মশার কাছে যেন জিম্মি রাজধানীবাসী
নিজস্ব প্রতিনিধি সোমবার রাত ০২:২৬, ৭ মার্চ, ২০২২
ঢাকা দুই সিটি করপোরেশনে পর্যাপ্ত মশার ওষুধ মজুদ রয়েছে বলে দাবি করছে সংস্থা দুটি। আর এদিকে মশার কামড়ে ঢাকাবাসী যন্ত্রণায় রয়েছেন। যতই দিন যাচ্ছে, এই যন্ত্রণার মাত্রা ততই বাড়ছে।
রাজধানীর মশা নিধনের দায়িত্ব দুই সিটি করপোরেশনের। সিটি করপোরেশন বলছে, মশা নিধনে নিয়মিত কার্যক্রম চলছে। তবে সাঁড়াশি কোনো অভিযান নেই।
দুটি সিটি করপোরেশনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, মশার সমস্যা নিয়ন্ত্রণে আছে।
রাজধানীর খিলগাঁও নতুনবাগ সোসাইটি এলাকায় বাসা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরিজীবী মিম আক্তারের। এলাকার পাশেই ডোবা-নালা। সেটি মশার এক প্রজননক্ষেত্র। ফলে আশপাশের বাসাবাড়ি ও লোকসমাগমে বিকেল থেকেই শুরু হয় মশার উপদ্রব।
তিনি বলেন, প্রায় এক মাস ধরে রাতে মশার উপদ্রব বেড়েছে। বাসার পাশে ডোবা-নালা পরিষ্কার না করার কারণে এই সমস্যা দেখা দিয়েছে।
রামপুরার বাসিন্দা মৌসুমী আক্তার বলেন, জানালা খুললে মশা হুড়হুড় করে রুমে ঢুকে যায়। একই অবস্থা হাতিরঝিল এলাকাতেও।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের উপপ্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা সারওয়ার গণমাধ্যমকে বলেন, কীটনাশকের যা মজুত আছে তা দিয়ে সাত-আট মাস ভালোভাবে চলে যাবে। এটা শেষ হওয়ার আগেই আবার মজুত করা হবে।
হঠাৎ মশার উপদ্রব বাড়ার কারণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, পানি কমে গেছে। তাই পানির ঘনত্ব বেড়ে নোংরা হয়েছে বেশি। কিউলেক্স মশা নোংরা পানিতে জন্মে। তাই এই সময় থেকে কিউলেক্স মশা বাড়ে।
মশার উপদ্রব শুরু হয়ে গেলেও এই কর্মকর্তা মনে করেন, গতবারের তুলনায় মশা এবার সহনশীল পর্যায়ে এবং অনেক কম।
দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ফজলে শামসুল কবির বলেন, আমার জানা মতে এই মৌসুমে কিউলেক্স মশা নিয়ন্ত্রণে ছিল, এখনও আছে। তার পরেও যেসব এলাকায় সমস্যা; সংশ্লিষ্ট সেখানকার কর্মকর্তা ও সুপারভাইজারকে বলছি জরুরি ব্যবস্থা নিতে।
উত্তরা, রামপুরা, মধ্যবাড্ডা, মিরপুর, গাবতলী, শ্যামলী, যাত্রাবাড়ী, শনিরআখড়াসহ রাজধানীর সব এলাকায় মশার উপদ্রব বাড়তে দেখা যাচ্ছে। বিগত বছরগুলোর মতো চলতি বছরে শীতের মৌসুম শেষ হওয়ার পর গরমের আভাস আসায় মশার রাজত্ব শুরুর ইঙ্গিত মিলছে।