শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মিশন শুরু
ক্রীড়া প্রতিবেদক শনিবার দুপুর ০১:৪৯, ৮ জুন, ২০২৪
শ্রীলঙ্কাকে ২ উইকেটে হারিয়ে জয় দিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মিশন শুরু করলো বাংলাদেশ। লংকানদের দেয়া ১২৫ রানের টার্গেট বাংলাদেশ ছুয়েছে ৮ উইকেট হারিয়ে। টানা দ্বিতীয় হার শ্রীলঙ্কার।
সমালোচনা কিংবা সামাজিক ট্রল সবকিছু জবাব দেয়ার একটাই রাস্তা- জয়। সেজন্য দরকার সঠিক পরিকল্পনা আর চাপের মুখে স্নায়ু ধরে রাখা। বোলিং লাইনআপে তাসকিন ফিরেছেন, ফর্মে আছেন মুস্তাফিজ ও লেগ-স্পিনার রিশাদ, আছেন অভিজ্ঞ সাকিব। তাই টস জিতে ফিল্ডিং নেন শান্ত।
শুরুটা দারুণ করেছিলেন শ্রীলঙ্কান দুই ওপেনার। তাই খানিকটা চাপ ছিলো বাংলাদেশের বোলারদের উপর। তৃতীয় ওভারে ফেরেন তাসকিন। প্রথম দুই বলে দুই চার, এরপরের বলেই দলকে প্রথম ব্রেক-থ্রু তাসকিনের। প্লেড-অন কুশল মেন্ডিস।
তাসিকনের পর বোলিংয়ে এসেই সফল মুস্তাফিজ। মারতে গিয়ে মিড-অফে থাকা তানজিমকে সহজ ক্যাচ দেন কামিন্দু মেন্ডিস। তবু ছুটছিল পাথুম নিশাঙ্কার ব্যাট। ২৮ বলে ৪৭ রান করা এই ব্যাটারকে স্লোয়ার-কাটারে থামান মুস্তাফিজ।
মাঝে বিরতি, উইকেট পাচ্ছিলেন না তাসকিনরা। গোপন অস্ত্র কাজে লাগালেন শান্ত। তবে প্রথম ওভারে উইকেট নেই, কিন্তু ইনিংসের ১৫তম ওভার ও নিজের দ্বিতীয় ওভারে বাজিমাত লেগ-স্পিনার রিশাদ হোসেনের। পরপর দুই বলে উইকেট নিয়ে লঙ্কানদের মাথায় বাজ ফেললেন রিশাদ। পরের ওভারে আরও এক উইকেট নিয়ে লংকানদের বড় রান সংগ্রহের স্বপ্নে জল ঢালেন এ লেগস্পিনার। সাকিব ও মেহেদীর পর তৃতীয় বাংলাদেশি স্পিনার হিসেবে বিশ্বকাপে এক ইনিংসে ৩ উইকেট নেন ম্যাচের সেরা রিশাদ।
এরপর তানিজম, তাসকিন ও মুস্তাফিজের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ৯ উইকেটে ১২৪ রানে থামে শ্রীলঙ্কা। মুস্তাফিজ ও রিশাদ নেন ৩টি করে উইকেট। তাসিকন নেন ২ উইকেট।
জয়ের মঞ্চটা গড়ে দিয়েছিলেন বোলাররাই। তবে কঠিন উইকেটে জয়ের জন্য স্নায়ুচাপ ধরে রাখাটা চ্যালেঞ্জ ছিল টপঅর্ডার ব্যাটারদের। সেখানে আবারও ব্যর্থ সৌম্য, ফেরেন শূন্য রানে। তানজিদ ও শান্ত দ্রুত আউট হলে সংকট বাড়ে টাইগারদের।
সমালোচনার জবাব দেয়ার মোক্ষম সুযোগ কাজে লাগালেন লিটন দাস। তাওহীদ হৃদয়কে সঙ্গে নিয়ে গড়লেন ৬৩ রানের জুটি। ২০ বলে ৪০ রানের ঝড়ো ইনিংসে তাওহীদ হৃদয় টানা তিন ছক্কা মারেন হাসারাঙ্গাকে। লিটন করেন ৩৬।
২৪ বলে দরকার ছিল ১৭ রান, বাকি ৫ উইকেট। এ অবস্থায় সাকিব আর রিশাদ আউট হলে চাপ বাড়ে বাংলাদেশের। তবে মাহমুদউল্লাহ জিতলেন সেই স্নায়ুচাপ। ১৩ বলে ১৬ রানের অপরাজিত ইনিংসে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন দ্য ফিনিশার।