ঢাকা (সন্ধ্যা ৭:৩৯) শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ ইং

অক্টোবর থেকে কলড্রপে টকটাইম ফেরত পাবে গ্রাহকেরা

<script>” title=”<script>


<script>

মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতে কোনও কারণ ছাড়াই লাইন কেটে গেলে টকটাইম ফেরত পাবেন গ্রাহক। আগামী ১ অক্টোবর থেকে এই নিয়ম চালু হচ্ছে। মোবাইল ফোনে কলড্রপ, কলড্রপ সংক্রান্ত তথ্য ও গ্রাহককে টকটাইম ফেরতের মাধ্যমে ক্ষতিপূরণ দিতে অপারেটরদের জন্য নতুন নির্দেশিকা চালু করেছে বিটিআরসি। সে অনুযায়ী গ্রাহকরা এই সুবিধা পাবেন।

সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিটিআরসির সম্মেলন কক্ষে কমিশনের চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদারের সভাপতিত্বে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানানো হয়। সেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে একই বিভাগের সচিব মো. খলিলুর রহমান অনলাইনে সংযুক্ত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে কলড্রপ সংক্রান্ত নতুন নির্দেশিকা সম্পর্কে বিশদ উপস্থাপনা করেন বিটিআরসি’র সিস্টেমস অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাসিম পারভেজ। নতুন নির্দেশিকায় বলা হয়েছে- জবাবদিহিতা ও গ্রাহক সন্তুষ্টি নিশ্চিতে সব মোবাইল অপারেটর থেকে অভিন্ন ইউএসএসডি কোডের (*121*765#) মাধ্যমে একজন গ্রাহক পূর্ববর্তী দিন-সপ্তাহ-মাসিক অন-নেট কলড্রপের পরিমাণ জানতে পারবেন। এটা আগামী ১ অক্টোবর থেকে কার্যকর হবে।

অন-নেট কলড্রপের ক্ষেত্রে গ্রাহকের আর্থিক এবং মানসিক ক্ষতি বিবেচনায় ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করতে ও সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য ক্ষতিপূরণ হিসেবে দৈনিক প্রথম ও দ্বিতীয় কলড্রপের ক্ষেত্রে প্রতি কল ড্রপের জন্য ৩টি পালস (৩০ সেকেন্ড) এবং পরবর্তী তৃতীয় থেকে সপ্তম কলড্রপের ক্ষেত্রে প্রতিটি কলড্রপের জন্য ৪টি পালস (৪০ সেকেন্ড) টকটাইম গ্রাহককে ফেরত দেবে।

একই সঙ্গে কয়েকটি শর্তও অনুসরণ করতে হবে-কলড্রপের ফলে ফেরত পাওয়া টকটাইম পরবর্তী দিনের প্রথম কল (০০:০০ ঘণ্টা) থেকেই ব্যবহারযোগ্য হবে। অর্থাৎ ফেরত পাওয়া টকটাইম সর্ম্পণূরূপে ব্যবহার হওয়ার আগে গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট থেকে কল বাবদ কোনও টাকা কাটা যাবে না। কলড্রপের ফলে ফেরতকৃত টকটাইমের বিষয়ে গ্রাহককে এসএসএম’র মাধ্যমে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জানাতে হবে। কোন অপারেটর চাইলে কলড্রপ সংঘঠিত হওয়ার পর ওই দিন থেকেই কল মিনিট ফেরত দিতে পারবে। কলড্রপের ফেরত টকটাইম ব্যবহারের জন্য সর্বোচ্চ ১৫ দিন মেয়াদ প্রযোজ্য হবে।

নতুন কলড্রপ নির্দেশিকা একটি মাইলফলক উল্লেখ করে মোস্তফা জব্বার বলেন, গ্রাহক অর্থ দিয়ে সেবা গ্রহণ করে। তাই অপারেটরকে সেই সেবা যথাযথভাবে নিশ্চিত করতে হবে। গ্রাহককে ক্ষতিপূরণ না দেওয়ার চেয়ে অপারেটররা টেলিযোগাযোগ অবকাঠামোয় বিনিয়োগ করলে কল ড্রপের হার কমে যাবে। অপারেটরদের প্রতি তাদের গ্রাহক বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে সেবার মান বাড়ানোর আহ্বান জানান তিনি।

কমিশনের ভাইস-চেয়ারম্যান সুব্রত রায় মৈত্র বলেন, মোবাইল অপারটেররা ব্যবসায়ে যতটা আগ্রহী, কোয়ালিটি অব সার্ভিস নিশ্চিতে ততটা আগ্রহী নয়। নতুন নির্দেশিকা অনুযায়ী গ্রাহক কলড্রপের বিপরীতে ক্ষতিপূরণ পাবেন এবং গ্রাহকের কলড্রপ সর্ম্পকে বিস্তারিত তথ্যও জানতে পারবেন।

কমিশনের ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অপারেশন্স বিভাগের কমিশনার প্রকৌশলী মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, নিম্ন আয়ের মানুষ থেকে শুরু করে উচ্চ আয়ের মানুষ সবাই মোবাইল গ্রাহক। প্রতিদিন গ্রাহক যে হারে বাড়ছে সে তুলনায় অবকাঠামো বাড়ছে না। বিটিআরসি গ্রাহককে একটি মানসম্পন্ন নেটওয়ার্ক প্রদানে বদ্ধপরিকর। দ্রুত কলড্রপ সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসা হবে।

২০২২ সালে অপারেটরদের অনুকূলে বরাদ্দ হওয়া তরঙ্গ পুরোপুরি চালু হলে কলড্রপের হার কমে আসবে বলে মনে করেন বিটিআরসি চেয়ারম্যান। কোয়ালিটি অব সার্ভিস নিশ্চিতে বেশকিছু পদেক্ষপ নেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ২০২১ এবং ২০২২ সালে তরঙ্গ নিলাম ও টাওয়ার শেয়ারিং গাইডলাইন চালুর পাশাপাশি মোবাইল অপারেটর এবং এনটিটিএন অপারেটদের মধ্যে দূরত্ব কমানোর কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

শেয়ার করুন

GloboTroop Icon
পাঠকের মতামত

Meghna Roktoseba




এক ক্লিকে জেনে নিন বিভাগীয় খবর




© মেঘনা নিউজ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by ShafTech-IT