১১ দিন হত্যাযজ্ঞের পর গাজায় যুদ্ধবিরতি
ডেক্স রিপোর্ট শুক্রবার দুপুর ০৩:৪২, ২১ মে, ২০২১
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় টানা ১১ দিন নির্বিচার হত্যাযজ্ঞের পর যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২০ মে) দিবাগত রাতে যুদ্ধবিরতির অনুমোদন দেয় ইসরায়েলি মন্ত্রিসভা।
ইসরায়েলি গণমাধ্যম হারেজৎ এক প্রতিবেদনে যুদ্ধবিরতি বিষয়ক এক প্রতিবেদনে জানায়, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রিসভা “নিঃশর্ত… যুদ্ধবিরতির জন্য মিশরের একটি উদ্যোগ সর্বসম্মতিক্রমে গ্রহণ করেছে।”
অন্যদিকে, আল জাজিরার খবরে বলা হয়, ফিলিস্তিনি মুক্তিকামী গোষ্ঠী হামাস ও ইসলামিক জিহাদ এক বিবৃতিতে শুক্রবার ভোর আড়াইটা (বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আড়াইটা) থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে।
এদিকে, যুদ্ধবিরতির খবরে গাজা, পশ্চিমতীরসহ ফিলিস্তিনের অন্যান্য এলাকার হাজার হাজার মানুষ মধ্যরাতেই পতাকা নিয়ে রাস্তায় নেমে আসেন এবং বিজয়ের “ভি” চিহ্ন দেখিয়ে উল্লাস করেন।
গত ১০ মে রাত থেকে শুরু হয়ে ২০ মে পর্যন্ত গাজায় অব্যাহত বোমা হামলা ও গোলাবর্ষণ করে ইসরায়েল। এতে ৬৫ শিশুসহ ২৩২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়। ধ্বংস হয় হাজারও ঘরবাড়ি। আহত হন অন্তত দুই হাজার মানুষ। অপরদিকে, ফিলিস্তিনের ছোঁড়া ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে দুই শিশুসহ অন্তত ১২ ইসরায়েলি নিহত হয়, আহত হন প্রায় ৩০০ জন।
প্রসঙ্গত, ইসরায়েলের দখলদারিত্ব ও নতুন করে ইহুদি বসতি গড়ে তোলার প্রতিবাদে জেরুজালেমে বেশ কিছুদিন ধরে বিক্ষোভ চলছিল। গত রবিবার (৯ মে) শবে কদরের রাতে আল আকসায় নামাজ আদায় শেষে ফিলিস্তিনিরা বিক্ষোভ করলে ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীর হামলায় অন্তত ৯০ জন ফিলিস্তিনি আহত হয়। ওই ঘটনার পর আল আকসা মসজিদ ও আশেপাশের এলাকা ঘিরে রাখে ইসরায়েলি পুলিশ।
এই ঘটনার প্রতিবাদ ও আল আকসা থেকে নিরাপত্তা বাহিনী প্রত্যাহারের জন্য ইসরায়েলকে ২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেয় হামাস। কিন্তু ওই সময়ের মধ্যে নিরপত্তা বাহিনী প্রত্যাহার না করায় সোমবার (১০ মে) সন্ধ্যা থেকে ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে রকেট হামলা শুরু করে হামাস। তারপর থেকেই গাজায় বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল।