৫০০ কোটি টাকা ব্যয়ে জুড়ী-বড়লেখা আঞ্চলিক মহাসড়কে ৩৭৩টি সৌর বিদ্যুৎ স্ট্রিটলাইট স্থাপন
ইবাদুর রহমান জাকির রবিবার রাত ০২:০০, ১৫ আগস্ট, ২০২১
মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার ভূয়াই বাজার থেকে বড়লেখা উপজেলার চান্দগ্রাম বাজার পর্যন্ত ২৮ কিলোমিটার আঞ্চলিক মহাসড়কে আলোকায়নের কাজ চলছে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সরকারের ৫০০ কোটি টাকা ব্যয়েএ সড়কটি আলোকায়নের কাজ বর্তমানে চলমান আছে।
জানা যায়, পল্লী দারিদ্র বিমোচন ফাউন্ডেশন (পিডিবিএফ) কতৃক বাস্তবায়নাধীন গ্রীন হাউজ গ্যাস নিঃসরণ কমানোর লক্ষ্যে মৌলভীবাজার জেলার অন্তর্গত জুড়ী ও বড়লেখা উপজেলায় কার্বন নির্গমন হ্রাস ও পরিবেশ উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় আঞ্চলিক মহাসড়কে স্ট্রিটলাইট বসানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। প্রকল্পটি পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের “বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট” এর অর্থায়নে পল্লী দারিদ্র বিমোচন ফাউন্ডেশন (পিডিবিএফ) কতৃক বাস্তবায়িত হচ্ছে। প্রকল্প সূত্রে আরো জানা যায়, এ প্রকল্পের মাধ্যমে জুড়ী ও বড়লেখা উপজেলায় ৩০ ওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন মোট ৩৭৩ টি সৌর বিদ্যুতায়িত সড়কবাতি স্থাপন করা হবে। একটি সড়কবাতি থেকে আরেকটি সড়কবাতির দূরত্ব থাকবে ৭৬ মিটার।
সরেজমিনে দেখা যায়, এই প্রকল্পের আওতায় জুড়ী ও বড়লেখা আঞ্চলিক মহাসড়কে সৌর বিদ্যুতায়িত সড়কবাতি স্থাপনের কাজ জোরে শোরে চলছে। এতে করে এ সড়কে চলাচলকারী যাত্রী ও যানবাহনের ড্রাইভারগণ সবচেয়ে বেশি সুফল পাবে। বিশেষ করে এ আঞ্চলিক মহাসড়কের দু’পাশে থাকা ঘরগুলোও এ প্রকল্পের মাধ্যমে আলোকায়নের আওতায় এসেছে। এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ সহ সকল সচেতন মহল গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্থানীয় সংসদ সদস্য, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন এমপিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ধন্যবাদ জানাচ্ছেন।
এ সড়কে চলাচলকারী কয়েকজন যানবহন চালকের সাথে কথা বললে তারা জানান, আগে এ সড়কে অন্ধকার থাকায় অনেক সময় আমরা দুর্ঘটনার শিকার হতাম। বর্তমানে এ সড়কে সৌর বিদ্যুতায়িত সড়কবাতি স্থাপন করার ফলে দুর্ঘটনার হাত থেকে আমরা রক্ষা পাবো।
এ বিষয়ে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রিংকু রঞ্জন দাশ ও জেলা পরিষদ সদস্য বদরুল ইসলাম বলেন, পাহাড়ি ও আঁকাবাকা এ আঞ্চলিক মহাসড়কে ঝলমলে আলোর ব্যবস্থা করায় দুর্ঘটনা অনেকাংশে কমে আসবে। মাননীয় পরিবেশমন্ত্রী কে জুড়ীবাসীর পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাই।
এবিষয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘গ্রাম হবে শহর’ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে শহরের মতো দেশের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের সড়কেও সৌরবাতির মাধ্যমে আলোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তিনি বলেন সরকারের শ্লোগান,”শেখ হাসিনার উদ্যোগ,ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ”এখন আর শুধুই শ্লোগান নয়, সরকার এটা বাস্তবায়ন করেছে।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, জীবাশ্ম জ্বালানির বহুল ব্যবহার বায়ুমণ্ডলে গ্রিনহাউজ গ্যাসের পরিমান বৃদ্ধি করছে যা বৈশ্বিক উষ্ণায়নের জন্য দায়ী। সরকার এজন্য সৌরশক্তি-সহ বিভিন্ন ধরনের নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদনের উদ্যোগ বাস্তবায়ন করছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্টের অর্থায়নে দেশের বিভিন্ন স্থানে সৌরবিদ্যুতের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে দেশের সকল প্রত্যন্ত অঞ্চলের এ ধরনের সড়কে সড়ক বাতি স্থাপন করা হবে।