নিজ ঠিকানা ফিরে পেলো মানসিক ভারসাম্যহীন মনোয়ারা বেগম
মোবারক হোসাইন,ধর্মপাশা(সুনামগঞ্জ) মঙ্গলবার রাত ০৯:৫১, ১২ জানুয়ারী, ২০২১
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলায় মনোয়ারা বেগম(৫৫) নামের মানসিক ভারসাম্যহীন এক বৃদ্ধ মহিলা পাবনা সদর হাসপাতালের সমাজ সেবা বিভাগ ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ইয়োলো ল্যাম্পের সভাপতি শহিদুল ইসলাম উজ্জ্বলের সহায়তায় ফিরে পেলো নিজ ঠিকানা। মানসিক ভারসাম্যহীন মনোয়ারা বেগম (৫৫) উপজেলা জয়শ্রী ইউনিয়নের বাদে হরিপুর গ্রামের মৃত আছু মিয়ার স্ত্রী।
১০জানুয়ারি রোববার বিকেল ৫টার দিকে উপজেলা ভূমি অফিসের সামনের চত্বরে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) আবু তালেব এর উপস্থিতিতে তার সহোদর ছোট বোন শাহানার নিকট তাকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
এ সময় অন্যদের মাঝে উপাস্থিত ছিলেন, মুক্তিযোদ্ধা সুলতান মজুমদার, জয়শ্রী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান (ইউপি) সঞ্জয় রায় চৌধুরী, সমাজ সেবা কর্মকর্তা গিয়াস উদ্দিন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) প্রজেশ চন্দ্র দাস প্রমুখ।
জানা যায়, মানসিক ভারসাম্যহীন বয়বৃদ্ধ মনোয়ারা বেগম (৫৫) মানসিক ভারসাম্যহীন অবস্থায় দিকভ্রান্ত হয়ে পাবনা গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হন।এতে তার বাম পায়ের হাঠুর নিচের অংশ ভেঙ্গে যায়। তিনি স্বামী সন্তানহীন। ঘটনা স্থলের স্থানীয় লোকজনদের মাধ্যমে খবর পেয়ে পাবনা সদর হাসপাতালের সমাজ সেবা বিভাগ ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ইয়োলো ল্যাম্পের সভাপতি শহিদুল ইসলাম সহ মনোয়ারার বেগমেকে পাবনা সদর হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করে তার ভাঙ্গা বাম পায়ের অপারেশন করানো হয়। পরে নিয়মিত ভাবে তার ঔষধ খাওয়ানো সহ সার্বক্ষণিক দেহবাল করেন।
এমতাবস্থায়, এই মহিলা বাড়ির ঠিকানা তার কাছে জানte চাইলে সে তার বাড়ির ঠিকানা সঠিকভাবে বলতে পারছিলেন না। কখনও জামালগঞ্জ আবার কখনও ধর্মপাশা বলছিলো। তার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের নাম জানতে চাইলে তিনি চেয়ারম্যানের নাম বলেন আবুল হোসেন।
এতে করে বিজ্ঞানের আশির্বাদে গুগলের মাধ্যমে খোঁজ করে দেখে যে ধর্মপাশা, জামালগঞ্জ হচ্ছে সুনামগঞ্জ জেলার দুটি উপজেলা।
পরে তার কাছে চেয়ারম্যান আবুল হোসেন সম্পর্কে জানতে চাইলে তখন সে বলে যে আবুল হোসেন হচ্ছে জয়শ্রী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। কিন্তু বর্তমান চেয়ারম্যান হচ্ছেন আমার স্যার (সঞ্জয় রায় চৌধুরী)। পরে সে বর্তমানে চেয়ারম্যানের (সঞ্জয় রায় চৌধুরী) সাথে যোগাযোগ করলে দেখা যায় যে এই মহিলা হচ্ছে জয়শ্রী ইউনিয়নের বাদে হরিপুর গ্রামের মৃত আছু মিয়ার স্ত্রী।
পরে পাবনা সদর হাসপাতালের সমাজ সেবা বিভাগস ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ইয়োলো ল্যাম্পের সভাপতি শহিদুল ইসলাম বর্তমান চেয়ারম্যানের সাথে যোগাযোগ করে গতকাল রোববার বিকেল ৫টার দিকে ধর্মপাশা পর্যন্ত নিয়ে এসে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) আবু তালেব এর উপস্থিতিতে তার অসহায় বিধবা সহোদর ছোট বোন শাহানার নিকট তাকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
পরে উপজেলা ভূমি অফিসের এর ঘাড়িতে করে জয়শ্রী ইউনিয়নে নিয়ে গিয়ে তাকে তার বোনের বাড়িতে পৌছে দেওয়া হয়। তবে এই মহিলা বাড়ি থেকে কবে নিরুদ্দেশ হয়েছে ছিলো তাৎক্ষণিক ভাবে তা জানা যায়নি
জয়শ্রী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান (ইউপি) সঞ্জয় রায় চৌধুরী আজ এই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এমন মানবিক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপনের জন্য ইয়োলো ল্যাম্পসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞচিত্তে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি।