভিদের একটি সঠিক জীবন চক্র এবং প্রজনন তন্ত্র রয়েছে যা প্রাণীর অনুরূপ।তারা ব্যথা অনুভব করতে সক্ষম, আনন্দ অনুভব করতে সক্ষম, এমনকি স্নেহ অনুভব করতেও সক্ষম। তাই আমি মনে করি গাছে পেরেক মারা বা গাছের ক্ষতি করা এক ধরণের হত্যা চেষ্টা।

বীর বিক্রম শহীদ লেঃ আহসানুল হক ডিগ্রী কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো: মাসুদ রানা বলেন, আমাদের যেমন অনুভূতি আছে তেমনি গাছেরও অনুভূতি আছে, আঘাতে আমরা যেমন কষ্ট পাই ঠিক গাছ ও কষ্ট পায়। গাছে লোহার পেরেকের কারনে পানি জমে গাছ ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এছাড়া পরিবেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে।

পরিবেশবাদী সামাজিক সংগঠন সবুজ আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান বাপ্পি সরদার বলেন, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বৃক্ষের ভূমিকা অপরিসীম। গাছ-পালা রক্ষায় আমাদের সকলকে একযোগে এগিয়ে আসতে হবে। আদমদীঘি উপজেলাসহ পুরো বাংলাদেশে প্রতিটি অঞ্চলের মানুষকে একযোগে এগিয়ে আসতে হবে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায়। বৃক্ষে পেরেক মেরে কোনো কিছু লাগানো মানে গাছের উপর অত্যাচার।এ বিষয়  নির্দিষ্ট আইনও রয়েছে। যারা গাছে পেরেক লাগিয়ে গাছের ক্ষতি করছেন তাদের তা সরিয়ে ফেলার অনুরোধ করেন তিনি।

এই বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিমা শারমিন জানান, গাছে পেরেক লাগানো বিষয়ে লোকজনদের সচেতন করা হয়। কিন্ত লোকজনতো সচেতন না।এখনো কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয় নাই। এ বিষয়ে সচেনতায় সৃষ্টি করতে হবে।

 

 

শেয়ার করুন

GloboTroop Icon
পাঠকের মতামত

Meghna Roktoseba




এক ক্লিকে জেনে নিন বিভাগীয় খবর




© মেঘনা নিউজ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by ShafTech-IT