মীর এম ইমরান,মাদারীপুর রবিবার রাত ১০:৪৮, ১৮ এপ্রিল, ২০২১
মাদারীপুর উপজেলার ৬ষ্ঠ শ্রেণির এক মাদ্রাসার শিক্ষার্থীকে জোরপূর্বক ধর্ষন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রতিবেশীকে হেনস্তা করার জন্য এই পরিকল্পনা গ্রহন করেছে বলে দাবী নির্যাতিতার পরিবারের। আর এই ঘটনা ঘটানোর পর থেকে পলাতক রয়েছে অভিযুক্ত জাকির মোড়ল ও তার সহযোগিতারা।
পরিবার সূত্রে পাওয়া যায়,গত ১৭এপ্রিল মাদারীপুর সদর উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নের বালাইচর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে ইফতার খেয়ে আম খাওয়ার জন্য আরেক বাড়ি যাওয়ার পথে বাশঁ ঝারের পাশে লুকিয়ে ছিলো জাকির মোড়ল ও তার সহযোগীরা। তারপর ৬ষ্ঠ শ্রেণির ওই মাদ্রাসার শিক্ষার্থীকে মুখ চেপে নিয়ে যায় মালেক মোড়েলের ছেলে জাকির মোড়ল (২৮) ও মাইনুদ্দীন মাতুব্বরের ছেলে বাদল মাতুব্বর (২৩),মৃত. নেয়ামাত বেপারীর ছেলে জামাল বেপারী(৩৫)এবং সুলতান খলিফার ছেলে রাজু খলিফা(২৫)। পরে তারা চারজন মাদ্রাসার শিক্ষার্থীকে মুখে চেপে ধরে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ নির্যাতিতার পরিবারের।
তারপর সবশেষ শনিবার রাত ৭ঃ৪৫মিনিটের দিকে ঐ মাদ্রাসার শিক্ষার্থীর মুখ ও হাত-পা বেধে ধর্ষণের বিষয়টি ধামাচাপা দিতে হত্যার উদ্দেশ্যে বাড়ির পাশে ময়লার ট্যাংকির নিকটে নিয়ে যায়। পরে একপর্যায়ে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীর ধস্তাধস্তির আওয়াজ শুনে পরিবারের লোকজন এগিয়ে আসলে পালিয়ে যায় জাকির মোড়লসহ তার সহযোগিরা।
পরে গুরুতর অবস্থায় মাদ্রাসার শিক্ষার্থীকে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।মাদ্রাসার শিক্ষার্থীর চাচি বলে,এমন ঘটনার আর যেন কেহ না ঘটাতে পারে এজন্য জাকির মোড়লসহ ও তার সহযোগিতাদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করছি।
মাদ্রাসার শিক্ষার্থীর মা বলেন, আমার ১২বছরের ছোট মেয়েকে জাকির মোড়ল ও তার সহযোগিতা ধর্ষণ করেছে। পরে ঘটনা ধামাচাপা দিতে হত্যা করে লাশ গুম করার পরিকল্পনা করা হয়। কিন্তু সেটা ব্যর্থ হয়েছে তারা। এ ঘটনার কঠির বিচার চাই।
মাদারীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ কামরুল মিঞা বলেন,শিক্ষার্থীকে ধর্ষনের ঘটনায় মামলা হলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।