১৪ দিনের জন্য লোহাগড়া পৌর এলাকা লকডাউন ঘোষণা
ইকবাল হাসান বৃহস্পতিবার রাত ০৯:২২, ৯ জুলাই, ২০২০
নড়াইল প্রতিনিধিঃ বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা। তাই রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, উপজেলা প্রশাসন, বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের সমন্বয়ে গঠিত করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সিদ্ধান্তে চলছে লকডাউন। অনেকে এটাকে বলছেন পৌর এলাকা ইজ আন্ডার আইসোলেশন। ৮ জুলাই থেকে ২১ জুলাই পর্যন্ত ১৪ দিন কঠোর লকডাউনে চলবে লোহাগড়া পৌর এলাকা ।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুকুল কুমার মৈত্র জানান, ৮ জুলাই থেকে ২১ জুলাই পর্যন্ত লোহাগড়া পৌরসভা এলাকার ওষুধের দোকান, সার-কীটনাশকের দোকান ব্যাতিত সকল ধরনের দোকানপাট বন্ধ থাকবে। কাঁচামাল ও মাছের দোকান ভ্রাম্যমাণ অবস্থায় পরিচালিত হবে। মুদি দোকান ১১, ১৪ ও ১৭ জুলাই সকাল ৭টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। পৌর এলাকায় ভ্যান, ইজিবাইক, জি,এস, গাড়ীসহ সকল থ্রি হুইলার পরিবহন বন্ধ থাকবে।
সূত্র জানায়, পৌর এলাকায় প্রবেশের ১৪টি পয়েন্টে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সদস্যরা পাহারা দিচ্ছেন। রাস্তায় বাঁশ-কাঠ দিয়ে ব্যারিকেড দেয়া হয়েছে। খাদ্য ও নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য বহনকারী যানবাহন, রোগী ও চাকুরীজীবিদের গমনাগমন, মৃত্যুর ঘটনায় গমণাগমন, আইনি সহায়তা
নিতে আসা লোকের গমনাগমন বিধি নিধেষের আওতা বহিঃভূত রয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, লক্ষীপাশা- মহাজন সড়কের গাজীপাড়া এলাকায় উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ হাসানের নেতৃত্বে ১০/১২ জন যুবক, লক্ষীপাশা মহিলা কলেজের গেটে জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সগীর উদ্দিন সনেটের নেতৃত্বে, লক্ষীপাশা খেয়াঘাট পয়েন্টে যুবলীগ নেতা
শাহিনের নেতৃত্বে, জয়পুর শুকুর মোল্যার মোড়ে বুলবুল ও শাহিনের নেতৃত্বে, জয়পুর মোড়ে যুবলীগ নেতা সুমনের নেতৃত্বে, আলা মুন্সী মোড়ে স্বেচ্চাসেবক লীগ নেতা তারিকুল, লিটন কাজী, মিলনের নেতৃত্বে, কুমারকান্দা এলাকায় মোঃ আশরাফুল আলমের নেতৃত্বে যুবকরা রাস্তা অবরোধ করে স্বেচ্ছাশ্রমে পাহারা দিচ্ছেন।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, লোহাগড়া উপজেলায় করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা গত বুধবার পর্যন্ত মোট ১৯৯ জন। এর মধ্যে পৌর এলাকায় ১২০ জন। লোহাগড়া হাসপাতালের অন্যতম করোনা যোদ্ধা ডাক্তার আব্দুল্লাহ আল মামুন ও ডাক্তার আবুল হাসনাত বলেন, নিয়ম মেনে চললে সবাই ভাল থাকবো। লোহাগড়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান বি,এম কামাল হোসেন লকডাউন নিয়ম মেনে চলতে অনুরোধ জানিয়েছেন।