ঢাকা (রাত ১২:৩৭) শুক্রবার, ২৭শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

Join Bangladesh Navy


চার শতাধিক বেকার যুবককে ফ্রীতে ড্রাইভিং শেখার সুযোগ করেছেন আব্দুস সাত্তার

‌ফিচার নিউজ ২৩৬৯ বার পঠিত

হোসাইন মোহাম্মদ দিদার হোসাইন মোহাম্মদ দিদার Clock শনিবার দুপুর ০১:০৯, ৪ মে, ২০২৪

মানুষের জন্য, মানুষের উপকারের জন্য নীরবে কেঁদে ওঠে এক প্রাণ। গোপনে বিপদগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে মানুষের এক শক্তি হয়ে ওঠেন তিনি। একেক করে চার’ শত যুবককে আত্মকর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে নজির স্থাপন করেছেন।

বলছি দাউদকান্দি উপজেলার একজন ব্যবসায়ী, সমাজসেবক ও রাহমাতুন্নেসা চ্যারিটি ফাউন্ডেশনের কর্ণধার আব্দুস সাত্তারের কথা।

 

তিনি স্বপ্ন যেমন নিজে বুনে থাকেন সেই স্বপ্নের বীজ বুনে দেন তরুণ যুবার মাঝে। বেকারত্ব সমস্যা দূরীকরণে এক আলোর দিশারী হয়ে কাজ করছেন। ভাঙাচোরা এই সমাজে নিজের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানো মানুষের সংখ্যা নেহাতই কম।

এরমধ্যে তিনি এই সমাজে বেকারত্ব সমস্যা দূরীকরণের যে উদ্যোগ নিয়েছেন তার দীর্ঘ ৫ বছর যাবৎ সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে বিনামূল্যে বেকার যুবকদের গাড়ি চালনায় দক্ষ চালকের মাধ্যমে ট্রের্নিং দিয়ে মানবসম্পদ গড়ে তুলছেন।

এদের আবার অনেকেই এই চ্যারিটির ড্রাইভিং স্কুল থেকে ট্রের্নিং নিয়ে বিদেশ-বিভুঁইয়ে গাড়ি চালক হিসেবে সফল ক্যারিয়র গড়ে তুলছেন। পরিবারের অভাব গুছিয়ে অনেকেই এখন স্বাবলম্বী হয়েছেন। কেউ কেউ দেশের মাঠিতেও ভালো আয়-উপার্জন করে পরিবার নিয়ে ভালো আছেন।

 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে এই চ্যারিটি ফাউন্ডেশনের ইনস্ট্রাক্টর খলিল ইব্রাহিম জানান,” বর্তমানে রাহমাতুন্নেসা চ্যারিটি ড্রাইভিং স্কুলে ট্রেনিংয়ে দুই শিফটে ছাত্র সংখ্যা ৪০ জনের মতো ।

সপ্তাহে প্রতিদিন ক্লাস চলে, সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রশিক্ষনার্থীরা ড্রাইভিং শিখছেন।”

 

ড্রাইভিং স্কুলে ট্রেনিং নিতে ফজলে রাব্বি নামের এক তরুণ প্রশিক্ষণার্থী জানান,” আমি এখানে ফ্রীতে ড্রাইভিং শিখছি। আমি মনে করি, এই উদ্যোগ সমাজে মাইলফলক হয়ে থাকবে। এখান থেকে ট্রেনিং নিয়ে ইচ্ছে আছে বিদেশে চলে যাবো। আমি এই সংস্থাটির কর্তৃপক্ষকে কৃতজ্ঞতা জানাই।”

 

এ বিষয়ে কথা হয় রাহমাতুন্নেসা চ্যারিটি ড্রাইভিং স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা সমাজসেবক আব্দুস সাত্তারের সঙ্গে তিনি জানান,” স্বনির্ভর দক্ষ জনশক্তি টেকসই বাংলাদেশের হাতিয়ার। আমি ক্ষুদ্র পরিসরে চেষ্টা করছি বেকার যুবকদের জন্য কিছু করে তাদেরকে কর্মমুখী করে কর্মসংস্থানের উপযোগী করে গড়ে তোলা। সমাজে যতো অনাচার অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটছে তা মূলত মানুষ বেকার থাকার কারণে। আমার ব্যক্তিগত উদ্যোগেই এই পথচলা। এতে যদি কেউ উপকৃত হয় তাহলেই আমার প্রচেষ্টা সার্থক হবে। চেষ্টা করবো আরও বড় পরিসরে বেকারত্ব সমস্যা দূর করার জন্য কাজ করতে, ইচ্ছের বাস্তবায়ন করার চেষ্টায় আছি ইনশাল্লাহ।”




শেয়ার করুন


পাঠকের মতামত

মেঘনা নিউজ-এ যোগ দিন

Meghna Roktoseba




এক ক্লিকে জেনে নিন বিভাগীয় খবর



© মেঘনা নিউজ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by ShafTech-IT