সালাম না দেয়ায় ঢাবি ছাত্রকে মারধর
নিজস্ব প্রতিনিধি বুধবার দুপুর ০৩:৪৯, ২৫ মে, ২০২২
অনলাইন ক্লাস চলাকালীন সালাম না দেওয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের এক কর্মীর বিরেুদ্ধে। নির্যাতনের পর থেকে ওই শিক্ষার্থী কানে শুনছেন না। এই ঘটনায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন তিনি।
অভিযুক্ত ছাত্রলীগ কর্মীর নাম মানিকুর রহমান মানিক। তিনি রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের ছাত্র। সে হল ছাত্রলীগের সাধারণত সম্পাদক সিয়াম রহমানের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত। সিয়াম ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দামের অনুসারী।
নির্যাতনের শিকার ওই শিক্ষার্থীর নাম সাজ্জাদুল হক সাঈদি। তিনি নৃ বিজ্ঞান বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের ছাত্র। সূর্য সেন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী তিনি।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাত ১১টার পর সূর্য সেন হলের ২৪৯ নম্বর কক্ষে অনলাইনে ক্লাস করছিলেন সাঈদি। এ সময় মানিক ও তার কয়েকজন সহযোগী ২৪৯ নম্বর কক্ষে যায়। এ সময় সাঈদি সালাম না দেওয়ায় তাকে অকথ্য ভাষায় গালি দেয় ,মানিক। এরপর সাঈদিকে নিজের রুমে ডাকেন মানিক। সেখানে যাওয়ার পর তাকে গালে এবং কানে চড় মারেন মানিক। এরপর এলোপাতাড়ি ভাবে তাকে শারীরিক নির্যাতন শুরু করেন মানিক। কানে চড় মারার কারণে সাঈদি কানে শুনতে পাচ্ছে না।
অভিযুক্ত মানিকের বিরুদ্ধে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, ফুলার রোড ও শহীদ মিনার সহ ক্যাম্পাস এলাকায় ছিনতাইয়ের অভিযোগ রয়েছে। ২০১৮ সালে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছিনতাইয়ের ঘটনার খবর বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। মানিকের আচরণে হলের সব শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরাই বিরক্ত বলে জানা গেছে। নিজেকে মোস্ট পলিটিক্যাল প্রমাণ করতে জুনিয়রদের শারীরিকভাবে নির্যাতন করার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী সাঈদি বলেন, রাতে আমি আমার কক্ষে বসে একটি অনলাইন ক্লাস করছিলাম। এ সময় মানিক ও তার কয়েকজন সহযোগী রুমে আসে। তাকে সালাম না দেওয়ায় সে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালি দেয়। অনলাইন ক্লাস শেষে আমি যখন উঠে বাইরে যেতে নেই তখন পেছন থেকে আমার কলার ধরে আমাকে নির্যাতন করা হয়। এরপর মানিক তার রুমে নিয়েও আমাকে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করে।
এ প্রসঙ্গে জানতে অভিযুক্ত মানিকের ব্যবহৃত মুঠোফোনে কল দেওয়া হলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।
মানিককে নিজের অনুসারী বলে স্বীকার করেছেন হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পদক সিয়াম রহমান। তিনি বলেন, মারধরের কোনো ঘটনা ঘটেনি। সাঈদি এবং মানিকের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়েছে। বিষয়টি শোনার পর আমি তাদের মধ্যে মীমাংসা করে দিয়েছি।
সার্বিক বিষয়ে জানতে সূর্য সেন হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক মকবুল হোসেন ভূঁইয়াকে কল দেওয়া হলে তিনিও ফোন রিসিভ করেন নি।