মীর এম ইমরান,মাদারীপুর সোমবার বিকেল ০৪:১০, ২৪ মে, ২০২১
করোনা ভাইরাসের সংক্রমনরোধে দীর্ঘ ৪৯ দিন বন্ধ থাকার পর বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে সোমবার(২৪ মে) ভোর থেকে লঞ্চ চলাচল শুরু হয়েছে। ভোর ৬ টা থেকে ঢাকাগামী যাত্রীরা লঞ্চে পার হতে শুরু করেছেন।
এর আগে করোনা ভাইরাসের সংক্রমন বেড়ে গেলে গত মাসের(এপ্রিল) ৫ তারিখ থেকে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখে কর্তৃপক্ষ। নৌরুটে শুধুমাত্র ফেরি চলাচল স্বাভাবিক ছিল। বিকল্প নৌযান না থাকায় যাত্রীদের চরম ভোগান্তি মাথায় নিয়ে ঈদে বাড়ি ফিরতে হয়েছে একই চিত্র ছিল ঈদের পর ঢাকায় মুখি যাত্রী চলাচলের। এদিকে লঞ্চ চলাচল শুরু করায় স্বস্তি দেখা দিয়েছে যাত্রীদের মধ্যে।
বাংলাবাজার ঘাটের সরেজমিনে দেখা গেছে সোমবার সকাল থেকে লঞ্চ চলাচল শুরু করায় যাত্রীরা ফেরির পাশাপাশি লঞ্চে পদ্মা নদী পার হচ্ছে। ফলে ফেরিতে কমে এসেছে যাত্রীচাপ আর গাদাগাদি অবস্থা। যাত্রীদের বেশির ভাগই লঞ্চে পার হচ্ছে। তবে লঞ্চে স্বল্প সংখ্যক যাত্রী পারাপারের নির্দেশনা থাকলেও তার কার্যকারিতা তেমন দেখা যায় নি।
লঞ্চ কর্তৃপক্ষ দাবি করছেন, তারা ঘাটে দাড়িয়ে থেকে স্বাস্থ্যবিধি মোতাবেক যাত্রী উঠাচ্ছেন লঞ্চে। দীর্ঘদিন পরে লঞ্চ চালু হওয়ায় লঞ্চ মালিক-শ্রমিকদের মাঝেও স্বস্তি দেখা দিয়েছে।
বিআইডব্লিউটিএ’র বাংলাবাজার লঞ্চ ঘাট সূত্রে জানা গেছে, নৌরুটে ছোট-বড় মিলিয়ে ৮৬ টি লঞ্চ রয়েছে। গত ৫ এপ্রিল থেকে কর্তৃপক্ষের নির্দেশে লঞ্চ চলাচল বন্ধ ছিল নৌরুটে। স্পিডবোট চলাচল বন্ধের নির্দেশনা থাকলেও নিয়ম ভেঙে কিছু স্পিডবোট যাত্রী পারাপার করেছিল।
তবে গত ৪ মে স্পিডবোট দূর্ঘটনার পর নৌরুটে স্পিডবোট, ট্রলার চলাচল বন্ধ করতে প্রশাসন কঠোর অবস্থানে যায়। এরপর থেকে বন্ধ থাকে এসকল নৌযান। বিকল্প নৌযান না থাকায় যাত্রীদের শুধুমাত্র ফেরিতে পদ্মা পার হতে হয়েছে। দূরপাল্লার লঞ্চ বন্ধ থাকায় দক্ষিন-পশ্চিমাঞ্চলের যাত্রীদের এই নৌরুট ব্যবহার করে রাজধানী ও বাড়িতে যাওয়া-আসা করতে হয়েছে।ফলে যাত্রীদের অস্বাভাবিক চাপ তৈরি হয় নৌরুটে। যাত্রীচাপে ফেরিতে যানবাহন পারাপারে অনেকটাই ব্যহত হয়।
বিআইডব্লিউটিসি’র বাংলাবাজার ফেরিঘাট সূত্র জানিয়েছে,লঞ্চ চলাচল শুরু করায় ফেরিতে যাত্রীদের চাপ কমেছে। ফলে যানবাহন পারাপার সহজ হয়েছে। সকাল থেকেই যাত্রীরা লঞ্চে পার হচ্ছে। ফেরিতে যাত্রীর সংখ্যা কিছুটা কমেছে।