আসাদ খন্দকার বুধবার রাত ১০:১৬, ৮ মে, ২০২৪
দু একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনার মধ্যদিয়ে গাইবান্ধা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে বুধবার গাইবান্ধার সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলায় ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। দুই উপজেলার ১৬৩টি ভোটকেন্দ্রে সকাল ৮টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির কারনে সকালের দিকে ভোটারদের উপসি’তি ছিল খুবই কম। বেলা বাড়ার সাথে সাথে ভোটারদের উপসি’তি বাড়তে থাকে।
এদিকে বেলা ১ টার দিকে ভোট জালিয়াতি ও কারচুপির অভিযোগ এনে ফুলছড়ির কঞ্চিপাড়ায় আওয়ামী লীগ নেতা জিএম সেলিম পারভেজ ভোট বর্জনের ঘোষনা দিয়েছে। এর আগে জিএম সেলিম পারভেজের নেতৃত্বে তার সমর্থকরা সাংবাদিকদের গালাগালি করে এবং দৈনিক যুগান্তর ও মাছরাঙা টেলিভিশনের গাইবান্ধা প্রতিনিধি সিদ্দিক আলম দয়াল, যমুনা টেলিভিশনের গাইবান্ধা প্রতিনিধি জিল্লুর রহমান পলাশ সহ কয়েকজন সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করে। তারা সাংবাদিকদের কেন্দ্র থেকে বের হয়ে যাওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। পরে সাংবাদিকরা বিষয়টি পুলিশ সুপার মো: কামাল হোসেনকে জানালে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে এলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে। পরিস্থিতি কিছুটা শানত্ম হলে ফুলছড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী জি এম সেলিম পারভেজ সাংবাদিকদের মাঠের পাশে ডেকে নিয়ে তার ভোট বর্জনের ঘোষনা করেন।
জেলা নির্বাচন অফিসের তথ্য অনুযায়ী, এ দুই উপজেলায় দুইজন চেয়াম্যান প্রার্থী, ১৫ জন ভাইস চেয়ারম্যান এবং ৭ জন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। বিপরীতে এ দুই উপজেলায় ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৬৭ হাজার ৭৫২ জন।
ইতিমধ্যে সাঘাটা উপজেলায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম সামশীল আরেফিন টিটু। এ উপজেলায় ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৪১ হাজার ৭১২ জন। তবে ফুলছড়ি উপজেলায় প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী জি এম সেলিম পারভেট ভোট বর্জনের ঘোষনা দেয়ায় অপর প্রার্থী ও আওয়ামী লীগ নেতা আবু সাঈদ বেসরকারী ভাবে বিনা প্রতিদ্বদ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছে।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুল মোত্তালিব জানান,জিএম পারভেজ ভোট বর্জন করলে অপরজনকে বিজয়ী ঘোষনা করার নিয়ম রয়েছে। সে ক্ষেত্রে বেসরকারী ভাবে আবু সাঈদ নির্বাচিত হয়েছেন।