রমজানেই সৌদি-ইরান বৈঠক : চালু হতে পারে দূতাবাস
১ সপ্তাহের মাঝে দ্বিতীয় ফোন কলে সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী যুবরাজ ফয়সাল বিন ফারহান ও ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান এ সিদ্ধান্তে পৌঁছান।
মেঘনা নিউজ ডেস্ক সোমবার দুপুর ০১:০০, ২৭ মার্চ, ২০২৩
ইরান ও সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা রমজান মাসের মাঝেই বৈঠক করে চীনের মধ্যস্থতায় সাক্ষরিত দ্বিপাক্ষিক চুক্তির বাস্তবায়ন করবেন বলে একমত হয়েছেন।
আজ সোমবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
১ সপ্তাহের মাঝে দ্বিতীয় ফোন কলে সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী যুবরাজ ফয়সাল বিন ফারহান ও ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান এ সিদ্ধান্তে পৌঁছান।
সৌদি আরবের আনুষ্ঠানিক সংবাদমাধ্যম সৌদি প্রেস এজেন্সি (এসপিএ) জানিয়েছে, ‘ফোন কলে চীনে সাক্ষরিত চুক্তির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন ২ দেশের মন্ত্রী’।
‘২ মন্ত্রী চলমান রমজান মাসে ১টি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের আয়োজনে একমত হন’, আরও জানায় এসপিএ।
তবে প্রতিবেদনে বৈঠক কোথায় এবং কবে হবে, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য দেওয়া হয়নি।
উল্লেখ্য, রমজান মাস এপ্রিলের তৃতীয় সপ্তাহে শেষ হবে।
সৌদি কর্মকর্তারা জানান, ৭ বছর আগে ছিন্ন সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের পরবর্তী ধাপ এই বৈঠক।
২০১৬ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে ২ দেশ তাদের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে। সৌদি সরকার রাষ্ট্রদ্রোহিতার দায়ে শিয়া সম্প্রদায়ের ধর্মীয় নেতা নিমর আল-নিমরের শিরোচ্ছেদ করলে ইরানে বড় আকারে বিক্ষোভ দেখা দেয়। তেহরানে অবস্থিত সৌদি দূতাবাসে বিক্ষোভকারীরা আগুন ধরিয়ে দিলে ২ দেশের সম্পর্কে তলানিতে ঠেকে।
বিশ্লেষকদের প্রত্যাশা, সাক্ষরিত চুক্তির ফলে ২ মাসের মাঝে শিয়া অধ্যুষিত ইরান ও মূলত সুন্নি মুসলমানদের দেশ হিসেবে পরিচিত সৌদি আরব একে অপরের ভূখণ্ডে দূতাবাস চালু করবে এবং ২০ বছরেরও বেশি সময় আগে সাক্ষরিত অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা সহযোগিতার চুক্তির বাস্তবায়ন করবে।
১৯ মার্চ ইরানের এক কর্মকর্তা জানান, ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি সৌদি আরবের রাজা সালমানের কাছ থেকে দেশটি সফরের আমন্ত্রণ পেয়েছেন। তবে রিয়াদ এটি এখনো নিশ্চিত করেনি।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, ২ দেশ তাদের শীর্ষ কূটনীতিকদের মাঝে ১টি বৈঠক আয়োজনে রাজি হয়েছে এবং ৩টি সম্ভাব্য জায়গার প্রস্তাব রাখা হয়েছে। তবে এই জায়গাগুলোর নাম জানাননি তিনি।
বিশ্লেষকদের মতে, ইরান ও সৌদি আরবের সুসম্পর্ক পুরো মধ্যপ্রাচ্যের ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বড় ও ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারে।